নিউইয়র্ক সিটির পাঁচটি ব্যুরোর অন্যতম ব্রঙ্কস। পার্কচেস্টার ও ক্যাসলহিল সাবওয়ের মধ্যখানে স্টারলিং অ্যাভিনিউয়ের দুই পাশে গড়ে উঠেছে বহুসংখ্যক বাংলাদেশির মালিকানায় বাংলা সাইনবোর্ডে লেখা সুপার মার্কেট, গ্রোসারি শপ, সেলুন, রেস্টুরেন্ট, ড্রাবল ডিসকাউন্ট শপ, ড্রাইভিং স্কুল, হোমকেয়ার, ট্রাভেল এজেন্সি, পান দোকানসহ ভ্রাম্যমাণ সবজির দোকান। যার ফলে স্টারলিং অ্যাভিনিউ নামের পাশাপাশি বাংলাবাজার হিসেবে সুপরিচিত হয়ে পার্কচেস্টার বাংলাদেশি অধ্যুষিত এলাকাটি। এখানকার বহুতলা অ্যাপার্টমেন্ট বিল্ডিং ও প্রাইভেট হাউসে বাস করেন বেশ কয়েক হাজার বাংলাদেশি প্রবাসী। যার ফলে সকাল ও বিকালবেলা স্টারলিং বাংলাবাজারে এলে এখানকার সুপরিচিত রেস্টুরেন্ট খলিল বিরিয়ানি, আল-আকসা, নীরব, প্রিমিয়াম, তান্দুরী প্যালেস, পাইসআপের ভেতরে প্রবেশ করলে দীর্ঘসময় ধরে বসে জমজমাট চায়ের আড্ডায় মেতে থাকায় সারাক্ষণ ভিড় লেগে থাকে। যদিও কেউ কেউ বিরক্ত হলেও অধিকাংশ মানুষ তা মেনে নিয়েছেন। যেহেতু বাঙালি আড্ডাবাজ, তাই রেস্টুরেন্ট কর্তৃপক্ষ বিশেষ প্রয়োজন ছাড়া কাউকে বসার আসন ছাড়তে সাধারণত বলেন না। দিনদিন নতুন ইমিগ্র্যান্ট বাংলাদেশিদের আগমনে পার্কচেস্টার এলাকায় বাংলাদেশিদের প্রাধান্য বেড়েই চলেছে। আর এসব চায়ের আড্ডার বিষয় থাকে বাংলাদেশের রাজনীতি আর আমেরিকার রাজনীতি। এখানে বিভিন্ন জেলা আর উপজেলার মানুষের দ্বারা গড়ে উঠেছে বিভিন্ন জেলা সমিতি ও উপজেলা সমিতি। সম্প্রতি শেষ হলো বাংলাদেশ সোসাইটি ইউএসএ ইনকের নির্বাচন। নির্বাচনকে ঘিরে মাস জুড়ে ছিল বাংলাদেশি স্টাইলে নির্বাচনী প্রচারণা। এসব রেস্টুরেন্টে গভীর রাত পর্যন্ত চা-সিঙ্গারা খেয়ে তিন-চারজন গ্রুপ করে জমজমাট চায়ের আড্ডার প্রতিদিনের চিত্র বাংলাদেশের ঐতিহ্যের প্রতীক।