৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫, শুক্রবার, ৬:৩১:১৯ অপরাহ্ন


সংবাদ সম্মেলনে নেতৃবৃন্দ
বিএনপি নেতা সম্রাটের ওপর হামলাকারীদের গ্রেফতার দাবি
দেশ রিপোর্ট
  • আপডেট করা হয়েছে : ২৮-০৫-২০২৫
বিএনপি নেতা সম্রাটের ওপর হামলাকারীদের গ্রেফতার দাবি বক্তব্য রাখছেন আব্দুল লতিফ সম্রাট


নড়াইলে একটি প্রতযোগিতায় অতিথি হিসেবে যোগদানের পথে ১৮ মে দুপুরে ‘যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির সাবেক সভাপতি ও বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির অন্যতম সদস্য আব্দুল লতিফ সম্রাটের গাড়ি বহরের ওপর নড়াইলের বিএনপির সভাপতি জাহাঙ্গির বিশ্বাসের নির্দেশে তার পেটোয়া বাহিনীর নির্লজ্জ বর্বরোচিত হামলার প্রতিবাদে’ ২৬ মে সন্ধ্যায় নিউইয়র্কে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলন থেকে নেতৃবৃন্দ অবিলম্বে অভিযুক্তদের গ্রেফতারের দাবি জানানো হয়েছে।

নিজ এলাকায় হামলায় আহত আব্দুল লতিফ সম্রাট নিউইয়র্কে ফিরেই এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন এবং এতে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে আরো কথা বলেন, বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির অন্যতম সদস্য ও মূলধারার ব্যবসায়ী গিয়াস আহমেদ, যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা কামাল পাশা বাবুল। সঞ্চালনা করেন বিএনপি নেতা এম এ বাতিন।

আব্দুল লতিফ সম্রাট জানান, হামলার পর সেখানকার হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছি। আহত কয়েকজন এখানো চিকিৎসা নিচ্ছেন। সন্ত্রাসীরা আমার নগদ অর্থ এবং সেলফোনটিও ছিনিয়ে নিয়েছে। নিকটস্থ পুলিশ স্টেশনে মামলা করা হয়েছে। এবং বিষয়টি বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটিকে লিখিতাকারে অবহিত করেছি। এরপরই আমি নিউইয়র্কে ফিরেছি। নড়াইলে ঐ সন্ত্রাসী হামলায় গুরুতরভাবে আহতদের একজনকে লন্ডন থেকে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান সাহেব ফোন করেছিলেন এবং তার কাছ থেকে বিস্তারিত অবহিত হয়েছেন বলে জেনেছি। আশা করছি শীঘ্রই বিএনপির ঐ নেতার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

গিয়াস আহমেদ বলেন, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান আগেই জানিয়েছেন যে, প্রবাসের যোগ্যতাসম্পন্নরা নির্বাচনে আগ্রহী হলে অবশ্যই এলাকায় যেতে হবে। তৃণমূলের নেতা-কর্মীগণের সমর্থন আদায় করতে হবে। তেমন আহবানে সাড়া দিয়েই আব্দুল লতিফ সম্রাট এলাকার মানুষের উপযুপরি অনুরোধে নড়াইলে যাচ্ছিলেন। এমন আচরণকে কখনোই মেনে নেয়া যায় না।

সংবাদ সম্মেলনে আব্দুল লতিফ সম্রাট আরো জানান যে, নিউইয়র্কে ফিরেই তিনি তার চিকিৎসকের শরণাপন্ন হয়েছিলেন। তাকে চিকিৎসার ফলোআপের পাশাপাশি সামনের সপ্তাহ থেকে নিয়মিত থেরাপি নিতে হবে।

এ সময় গিয়াস আহমেদ জানান, ৩২ দেশের প্রবাসী নেতৃবৃন্দের সাথে যোগাযোগ করেছি। সকলেই পার্লামেন্টে ১০% কোটার মাধ্যমে সংসদীয় আসন সংরক্ষণের জন্য আহ্বান জানিয়েছেন এবং একমত হয়েছেন। গিয়াস আহমেদ আরো উল্লেখ করেন, বাংলাদেশের অর্থনৈতিক মেরুদন্ডকে চাঙ্গা রাখতে অপরিসীম ভূমিকা পালনকারি এবং গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের আন্দোলনে আন্তর্জাতিক জনমত গঠনে অপরিসীম ভূমিকা রাখা প্রবাসীদের এখনো বিদেশী হিসেবে অভিহিত করার প্রয়াস পরিলক্ষিত হচ্ছে। এটা অবশ্যই নিন্দনীয়। তিনি বলেন, ‘ফ্যাসিস্ট হাসিনার আমলে বাংলাদেশে বিএনপির নেতারা যখন কোন কথা বলতে পারেননি তখন যুক্তরাষ্ট্র বিএনপি জাতিসংঘ, হোয়াইট হাউস, ক্যাপিটাল হিল সহ বিশ্বব্যাপী আন্দোলন করেছেন। ১/১১ পরবর্তী সময়ে আব্দুল লতিফ সম্রাটের নেতৃত্বে গোটা প্রবাসে সেনা সমর্থিত সেই কেয়ারটেকার সরকারের অপকর্মের বিরুদ্ধে জনমত সোচ্চার হয়েছিল। এগুলো অজানা নেই কারোরই। তবুও কেন প্রবাসীরা নিজ এলাকায় নিজ দলীয় কর্মীগণের আক্রমণের শিকার হচ্ছেন? উল্লেখ্য, ফেনীর থেকে মনোনয়নের আশায় যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির অপর সহ-সভাপতি আলহাজ্ব সোলায়মান ভূইয়াও এলাকার নেতা-কর্মীদের বিদ্বেষী হামলার ভিকটিম হয়েছেন।

সংবাদ সম্মেলনে নেতৃবৃন্দের মধ্যে আরো ছিলেন মুক্তিযোদ্ধা দলের কেন্দ্রীয় কমিটির অন্যতম ভাইস প্রেসিডেন্ট আলহাজ্ব বাবরউদ্দিন, যুক্তরাষ্ট্র জাসাসের সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার সায়েম রহমান, যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির সাবেক যুগ্ম সম্পাদক কাজী আজম, কোষাধ্যক্ষ জসীম ভুইয়া, বাসিত রহমান, আব্দুল কাহের, এম এ খালেক, মনিরুল ইসলাম, বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর মশিউর রহমান, যুক্তরাষ্ট্র জাসাসের সদস্য সচিব জাহাঙ্গির সোহরাওয়ার্দি, যুক্তরাষ্ট্র ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক মাজহারুল ইসলাম জনি, নিউইয়র্ক মহানগর বিএনপির সাবেক সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার আব্দুল খালেক, আরাফাত রহমান কোকো স্মৃতি পরিষদের চেয়ারম্যান শাহাদৎ হোসেন রাজু প্রমুখ।

শেয়ার করুন