১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫, শনিবার, ০১:৫২:৩৫ পূর্বাহ্ন


সর্বস্তরের ছাত্র জনতাকে যোগ দেয়ার আহ্বান বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন সমন্বয়কের
আজ ‘মার্চ টু ঢাকা’ কর্মসূচি
বিশেষ প্রতিনিধি
  • আপডেট করা হয়েছে : ০৫-০৮-২০২৪
আজ ‘মার্চ টু ঢাকা’ কর্মসূচি


বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ডাকা দেশব্যাপী সর্বাত্বক অসহযোগ কর্মসূচির প্রথম দিন রোববার সারা দেশে তান্ডবলীলা চলেছে। এতে অন্তত একশর মত নিহত ও বহু আহত হয়েছেন। এরমধ্যে রয়েছে ১৪ পুলিশ সদস্যও। বিক্ষুব্ধ ছাত্র জনতা বেশ ক’জন মন্ত্রী প্রতিমন্ত্রী ও সংসদ সদস্যের বাড়ীতে ও কার্যালয়ে আগুন ধরিয়ে দিয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে।


ঢাকায় স্থানীয় পত্রিকাগুলো জানাচ্ছে এদিন অন্তত পাঁচটি পোষাক তৈরী কারখানাতেও আগুন দিয়েছে বিক্ষোভকারীরা। রোববারের ওই কর্মসূচিতে সারাদেশ ছিল অচল। বিশেষ করে রাজধানী ঢাকার সঙ্গে কোনো ধরনের যানবাহন চলেনি। অফিস আদালতও চলেছে সীমিত পরিসরে।
এদিকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের দেশ ব্যাপী সর্বাত্বক  অসহযোগ কর্মসূচির বিদ্যমান থাকার মধ্যেই আজ ‘মার্চ টু ঢাকা’ কর্মসূচি দেয়া হয়েছে। এ কর্মসূচি রোববার দুপুরের দিকে মঙ্গলবার নির্ধারিত হলেও সন্ধ্যায় এক সমন্বয়ক এটাকে আজ সোমবার এগিয়ে নিয়ে আসার ঘোষনা দেন। এতে মুলত


সরকার পদত্যাগের একদফা দাবিতে সারা দেশের ছাত্র-জনতাকে ঢাকামুখী অভিযাত্রার আহ্বান জানিয়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। আজ সোমবার থেকে ‘মার্চ টু ঢাকা’ কর্মসূচি ঘোষণা করেছেন আন্দোলনের সমন্বয়করা। ফেসবুকে তারা এই ঘোষণা দেন। পরিস্থিতি বিবেচনায় পরে তা একদিন এগিয়ে আনা হয়। এদিকে রাতে এক বার্তায় কর্মসূচিতে সব স্তরের মানুষকে রাস্তায় নেমে আসার আহ্বান জানানো হয়। সংখ্যালঘুদের বাড়ি ঘরে হামলা করা হচ্ছে উল্লেখ করে বার্তায় আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সংখ্যালঘুদের বাড়িঘরের নিরাপত্তা দেয়ারও আহ্বান জানানো হয়।

সংখ্যালঘুদের রক্ষার অনুরোধ

বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়করা দেশে সংখ্যালঘুদের রক্ষা ও নিরাপত্তা দানের আহ্বান জানিয়েছেন। রোববার রাতে এক সমন্বয়ক

আব্দুল্লাহ সালেহীন অয়ন সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলেন, ‘যারা ঢাকায় আসতে পারবেন না, তারা বিভিন্ন জেলায় আমাদের হিন্দু এবং সংখ্যালঘু ধর্মীয় ভাইবোনদেরকে রক্ষা করার জন্য প্রতিরোধ গড়ে তুলবেন অবশ্যই।’

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘আমাদের আন্দোলনকে বিভিন্নভাবে প্রশ্নবিদ্ধ করার পাঁয়তারা এবং পরিকল্পনা চলছে। এত রক্ত ঝরার পর এই আন্দোলন কোনোভাবেই থামতে দেয়া দেয়া যাবে না। আর আগামীকাল চলে আসুন ঢাকায়, সব ধরনের ভেদাভেদ ভুলে গিয়ে। বিজয় সুনিশ্চিত।’

ভিডিও বার্তায় হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, ‘আগামীকাল (আজ সোমবার) আপনারা যারা লংমার্চের কর্মসূচির জন্য ঢাকায় আসতে পারবেন না, আপনাদের দায়িত্ব হচ্ছে নিজ এলাকায় বা আশপাশে যারা সংখ্যালঘু রয়েছেন তাদেরকে নিরাপত্তা দেওয়া। যাতে করে রাষ্ট্রীয় কায়দায় কোনো সংখ্যালঘুর ওপর নির্যাতন করে সেটির দায়ভার ছাত্র-জনতার ওপর চালাতে না পারে।’

তিনি বলেন, ‘আজকের এই পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে আমাদের পরিচয় মুসলিম, হিন্দু, খ্রীষ্টান বা শিখ নয়। আমাদের সবার দুটি পরিচয়৷ একটি হলো আমরা সবাই মানুষ আর দ্বিতীয়টি হলো আমরা সবাই নির্যাতিত। আর আমাদের এই আন্দোলন নির্যাতকদের বিরুদ্ধে, স্বৈরতন্ত্রের বিরুদ্ধে।

হাসনাত আবদুল্লাহ আরও বলেন ‘তাই আমাদের এক দফা দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আমাদের এই আন্দোলন চলবে। আপনারা নিশ্চিত করবেন, আগামীকাল (আজ সোমবার)  লংমার্চে ঢাকায় এসে সন্নিকটে থাকা বিজয় এবং জনগণের অভ্যুত্থান নিশ্চিত করবেন।’

শেয়ার করুন