১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫, শনিবার, ০৪:০৪:০৩ পূর্বাহ্ন


পার্বত্য জেলায় শান্তি ফেরাতে রাজনৈতিক উদ্যোগের আহ্বান
দেশ রিপোর্ট
  • আপডেট করা হয়েছে : ২৫-০৯-২০২৪
পার্বত্য জেলায় শান্তি ফেরাতে রাজনৈতিক উদ্যোগের আহ্বান


পার্বত্য চট্টগ্রামে বিরাজমান অশান্তির আগুন। আর এ অস্থিরতা অশান্তি মুক্ত হয়ে শান্তি ও স্থিরতা ফেরাতে সম্মিলিত রাজনৈতিক উদ্যোগ নেওয়ার আহ্বান জানিয়ে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের আমির শাহ মুহিব্বুল্লাহ বাবুনগরী ও মহাসচিব মাওলানা সাজেদুর রহমান। সোমবার (২৩ সেপ্টেম্বর) সংবাদমাধ্যমে এক বিবৃতি ওই আহ্বান জানান তারা। 

বিবৃতিতে হেফাজত নেতা বলেছেন, ‘পার্বত্য জেলায় চলমান অস্থিরতাকে আমরা বাইরের আধিপত্যবাদী ষড়যন্ত্রের ধারাবাহিকতা হিসেবেই দেখছি। এ অস্থিতিশীল পরিস্থিতি শান্ত করতে আমরা অন্তর্বর্তী সরকারকে সম্মিলিত রাজনৈতিক উদ্যোগ নেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি। অভিজ্ঞ রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে বসে শলাপরামর্শ করুন। পার্বত্য জেলার নিরীহ বাঙালি ও উপজাতি সবাই আমাদের ভাইবোন। সবাই বাংলাদেশি। তাদের মধ্যে সমঝোতা ও শান্তি প্রতিষ্ঠায় সেখানকার স্থানীয় দেশপ্রেমিক রাজনৈতিক পক্ষগুলোর সঙ্গেও আলোচনায় বসে সমন্বয়পূর্বক কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে।’

নেতারা আরো বলেন, ‘পার্বত্য অঞ্চল নিয়ে দেশি-বিদেশি চক্রান্তের বাস্তবতায় এটি আমাদের রাষ্ট্রীয় অখ-তা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষার প্রশ্ন হয়ে দাঁড়িয়েছে। বাংলাদেশবিরোধী পাহাড়ি সন্ত্রাসী গোষ্ঠীগুলোকে ‘জিরো টলারেন্স’ নীতিতে দমন করতে হবে। সার্বভৌমত্বের প্রশ্নে কোনও ছাড় দেওয়া যাবে না। প্রয়োজনে দেশের শত শত দেশপ্রেমিক ইমানদার যুবক বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সহায়তায় পাশে থাকবে।’ 

হেফাজতে ইসলামী বাংলাদেশের নেতারা বলেন, ‘বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর থেকে শেখ মুজিবের ‘বাঙালি পরিচয়’ অন্যান্য নৃগোষ্ঠীর ওপর চাপিয়ে দেওয়ার হঠকারিতা থেকেই পাহাড়ে অশান্তির শুরু। কিন্তু পরবর্তীতে জিয়াউর রহমানের দূরদর্শী নেতৃত্বে রাষ্ট্রীয় পরিচয় হিসেবে বাংলাদেশি জাতীয়তা গ্রহণের মধ্য দিয়ে পার্বত্য জেলার উপজাতিরা আত্মপরিচয়ের সংকট থেকে মুক্তি পায়।

হেফাজতের বিবৃতিতে আরো বলা হয়, আমাদের সংবিধান প্রত্যেক নাগরিকের নৃতাত্ত্বিক পরিচয় স্বীকার করার পাশাপাশি কোটাব্যবস্থার মাধ্যমে পাহাড়ি উপজাতিদের দেশের মূলধারার জনসমাজের সঙ্গে সংযুক্ত করারও ব্যবস্থা করেছে। অথচ পাহাড়ি বাঙালিরা সুবিধাবঞ্চিত সত্ত্বেও কোনো কোটা সুবিধা তাদের দেওয়া হয় না।

শেয়ার করুন