১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫, শনিবার, ৬:০২:৫৪ পূর্বাহ্ন


রহস্যজনক পরিবেশ : আসল খেলোয়াড় কে?
সৈয়দ মাহবুব মোর্শেদ
  • আপডেট করা হয়েছে : ১১-০৯-২০২৪
রহস্যজনক পরিবেশ : আসল খেলোয়াড় কে? প্রশ্ন উঠেছে- মাঠের আসল খেলোয়াড় কে?


ঢাকার রাজনৈতিক অঙ্গনে রহস্যজনক পরিবেশ বিরাজ করছে। এতো বড় একটি ছাত্র-জনতার সফল আন্দোলনের পরও বর্তমানে চারিদিকে সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে বাড়ছে কৌতূহল, উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা। এর পাশাপাশি বেশ কয়েকজন নেতার গভীর উদ্বেগ নিয়ে মন্তব্যও পুরো রাজনৈতিক অঙ্গনে আরো গভীর সন্দেহের সৃষ্টি করেছে। 

কি বুঝাতে চান ড. মুহাম্মদ ইউনূস?

গত ৮ সেপ্টেম্বর রোববার দুপুরে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের শাপলা হলে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে মতবিনিময় বৈঠকে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস কিছু কথা বলেন। তিনি শিক্ষার্থীদের বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা চুপচাপ বসে থাকবে না বলে মন্তব্য করেছেন। তিনি বলেন, এতদিন চুপচাপ শুয়ে শুয়ে স্বপ্নের মধ্যে আনন্দ সহকারে লুটপাট করে যাচ্ছিল। তাদের স্বপ্ন শিক্ষার্থীরা ভেঙে দিয়েছে। তারা কী এখন চুপচাপ বসে থাকবে? মোটেও না। খুব চেষ্টা করবে তোমাদের স্বপ্ন লুকিয়ে দেওয়ার। তারা চেষ্টার ত্রুটি করবে না। যেটা শুরু করছো সেই কাজ সমাপ্ত না হওয়া পর্যন্ত এখান থেকে বেড়িয়ে যেও না।

তারেক রহমান কি বোঝালেন?

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান এতোদিন দলকে নানানভাবে উৎসাহ দিয়ে আসছিলেন। দিয়েছিলেন নানান আশার বাণী। তার সাথে তাল মিলিয়েও অনেকে অনেক আশার বাণী শুনিয়েছেন। এটা অবশ্য ছাত্র-জনতার আন্দোলনের আগে থেকেই তিনি নেতাকর্মীদের আশ্বাস দিয়ে আসছিলেন। কিন্তু গত রোববার তার কিছু অস্বাভাবিক মন্তব্য অনেকের নজর কাড়ে। আর এতে করেই শুরু হয়ে গেছে নানান রহস্যের সৃষ্টি। কিছু রাজনৈতিক দল পার্শ্ববর্তী দেশের ফাঁদে পা দিয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। রোববার বিকেল ৫টায় সাতক্ষীরার কলারোয়া ফুটবল মাঠে এক জনসভায় ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ মন্তব্য করেন তিনি। সভার আয়োজন করে কলারোয়া উপজেলা ও পৌর বিএনপি।

আন্দোলন এখনও শেষ হয়নি?

এমন বক্তব্য দেয়ার পর তারেক রহমান আরো বলেন, আন্দোলন এখনও শেষ হয়নি। জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করতে যতদিন প্রয়োজন হবে, ততদিন বিএনপি আন্দোলন চালিয়ে যাবে। ষড়যন্ত্র এখনও অব্যাহত রয়েছে। এরই মধ্যে দেখা যাচ্ছে- কিছু রাজনৈতিক দল পার্শ্ববর্তী দেশের ফাঁদে পা দিয়েছে। তারা বেশ কিছুদিন যাবত উল্টো-পাল্টা বকছে।

কাকে খোঁচা দিলেন সারজিস আলম?

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক সারজিস ৮ সেপ্টেম্বর রোববার বিকেলে মুন্সীগঞ্জ শহরস্থ সরকারি হরগঙ্গা কলেজ মাঠে ছাত্র-জনতার সঙ্গে মতবিনিময় সভায় কিছু কথা বলেন। সারজিস আলম বলেছেন, গত ১৬ বছর ধরে বাংলাদেশের প্রত্যেকটি রাজনৈতিক দল তাদের সর্বোচ্চটুকু দিয়ে চেষ্টা করেছে, তারা ওই ফ্যাসিস্ট সরকাররে পতন ঘটানোর। গণমাধ্যমে প্রকাশিত বক্তব্যে দেখা যায় তিনি বলেছেন,‘ তারা কি পেরেছিল? ১৬ বছর ধরে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, বিভিন্ন ঈদের পরে, পূজার পরে আন্দোলনের চেষ্টা করেছিল এই ফ্যাসিস্ট সরকারের পতনের ঘটাতে, তারা কি পেরেছিল?’

সমন্বয়কের ডাকে বিএনপি’র না?

এদিকে ওইদিনই বেলা সাড়ে ১১টা থেকে সাড়ে ১২টা পর্যন্ত শহীদ পরিবার এবং আহত ব্যক্তিদের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ১৪ জনের প্রতিনিধিদলটি। সে সময় হতাহতের পরিবারের খোঁজখবর নিয়ে তাঁদের পাশে থাকার আশ্বাস দেন তাঁরা। ছাত্র জনতার আন্দোলনে অংশ নিয়ে মুন্সিগঞ্জে গত ৪ আগস্ট তিনজন মারা যান। এ ছাড়া ঢাকায় জুলাই থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত আন্দোলন চলাকালে আরও ছয়জন মারা যান। গণমাধ্যমের খবরে দেখা যায় যে ওইদিনই বেলা একটা থেকে আড়াইটা পর্যন্ত জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন, সেনাবাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও রাজনৈতিক নেতা–কর্মীদের সঙ্গে মতবিনিময় করে ঢাকা থেকে আসা সমন্বয়কদের দলটি। সে সভায় গত ৪ আগস্ট মুন্সিগঞ্জ শহরে ঘটে যাওয়া নারকীয় ঘটনা তুলে ধরেন রাজনীতিকেরা। সেখানে পুলিশের ভূমিকা নিয়ে নানা প্রশ্ন তোলেন তাঁরা। ওই সভায় জামায়াতে ইসলামী, জাতীয় পার্টির একাংশ, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ (চরমোনাই পীর) ও সিপিবির নেতারা অংশ নেন। কিন্তু বিএনপি কোনো পর্যায়েরই নেতারা সেখানে উপস্থিত ছিলেন না। 

এখনো ঝুঁকিপূর্ণ তালিকায় কেন দেশ?

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকদের ভ্রমণের ক্ষেত্রে ঝুঁকিপূর্ণ দেশের লাল তালিকায় এখনও রয়েছে বাংলাদেশ। গত ৪ সেপ্টেম্বর বুধবার যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের এক্স হ্যান্ডেলে প্রকাশ করা ভ্রমণ ঝুঁকিপূর্ণ দেশের তালিকায় এখনও বাংলাদেশের নাম দেখা গেছে। বাংলাদেশ ছাড়া তালিকায় থাকা অন্য দেশগুলো হচ্ছে আফগানিস্তান, বেলারুশ, বুরকিনা ফাসো, মিয়ানমার, সেন্ট্রাল আফ্রিকান রিপাবলিক, হাইতি, ইরান, ইরাক, লেবানন, লিবিয়া, মালি, উত্তর কোরিয়া, রাশিয়া, সোমালিয়া, দক্ষিণ সুদান, সুদান, সিরিয়া, ইউক্রেন, ভেনেজুয়েলা ও ইয়েমেন। তালিকা প্রকাশ করে দেশটি মার্কিন নাগরিকদের পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যস্ত এ দেশগুলো ভ্রমণ না করতে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। 

পুরো ঘটনা প্রবাহের বিশ্লেষণে কি বলে

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস শিক্ষার্থীদের বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা চুপচাপ বসে থাকবে না বলে মন্তব্য করেছেন। প্রশ্ন হচ্ছে তিনি কি ধারণা পেয়েছেন আওয়ামী লীগ বসে থাকবে না..। বা মাঠে কিছু একটা করবেই? তা না হলে কেনই-বা ছাত্রদের বলছেন, ‘যেটা শুরু করছো সেই কাজ সমাপ্ত না হওয়া পর্যন্ত এখান থেকে বেড়িয়ে যেও না।’ তিনি কি ছাত্রদের আরো অনেক সময় পাশে চান? এমনভাবে চাওয়া তো তিনি তার সাথে দেখা করতে আসা বিএনপি, জামায়াতসহ বিভিন্ন দলের কাছে চাইলেন না।

বললেন না রাজনৈতিক দলগুলিকে সর্তক থাকতে হবে? তিনি কি শিক্ষার্থীদেরই পাশে চান? তিনি কি চান না বড় রাজনৈতিক দলের সাহায্য-সহযোগিতা? আবার দেখা গেলো তিনি যখন এমন আবেদন শিক্ষার্থীদের কাছে চাইলেন তখন দেখা যাচ্ছে নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্তের লক্ষ্য অর্জনে আত্মপ্রকাশ ঘটেছে ‘জাতীয় নাগরিক কমিটি’। আত্মপ্রকাশ করেই ফ্যাসিবাদী ব্যবস্থার বিলোপে রাষ্ট্রের প্রয়োজনীয় সংস্কারে প্রেশার গ্রুপ হিসেবে কাজ করবে এ কমিটি। গত রোববার বিকেল সাড়ে চারটায় ঢাকার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে এ কমিটির আনুষ্ঠানিক আত্মপ্রকাশ হয়। 

এদিকে প্রধান উপদেষ্ঠার এসব বক্তব্য যখন মাঠে তোলপাড় করছে তখন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক সারজিস আলমের বিস্ফোরক মন্তব্য ও রাজনৈতিক অঙ্গনে আলোড়িত হচ্ছে। মুন্সীগঞ্জ শহরস্থ সরকারি হরগঙ্গা কলেজ মাঠে ছাত্র-জনতার সঙ্গে মতবিনিময় তিনি ওই বক্তব্য দেন। ধরেই নেয়া যায় আওয়ামী লীগের হাতে বন্দী থাকা গণতন্ত্রের জন্য ১৬ বছর ধরে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়া বিএনপি’কেই উদ্দেশ্য করেই তিনি এমন মন্তব্য করেছেন। তিনি বলেছেন, গত ১৬ বছর ধরে বাংলাদেশের প্রত্যেকটি রাজনৈতিক দল তাদের সর্বোচ্চটুকু দিয়ে চেষ্টা করেছে, তারা ওই ফ্যাসিস্ট সরকারকে নাকি পতন ঘটানোর। তারা কি পেরেছিল? ১৬ বছর ধরে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, বিভিন্ন ঈদের পরে, পূজার পরে আন্দোলনের চেষ্টা করেছিল এই ফ্যাসিস্ট সরকারের পতনের ঘটাতে, তারা কি পেরেছিল? তার বক্তব্যের সারমর্ম কি? সারজিস আলম কি মাঠে সক্রিয় রাজনৈতিক দলগুলিকে ছাড়াই কি সামনের দিনে কিছু করার ইঙ্গিত দিলেন?

অন্যদিকে একটি রাজনৈতিক দল পার্শ্ববর্তী দেশের ফাঁদে পা দিয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের মন্তব্যেও তোলপাড় বইছে রাজনৈতিক অঙ্গনে। যদিও তিনি কোনো দেশ বা দলের নাম নেননি। তবে কাকে উদ্দেশ্য করে বললেন তা-ও স্পষ্ট নয়। তিনি কি তার দলের সাথে থাকা যুগপৎ আন্দোলনের শরিক কোনো দলের বিরুদ্ধে এমন মন্তব্য করলেন? রাজনৈতিক অঙ্গনে এমন মন্তব্যের বন্যা যখন বহে যাচ্ছে তখন দেখা গেলো আরেকটি খবর। এতে দেখা যায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকদের ভ্রমণের ক্ষেত্রে ঝুঁকিপূর্ণ দেশের লাল তালিকায় এখনও রাখা হয়েছে বাংলাদেশকে। গত ৫ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের দিন মার্কিন নাগরিকদের ভ্রমণের ক্ষেত্রে ঝুঁকিপূর্ণ দেশের তালিকায় বাংলাদেশকে যুক্ত করা হয়। প্রশ্ন হচ্ছে অগাস্টে ছাত্র-জনতার বিজয়ের পরপরই বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে স্বাগত জানিয়েছিল যুক্তরাষ্ট্রও। বাংলাদেশের গণতন্ত্রকে এগিয়ে নিতে একসঙ্গে কাজ করার বিষয়ে ওয়াশিংটন বেশ আশাবাদী বলেও জানিয়েছিল। আবার সদ্য সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভিসাও বাতিল করে দেয় যুক্তরাষ্ট্র। প্রশ্ন হচ্ছে সে-ই দেশটিই এখনো ঝুঁকিপূর্ণ দেশের তালিকায় বাংলাদেশকে কেনো যুক্ত করে রেখেছে? 

আবার দেখা যাচ্ছে, চলতি মাসের মাঝামাঝিতে যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়া বিষয়ক সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লুসহ একটি উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধি দল ঢাকা সফরে আসছেন। পর্যবেক্ষকমহল মনে করে এসব বিষয়গুলি আসলে অনেক সুত্র গাথা হলেও বাংলাদেশে এখন জনমনে নানান ধরনের সন্দেহের ডালপালা মেলছে..। তা না হলে দ্রুত ও দৃঢ় সিদ্ধান্ত গ্রহণে ব্যর্থতা অন্তর্বর্তী সরকারের সাফল্য নিয়ে জনমনে হতাশার জন্ম দিচ্ছে বলে মনে করলেন গত রোববার একটি আলোচনা সবায় বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা? এতে আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেছেন, প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণে সরকারের দ্বিধা ও ধীরগতি জনগণের আশাভঙ্গের কারণ হতে পারে।

দিল্লি নিয়ে ইউনূস ও জামায়াতের নতুন আগ্রহ

এদিকে রাজনৈতিক অঙ্গনে আরো একটি বক্তব্য বেশ কৌতূহলের সৃষ্টি করেছে। সেই খবরে দেখা যাচ্ছে যে চলতি মাসের শেষের দিকে যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশনের ফাঁকে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের মধ্যে বৈঠকের নাকি প্রস্তাব দিয়েছে খোদ ঢাকা। আর এব্যাপারে সর্বশেষ জানা গেছে নয়াদিল্লি এখনো এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেয়নি। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম হিন্দুস্থান টাইমসের পক্ষ থেকে জানানো এমন খবরেও রাজনৈতিক মহলে বেশ কৌতুহল সৃষ্টি করেছে। এর পাশাপাশি ভারতের সঙ্গে বন্ধুত্বের সম্পর্ক চায় বলে যে ঘোষণা দিয়েছেন জামায়াতে ইসলামীর আমির শফিকুর রহমান, যা দিল্লির নজরে এসেছে বলে খবরে এসেছে। আর এতে দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আশা করছে যে ভবিষ্যতে এ নিয়ে আরো আলাপ-আলোচনা হতে পারে বলেও খবরে জানানো হয়। বাংলাদেশের স্বাধীনতা বিরোধীতা করা জামায়াতে ইসলামীর ব্যাপারে দিল্লির চোখ সর্বদাই ছিল বাঁকা। দলটির সাথে বিএনপি’র সখ্যতায় বিএনপি’কে ঘৃণার চোখেই দেখতো সাউথ ব্লক। কিন্তু সেই জামায়াতে ইসলামী নামের দলটি নিয়ে দিল্লির বর্তমান আগ্রহের পাশাপাশি ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের পক্ষ থেকে সাক্ষাতের গভীর চেষ্টাসহ সার্বিক ঘটনাপ্রবাহে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে আসলে হচ্ছে কি? কি হবে? মাঠের আসল খেলোয়াড়ই বা কে?

শেয়ার করুন