বাংলাদেশ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএমইউ)-এর প্রক্টর সহযোগী অধ্যাপক ডা. শেখ ফরহাদের সঙ্গে ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ডিইউএবি) যুক্তরাষ্ট্র শাখার নেতৃবৃন্দের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
গত ২৭ আগস্ট জ্যামাইকাতে আয়োজিত এ মতবিনিময় সভায় সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার শরিফ চৌধুরী পাপ্পু। সাধারণ সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার মাইন উদ্দিন মিয়াজীর সঞ্চালনায় সহযোগিতা করেন মামুন হোসেন বিপ্লব এবং ফ্রেন্ডস সোসাইটি ইউএসএ ইনকের সভাপতি সাইদুজ্জামান রিংকু।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিএমইউর প্রক্টর ডা. শেখ ফরহাদ বলেন, বিগত ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকার মানুষের বাকস্বাধীনতা ও ভোটের অধিকার হরণ করেছিল। মানুষের সব অধিকার হরণ করেছিল। বর্তমান সরকার দেশবাসীকে সে শ্বাসরুদ্ধকর অবস্থা থেকে মুক্তি দিয়েছে। আগামী দিনে জাতীয় নির্বাচন সম্পন্ন হওয়ার মাধ্যমে দেশবাসী পূর্ণ মুক্তির স্বাদ লাভ করবেন। তবে জাতীয় নির্বাচন নিয়ে ষড়যন্ত্র চলছে। নির্বাচন বানচালের চেষ্টা হচ্ছে। জাতীয় নির্বাচন যাতে কেউ বানচাল করতে না পারে সেজন্য দেশবাসীসহ প্রবাসীদেরও সতর্ক থাকতে হবে। ৭১-এর মহান মুক্তিযুদ্ধ, ৯০-এর গণঅভ্যুত্থান, জুলাই ২৪-এর গণঅভ্যুত্থানসহ বিভিন্ন আন্দোলন সংগ্রামে প্রবাসীদের অবদানের কথা উল্লেখ করে ডা. শেখ ফরহাদ বলেন, বিগত দিনে বিএনপির দুঃসময়ে প্রবাসীরা বিএনপির পাশে ছিলেন। আগামী দিনে সুষ্ঠু সুন্দর গণতান্ত্রিক উপায়ে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলে বাংলাদেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হবে, জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠিত হবে। তাই গণতন্ত্রের জন্য জাতীয় নির্বাচন অপরিহার্য। তাই আগামী দিনে কোনো অপশক্তি যাতে জাতীয় নির্বাচন বানচাল করতে না পারে, সেজন্য দেশবাসীসহ প্রবাসীদেরও সতর্ক থাকতে হবে। ফ্যাসিস্ট শক্তি আর যাতে পুনর্বাসিত না হয়, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। শহিদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান বাংলাদেশের উন্নয়নে অসামান্য অবদান রেখেছেন। তার সহধর্মিণী দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া তিন তিনবার প্রধানমন্ত্রী থেকে বাংলাদেশের উন্নয়ন ও অগ্রগতিতে অবদান রেখেছেন। দেশবাসী এখন অপেক্ষায় আছেন রাষ্ট্রনায়ক, জননেতা তারেক রহমানের দেশে ফিরে আসার অপেক্ষায়। আগামী জাতীয় নির্বাচনে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি বিপুল ভোটে জয়ী হয়ে সরকার গঠন করবে এবং বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপারসন তারেক রহমান প্রধানমন্ত্রী হয়ে বাংলাদেশকে উন্নয়ন ও অগ্রগতির নতুন শিখরে প্রতিষ্ঠা করতে সক্ষম হবেন বলে আমরা বিশ্বাস করি।
প্রধান বক্তা ছিলেন নিউইয়র্ক স্টেট বিএনপির সভাপতি মাওলানা ওয়ালী উল্লাহ মো. আতিকুর রহমান। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন নিউইয়র্ক স্টেট বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সাইদুর রহমান সাইদ। বাংলাদেশ সোসাইটির প্রধান নির্বাচন কমিশনার অ্যাডভোকেট জামাল আহমেদ জনি। কুইন্স ডেমক্র্যাটিক পার্টির ডিস্ট্রিক্ট লিডার অ্যাটর্নি মঈন চৌধুরী, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া, স্থায়ী কিমিটির সিনিয়র সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আব্দুস সালাম এবং জুলাই-আগস্ট বিপ্লবীদের সুস্থতা ও শহিদদের আত্মার মাগফিরাত কামনায় বিশেষ মোনাজাত করেন বিএনপি নেতা অলিউল্লাহ আতিকুর রহমান।
অনুষ্ঠানে সমসাময়িক প্রসঙ্গে আরো বক্তব্য রাখেন-ডা. জাকির হোসেন, নিউইয়র্ক স্টেট বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক আমিনুল ইসলাম চৌধুরী, বদরুল হক আযাদ, সাবেক ভিপি জহিরুল ইসলাম, প্রফেসর মনির হোসেন খান, ডা. সাঈদ, ডা. মন্টু, ড. মোশারফ হোসেন ফাউন্ডেশনের নেতা আলামিন সুমন, কামরুল হাসান, দেওয়ান আব্দুর সাত্তার, আবু নাসের, আলমগীর হোসেন সরকার, রহুল আমিন, যুবদল নেতা মনিরুল ইসলাম মনির, ডা. আতাউল্লাহ, মামুন, সাব্বির, জাকির হোসেন সরকার, সাইদুল ইসলাম রিয়াদ, ইঞ্জিনিয়ার মেহাদি হাসান মিয়াজী, রফিকুল ইসলাম ডালি, মামুন, আলম প্রমুখ।
সভাপতি শরীফ চৌধুরী পাপ্পু সবাইকে ধন্যবাদ দিয়ে সভার সমাপ্তি ঘোষণা করেন। এর আগে অনুষ্ঠানে এলে ডা. শেখ ফরহাদকে প্রবাসীদের পক্ষ থেকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানানো হয়।