আওয়ামী লীগ সরকারের সাবেক রাষ্ট্রপতির আবদুল হামিদের দেশ ছাড়া নিয়ে তোলপাড় পুরো দেশ। তার দেশ ছেড়ে চলে যাওয়ার পর থেকে রাজনৈতিক অঙ্গনে একের পর এক ঘটনা ঘটে যাচ্ছে। এসব ঘটনা রাজনৈতিক মহলে বিভিন্ন প্রশ্নের পাশাপাশি রহস্যের সৃষ্টি করেছে।
ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের ৯ মাস পর দেশ ছাড়লেন ফ্যাসিবাদী সরকারের বড় মাপের নেতা সাবেক রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ। তিনি ছিলেন আওয়ামী লীগ সরকারের সাবেক রাষ্ট্রপতি। গত ৭ মে বুধবার দিবাগত রাত ৩টা ৫ মিনিটে থাই এয়ারওয়েজের একটি ফ্লাইটে তিনি দেশ ছাড়েন।
কিভাবে গেলেন?
বিভিন্ন গণমাধ্যমে সাবেক এইা রাষ্ট্রপতির দেশ ছাড়া নিয়ে নানান ধরনের প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে। কেউ কেউ তথ্য দিয়েছেন যে তিন সংস্থার সমন্বয়ে দেশ ছাড়েন হামিদ। একটি গণমাধ্যমে ইমিগ্রেশন সূত্রের বরাতে খবর প্রকাশিত হয়। বলা হয় যে, ইমিগ্রেশনে কূটনৈতিক সুবিধার বিশেষ লাল পাসপোর্ট ব্যবহার করেন সাবেক রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ। এতে আরও জানানো হয় যে, শুধু তাই নয়, বিমানবন্দরে তিনি এসেছিলেন ছদ্মবেশে। তার পরনে ছিল লুঙ্গি ও গেঞ্জি এবং মুখে ছিল মাস্ক। জানা গেছে, ভিআইপি প্রটোকল নিয়েছেন শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে। এমনকি সাবেক রাষ্ট্রপতি গাড়িতে বসেই ইমিগ্রেশন শেষ করেছেন। বলা হয় ওইদিন রাত সোয়া ১টার দিকে ইমিগ্রেশনে দায়িত্বরত এক এসপির কাছে বিমানবন্দরের ইডি ফোন করে বিষয়টি জানান। ওই এসপি জানান, দায়িত্বরত অতিরিক্তি ডিআইজিকে। তিনি সিনিয়রদের সঙ্গে কথা বলে ১০ থেকে ১৫ মিনিটের মধ্যে আবদুল হামিদকে ছেড়ে দেওয়ার নির্দেশ দেন। এর পরই সব আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন হয়। আর সেই রাতে বিমানবন্দরে দায়িত্বে থাকা এসবির এক কর্মকর্তা দাবি করেন, কিশোরগঞ্জের আবদুল হামিদের বিরুদ্ধে হওয়া মামলার তদন্ত সংশ্লিষ্টরা তার দেশত্যাগের নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে কোনো আবেদন করেছেন বলে তার জানা নেই। গত ৫ আগস্ট-পরবর্তী কিছু ফ্যাসিস্টের দোসর একইভাবে সিনিয়রদের নির্দেশে বিমানবন্দর পার হন বলেও জানিয়ে দেন তিনি।
সরকারের এ্যাকশন
আর এসব বিষয়ে জানাজানির পর আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল গণমাধ্যমে বলেছেন, সাবেক রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের বিদেশ গমনে বাধা দেওয়ার দায়িত্ব পুলিশ ও গোয়েন্দা এজেন্সিগুলোর, যা কোনোভাবেই আমার আইন মন্ত্রণালয়ের এখতিয়ারভুক্ত বিষয় নয়। তবে রাষ্ট্রপতির দেশ ছাড়া নিয়ে সর্বশেষ খবর হচ্ছে একটি শক্তিশালি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। এতে বলা হয় যে, সাবেক রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ গত ৭ মে হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর দিয়ে বিদেশে গেছেন। এই ঘটনা তদন্তের জন্য রবিবার (১১ মে) উচ্চ পর্যায়ের এক কমিটি গঠন করা হয়েছে। শিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক সি আর আবরারকে সভাপতি করে এই কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটির অন্য সদস্য হলেন-পরিবেশ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান এবং নৌ পরিবহন এবং শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন। বলা হয়েছে যে, এই কমিটি বেশ কিছু বিষয় পর্যালোচনা করে আগামী ১৫ দিনের মধ্যে রিপোর্ট জমা দেবেন। বিষয়গুলো হচ্ছে- ক. গত ৭ মে সাবেক রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দর দিয়ে কীভাবে বিদেশ গেলেন। খ. এ ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষগুলোর দায়িত্বে কোনো প্রকার ব্যত্যয় ও গাফিলতির ঘটনা ঘটেছে কী না। গ. কারা কোন দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হয়েছেন তা নির্ধারণ করা এবং সে ক্ষেত্রে কী ব্যবস্থা গ্রহণ করা যায় সে সম্পর্কে সুপারিশ পেশ করা।
শুরু হয় তোলপাড়
এই ঘটনা জানাজানি হয়ে গেলে দেশব্যাপী তোলপাড় শুরু হয়ে যায়। পরের দিন বৃহস্পতিবার থেকে প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনার সামনে রাতভর অবস্থান এবং মিন্টো রোডের মোড়ে মঞ্চ তৈরি করে বিক্ষোভের পর ৯ মে শুক্রবার বিকেল থেকে শাহবাগ মোড় অবরোধ করে রাখে এনসিপিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও সংগঠনের নেতা-কর্মীরা। অন্তর্বর্তী সরকার আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করে প্রজ্ঞাপন জারি না করা পর্যন্ত তাঁরা ‘শাহবাগ ব্লকেড’-এর ঘোষণা দেয়।
এরপর থেকে যারা যারা হলেন বলির পাঠা
তার দেশত্যাগের বিষয়টি বিমানবন্দরের প্রভাবশালী তিন গোয়েন্দা সংস্থার সমম্বয়ে জানাজানি করা হয়েছিল বলে একটি সাধারণ ডায়েরিতে বলা হয়েছে। কিন্তু এতেত্তাসব কিছুর আগেই আবদুল হামিদের দেশত্যাগের ঘটনায় প্রথমে পুলিশের চার কর্তাকে বলির পাঠা বানানো হয়েছে বলে কারো কারো অভিমত।
বলির পাঠার তালিকায় পড়ে গেলো আইভি
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় হত্যাসহ একাধিক মামলায় নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভী যিনি রাজনৈতিক অঙ্গনে মোটামুটি ক্লিন ইমেজের নেতা হিসাবে পরিচিত-তাকে বাড়ি থেকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। শুক্রবার (৯ মে) ভোর পৌনে ৬টায় দিকে নগরীর দেওভোগ এলাকায় অবস্থিত চুনকাকুটির থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। এর আগে রাত সাড়ে ১১টা থেকে সাবেক তার বাড়ির সামনে অবস্থা নেয় পুলিশ। এলাকায় মোটামুটি সবদলমতের কাছে জনপ্রিয় এই নেত্রীকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে খবর পেয়ে বাড়ির বাইরে অবস্থান নেয় এলাকাবাসী। পরে সড়ক অবরোধ সৃষ্টি করে এলাকাবাসী বিক্ষোভ শুরু করে বাড়ির চারপাশে ঘিরে রাখে। গ্রেফতারের সময় সেলিনা হায়াৎ আইভী অবশ্য নিজেও সাংবাদিকদের বলেন, পুলিশ গ্রেফতারি পরোয়ানা না দেখিয়ে ধরে নিয়ে যাচ্ছে। আমি নারায়ণগঞ্জে ২১ বছরের সেবায় কোনো দল কিংবা ব্যক্তিকে আঘাত করার মতো কিছু কখনও করিনি। যখনই নারায়ণগঞ্জে কোনো হত্যাকাণ্ড ঘটেছে তখনই আমি প্রতিবাদ করেছি, নারায়ণগঞ্জের সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে কথা বলেছি। অথচ আমাকে অপরাধী হিসেবে গ্রেফতার করা হলো।
বলির পাঠার আরো কয়েকজন
সাবেক রাষ্ট্রপতি হামিদের দেশ ত্যাগের পরপরই আরও কয়েকজন বলির পাঠা হলেন। তারা হলেন ক্ষমতাচ্যুত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ব্যক্তিগত কর্মকর্তা এস এম মিজানুর রহমান। বুধবার (০৭ মে) রাত ১০টার দিকে রাজধানীর ধানমন্ডি এলাকার ল্যাবএইডের সামনে থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। এছাড়া আওয়ামী লীগের সাবেক সংসদ সদস্য ও সংগীতশিল্পী মমতাজ বেগমকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ। গত ১২ মে সোমবার রাত পৌনে ১২টার দিকে রাজধানীর ধানমন্ডির স্টার কাবাবের পেছনে একটি বাসা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। এদিকে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা থেকে আওয়ামী লীগ ও তার অঙ্গসংগঠনের আরও চার সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে ডিবি। তারা হলেন-৩২ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সদস্য ও ওয়ার্ড যুব লীগের সাবেক সভাপতি মো. আরমান, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ৬৭, ৬৮, ৬৯ নম্বর ওয়ার্ডের সংরক্ষিত সাবেক মহিলা কাউন্সিলর মাহফুজা আক্তার হিমেল, ২ নম্বর গুলিস্তান ইউনিট যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মো. মোজাম্মেল এবং আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের ঢাকা মেডিকেল কলেজ ইউনিট সদস্য মো. সুমন। বলা হচ্ছে গ্রেপ্তার চারজনের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট অভিযোগে বিভিন্ন থানায় মামলা রয়েছে।
সর্বশেষ বলির পাঠা খোদ আওয়ামী লীগই
আওয়ামী লীগ সরকারের সাবেক রাষ্ট্রপতির দেশ ছাড়ার বড়ো বলির পাঠা হয়েছে খোদ আওয়ামী লীগের নামের দলটি। দেশত্যাগ নিয়েও চারদিকে চলে নানা আলোচনা-সমালোচনা। তারা দেশ ছাড়া নিয়ে চলছে তোলপাড়। ঘটনাটি জানাজানির পর বিক্ষোভে ফেটে পড়ে ছাত্র-জনতা। সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত উপদেষ্টার পদত্যাগ দাবি করে মিছিলও হয়। এরপর আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার দাবিতে তিন দিন ধরে টানা কর্মসূচি পালন করে আসছিল (জাতীয় নাগরিক পার্টি) এনসিপিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও সংগঠনের নেতা-কর্মীসহ ছাত্র-জনতা। এমন পরিস্থিতিতে গত ৯ মে শনিবার রাতে জরুরি বৈঠকে বসে অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদ। শেষমেষ বিচার শেষ না হওয়া পর্যন্ত আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ হয়েছে। অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনায় উপদেষ্টা পরিষদের বিশেষ সভায় গত শনিবার রাতে এসিদ্ধান্ত নেয়া হয়। এতে আরও বলা হয়েছে যে, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ও তার নেতাদের বিচার কার্যসম্পন্ন না হওয়া পর্যন্ত দলটির যাবতীয় কার্যক্রম নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। একই সঙ্গে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আইনের সংশোধনী প্রস্তাবও অনুমোদন দিয়েছে। যাতে ট্রাইব্যুনাল কোনো রাজনৈতিক দল, তার অঙ্গসংগঠন বা সমর্থক গোষ্ঠীকে শান্তি দিতে পারবে।
শেষ কথা
সাবেক রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের দেশ ছাড়া নিয়ে চলছে তোলপাড়। ঘটনাটি জানাজানির পর বিক্ষোভে ফেটে পড়ে ছাত্র-জনতা। সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত উপদেষ্টার পদত্যাগ দাবি করে মিছিলও হয়েছে। তবে কীভাবে তিনি দেশ ছাড়লেন তা নিয়ে চলছে আলোচনা-সমালোচনা। সরকারের নীতিনির্ধারকরা জানাচ্ছেন, আবদুল হামিদ দেশ ছেড়ে চলে যাবেন সেই তথ্য ছিল না। অথচ গণমাধ্যমে বরা হচ্ছে এই ব্যক্তি ভিআইপি প্রটোকল নিয়েছেন শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে। এমনকি সাবেক রাষ্ট্রপতি গাড়িতে বসেই ইমিগ্রেশন শেষ করেছেন। কেউ কেউ আবার খবর দিয়েছেন যে চুপিসারে নয়, বিমানবন্দরে সব গোয়েন্দা সংস্থার দায়িত্বরত কর্মকর্তাদের উপস্থিতি এবং ইমিগ্রেশনের সব আনুষ্ঠানিকতা শেষ করেই দেশ ছাড়েন সাবেক রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ। ঢাকা ত্যাগের সময় সাবেক এ রাষ্ট্রপতি ভিআইপি টার্মিনাল ব্যবহার করেন এবং সার্বিক আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করতে তিনি প্রায় ৪ ঘণ্টা অবস্থান করেন বিমানবন্দরে। তবে এরই মধ্যে সাবেক এই রাষ্ট্রপতি বিমানবন্দরের ভিআইপি টার্মিনালে পৌঁছার পর থেকে দেশত্যাগ পর্যন্ত কোন কর্মকর্তা কী করেছেন, কে কার সঙ্গে যোগাযোগ করে ইমিগ্রেশন সম্পন্নের নির্দেশ দিয়েছেন-এ বিষয়ে একটি গোয়েন্দা সংস্থা প্রতিবেদন তৈরি করেছে। গোপনীয় প্রতিবেদনটি সরকারের উচ্চপর্যায়ে পাঠানো হয়েছে। কারো কারো ধারণা হয়তো এর মাধ্যমে বেরিয়ে আসবে সাবেক এই রাষ্ট্রপতি কিভাবে দেশ ছেড়ে গেলেন? কারা সহায়তা করলেন? আর কেনো সেব্যাপারে এখনো পর্যন্ত কোনো খবর নেই। এটা ঠিক যে রাষ্ট্রপতি হামিদের দেশ ছাড়ার পরপর এখন পর্যন্ত যাদের গ্রেফতার দেখানো হচ্ছে তারা অবশ্য ফ্যাসিবাদী আমলে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করছেন। কিন্তু আবদুল হামিদের মতো ব্যক্তিদের চলে যাবার পরপর একের পর এক যে সারির আওয়ামী লীগ নেতা গ্রেফতার হচ্ছে সেব্যাপারে অনেক প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। বলা হচ্ছে যে ধরনের আওয়ামী লীগ নেতাদের এখন গ্রেফতার করা হচ্ছে তাদের রাজনৈতিক অবস্থান সাবেক রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের ধারে কাছেও নেই। আর একারণেই বাজারে গুজব রয়েছে রাঘব বোয়ালদের গ্রেফতারে ব্যর্থ হয়ে চুনোপুটিদের লোক দেখানো শায়েস্তা করছে ড. ইউনুসের অন্তর্বর্তী সরকার। আবার কারো মতে, রাঘব বোয়ালদের পলায়নের রমরমা ঘটনা লুকিয়ে ফেলতে কি নতুন নতুন নাটক সৃষ্টি করা হচ্ছে-যা অনেকটা শাক দিয়ে মাছ ঢাকার মতো। কারো কারো মতে, রাষ্ট্রপতির আবদুল হামিদের দেশ ছেড়ে চলে যাওয়া ব্যর্থ হয়ে সরকার আওয়ামী লীগের পাতি নেতাদের বলির পাঠা করে আসল পুরো বিষয়টির নেপথ্যকে লুকিয়ে রাখছে। তবে আরও আশার কথা হচ্ছে রাষ্ট্রপতির দেশ ছাড়া নিয়ে সর্বশেষ খবর তা হলো— একটি শক্তিশালি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। এখন সামনের দিকে দেখতে হবে সাবেক রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের দেশ ছাড়া নিয়ে আসলে কি কি স্পর্শকাতর তথ্য পেয়েছে সরকার।
এর পাশাপাশি দেখতে হবে সত্যিকারের জড়িতদের বিরুদ্ধে কতটা অ্যাকশনে যেতে পারছে অন্তর্বর্তী সরকার। তা না হলে জনমনে প্রশ্ন থেকেই যাবে এই ভেবে যে, সাবেক রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের দেশ ছাড়ার পেছনে আছে এখনো শক্ত অবস্থানে আছে দেশী-বিদেশী শক্তিশালি কারো হাত। যারা সামনের দিনে আরও অনেক নাটক মঞ্চস্থ করার ক্ষমতা রাখেন। বুঝে নিতে হতে হবে যে,সে-ই কালো ছায়াকেই ধামাচাপা দিতেই সপ্তাহজুড়ে এত্তো নাটক মঞ্চস্থ হয়ে গেলো?