৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫, শুক্রবার, ৬:০৬:০৩ অপরাহ্ন


বিপুল পরিমাণ রেমিট্যান্স পাঠাচ্ছেন প্রবাসীরা
বিশেষ প্রতিনিধি
  • আপডেট করা হয়েছে : ২৫-১২-২০২৪
বিপুল পরিমাণ রেমিট্যান্স পাঠাচ্ছেন প্রবাসীরা মার্কিন ডলার


জুলাই-আগস্টে গণঅভ্যুত্থানের রেমিট্যান্স পাঠানোর যে ধারা বইছে, সেটা ক্রমশ বাড়ছে। প্রবাসী বাংলাদেশিরা ২০২৪-২৫ অর্থবছরের ডিসেম্বরের প্রথম ২১ দিনে ২ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের বেশি রেমিট্যান্স পাঠিয়েছে বলে জানা গেছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রকাশিত তথ্য অনুসারে, রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন এবং বিশেষায়িত ব্যাংকের মাধ্যমে রেমিট্যান্স এসেছে ৬৯০.৪৫ মিলিয়ন এবং বেসরকারি ব্যাংকের মাধ্যমে ১৩১১.৬২ মিলিয়ন মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স এসেছে।

২০২৪-২৫ অর্থবছরে, জুলাই-নভেম্বর কর্মী-রেমিট্যান্স প্রবাহ ছিল ১১.১৪ বিলিয়ন, যা আগের অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় প্রায় ২৬ শতাংশ বৃদ্ধি।

এর আগে বিগত শেখ হাসিনা তথা আওয়ামী লীগ সরকারের গণঅভ্যুত্থানের আগে রেমিট্যান্স পাঠানো বন্ধ বা সীমিত আকারে পাঠাতেন প্রবাসীরা। স্বৈরাচারী সরকারে অতিষ্ঠ ও বাংলাদেশ থেকে প্রচুর পরিমাণ অর্থ বিদেশে পাচার হয়ে যাওয়ার খবরে উদ্বিগ্ন ছিল বাংলাদেশ, উদ্বিগ্ন ছিলেন প্রবাসীরাও। বিপুল পরিমাণ ডলার পাঠানো সত্ত্বেও ডলার ক্রাইসিস চরমে উঠেছিল। 

এতে করে এমনকি আমদানি রফতানি প্রক্রিয়া কার্যত অচল হয়ে যাওয়ায় ব্যবসা বাণিজ্য মুখ থুবড়ে পরার উপক্রম হয়। বেড়ে যায় নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যাদির দাম। কিন্তু আওয়ামী লীগ সরকার কোনো সুরাহাই করতে পারছিল না। বাধ্য হয়ে প্রবাসীদের বৈধ উপায়ে রেমিট্যান্স পাঠানোর অনুরোধ করেছিলেন শীর্ষপর্যায়ের নেতারা। কিন্তু খুব বেশি কাজ হয়নি। এরপর ছাত্র জনতার আন্দোলনের এক পর্যায়ে রেমিট্যান্স না পাঠানোর অনুরোধ জানানোর পর সেটা ব্যাপক প্রভাব পড়ে রেমিট্যান্সে। 

পরবর্তীতে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর প্রবাসীরা আবারও পাঠানো শুরু করে। অন্তর্বর্তী সরকার প্রবাসীরা দেশে ফিরলে বিমানবন্দরে যেন কোনো রকম হেনস্তার শিকার যাতে না হয়, সেজন্য কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণের পর রেমিট্যান্স পাঠানো বৃদ্ধি পেতে থাকে, যা বাংলাদেশের অর্থনৈতিক সেক্টরের জন্য একটা দারুণ ইতিবাচক এক দিক।

শেয়ার করুন