৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫, শুক্রবার, ০৭:১৩:০১ পূর্বাহ্ন


সনদে স্বাক্ষর করবে কয় দল?
ঐকমত্য কমিশনের সাড়ে ছয় মাস কতটা অগ্রসর
বিশেষ প্রতিনিধি
  • আপডেট করা হয়েছে : ০৩-০৯-২০২৫
ঐকমত্য কমিশনের সাড়ে ছয় মাস কতটা অগ্রসর


ঐকমত্য কমিশনের সাড়ে ছয় মাস পেরিয়ে গেল। কিন্তু এ সময়ে কতটা অগ্রসর হওয়া গেছে এ নিয়ে আলোচনা চলছে। ইতিমধ্যে জুলাই জাতীয় সনদের ‘চূড়ান্ত খসড়া’ ৪ সেপ্টেম্বরের মধ্যে রাজনৈতিক দলগুলোর কাছে পাঠানো হবে বলে জানিয়েছেন জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহ-সভাপতি আলী রীয়াজ। সংস্কার প্রশ্নে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে দীর্ঘ সংলাপের ভিত্তিতে এর আগে প্রাথমিক খসড়ার ওপর দলগুলোর মতামত নিয়ে ‘পূর্ণাঙ্গ সমন্বিত খসড়া’ তৈরি করা হয়েছিল। সেখানে দলগুলো যে মতামত দিয়েছে, তার ভিত্তিতে তৈরি হয়েছে চূড়ান্ত খসড়া।

কমিশন ৩০টি দলের কাছে মতামত চেয়েছিল। বেঁধে দেওয়া সময়ের মধ্যে ২৬টি দল মতামত জমা দেয়। গণঅধিকার পরিষদ (জিওপি), রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশ ও ইসলামী ঐক্যজোট মতামত দেয়নি। ঐকমত্য কমিশনের জনসংযোগ কর্মকর্তা পবন চৌধুরী বলেন, তারা হয়তো দুয়েক দিনের মধ্যে মতামত জমা দিয়ে দেবেন।

সিপিবিসহ বাম গণতান্ত্রিক জোটের চার দল ইতোমধ্যে সংবিধানের মূলনীতি পরিবর্তন প্রশ্নে দ্বিতীয় দফার শেষের দিকের আলোচনা বর্জন করে খসড়ায় নানা আপত্তি তুলে কমিশনে জমা দিয়েছে। দলগুলো বলছে, সংসদ ছাড়া সংবিধান সংস্কারের কোনো সুযোগ রাখা হলে তারা সনদের সই ‘না করার সম্ভাবনা বেশি’।

এর বাইরেও কয়েকটি দল, বিশেষ করে বাংলাদেশ জাসদ বেশ কয়েকটি বিষয়ে বিরোধিতা করেছে। দলটি দৃঢ়ভাবে বলেছে, জুলাই জাতীয় সনদকে ‘সংবিধানের ঊর্ধ্বে’ স্থান দেওয়া যাবে না। সনদ নিয়ে যদি কেউ সংক্ষুব্ধ হয়, তাকে আদালতের দ্বারস্থ হওয়ার অধিকার থেকে বঞ্চিত করা যাবে না। এছাড়া সংবিধানের সংশোধনীগুলো নির্বাচিত জাতীয় সংসদ ও উচ্চকক্ষে (যদি নির্বাচিত হয়ে) গ্রহণ করার পক্ষে মত দিয়েছে দলটি। এ নিয়ে বিবৃতিও দিয়েছে বাংলাদেশ জাসদ।

সনদে স্বাক্ষর করবে কয় দল?

বামগণতান্ত্রিক জোটের চার দল ছাড়াও গণফোরাম ও বাংলাদেশ জাসদ খসড়ার বেশকিছু বিষয়ে আপত্তি তুলেছে। রাষ্ট্র সংস্কারের সংলাপে যেসব বিষয়ে পূর্ণাঙ্গ ঐকমত্য হয়েছে, কেবল সেগুলো বাস্তবায়নের অঙ্গীকারনামার ভিত্তিতে জুলাই জাতীয় সনদে রাজনৈতিক দলগুলোর সই নেওয়ার পক্ষে মত দিয়েছে বাংলাদেশ জাসদ। ১ সেপ্টেম্বর জাতীয় সংসদ ভবনের এলডি হলে কমিশনের অনানুষ্ঠানিক বৈঠক থেকে বেরিয়ে সিপিবির সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স বলেন, আমাদের অনানুষ্ঠানিকভাবে আজকে আলোচনার আহ্বান জানিয়েছে। যেহেতু আমরা এর আগে একটি আলোচনা বয়কট করেছি সেই কারণে আজকে এলাম।

সেখানে গিয়ে দেখলাম, একটা হচ্ছে সনদ, আরেকটা হচ্ছে সনদের বাস্তবায়ন নিয়ে আজকে আমাদের মতামত নিয়েছে। এগুলো নিয়ে উনারা কাজ করে দু-চারদিনের মধ্যে চূড়ান্ত মত দিয়ে আমাদের কাছে জানতে চাইবেন এটার সঙ্গে আমরা থাকতে পারবো কি না। আর আমরা ‘হ্যাঁ’ বা ‘না’ উত্তর দিয়ে দেবো। তিনি বলেন, সনদ বাস্তবায়নের জন্য আমাদের লিখিত মত তারা জানতে চান, কীভাবে বাস্তবায়ন করবে তা অন্যদের সঙ্গে আলোচনা করো আমরা একটা মত দেবো।

ওনাদের সঙ্গে আমাদের দ্বন্দ্ব ঐকমত্য নিয়ে। কারণ যেসব বিষয়ে সবাই একমত সেগুলোকে ঐকমত্য বলতে পারবেন, অন্যগুলোকে ঐকমত্য বলা উচিত নয়। কিন্তু আপনারা অন্যগুলোকে ঐকমত্য বলে জটিলতা সৃষ্টি করছেন। এরকম থাকলে আমরা আগেও বলেছি, লিখিত দিয়েছি হয়তো এ ঐকমত্যের পক্ষে থাকা সম্ভব হবে না।

প্রিন্স বলেন, এখানে থাকা বা স্বাক্ষর করা সম্ভব কি না তা আপনাদের চূড়ান্ত দেখার পর জানিয়ে দেবো। বাস্তবায়নের কথা আমরা লিখিত দিয়েছি, যে ব্যাপারে ১০০ ভাগ ঐকমত্য হয়েছে, সেটা যদি আইনি প্রক্রিয়ায় করা সম্ভব হয় করবেন। আর যেটা সংবিধান সংশোধনীর বিষয়, সেটা ছেড়ে দিতে হবে আগামী সংসদের ওপর। যারা সংবিধানে বর্ণিত নিয়ম অনুসারে করবে।

বৈঠক থেকে বের হয়ে বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দলের (বাসদ) সাধারণ সম্পাদক বজলুর রশীদ ফিরোজ বলেন, আজকে অনানুষ্ঠানিক বৈঠকে আমাদের ডেকেছে, আমরা আগেও বলেছি আজকেও বলেছি, বর্তমান বাংলাদেশ সংবিধানে রাষ্ট্রের মূলনীতি হিসেবে ‘জাতীয়তাবাদ, সমাজতন্ত্র, গণতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতা’ বাদ দিলে এটা আমরা কোনোভাবেই মেনে নেবো না।

ঐকমত্য কমিশনের জনসংযোগ কর্মকর্তা পবন চৌধুরী বলেন, আজ অনানুষ্ঠানিক বৈঠক ছিল। এখানে ১৮টি দলকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল, সেখান থেকে ১৭টি দল অংশ নিয়েছে।

বৈঠকের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, অনানুষ্ঠানিক বৈঠকের কোনো বিষয় নিয়ে কথা বলার কিছু নেই।

কবে নাগাদ জুলাই সনদে রাজনৈতিক দলগুলোর স্বাক্ষর নেওয়া হবে জানতে চাইলে ঐকমত্য কমিশনের সহ-সভাপতি আলী রীয়াজ বলেন, রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আমরা অনানুষ্ঠানিক বৈঠক করেছি। আমরা আগামী বৃহস্পতিবারের মধ্যে সনদের চূড়ান্ত কপি স্বাক্ষরের জন্য রাজনৈতিক দলগুলোর কাছে দিয়ে দেবো। আশা করি সবাই স্বাক্ষর করবেন।

আইনি সুরক্ষাসহ এ সনদের পূর্ণ বাস্তবায়নে এসব বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর কাছে আগেই অঙ্গীকার চেয়েছে রাষ্ট্র সংস্কারে কাজ করে আসা ঐকমত্য কমিশন।

সংলাপে অংশ নেওয়া রাজনৈতিক দলগুলোর পাশাপাশি ঐকমত্য কমিশন সংশ্লিষ্টরা বহুল আলোচিত এ সনদে সই করতে বৃহস্পতিবার মধ্যে চূড়ান্ত কপি হাতে পাবেন।

ঐকমত্য কমিশনের সাড়ে ছয় মাস

জাতীয় ঐকমত্য কমিশন ১৫ ফেব্রুয়ারি থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে কাজ শুরু করে। ২৮ ফেব্রুয়ারির মধ্যে ছয়টি কমিশনের প্রতিবেদনের ছাপানো কপি সব রাজনৈতিক দলের কাছে পাঠানো হয়।

এরপর ৫ মার্চ পুলিশ সংস্কার কমিশন বাদে পাঁচটি কমিশনের প্রতিবেদনের গুরুত্বপূর্ণ ১৬৬টি সুপারিশ স্প্রেডশিট আকারে ৩৮টি রাজনৈতিক দল ও জোটের কাছে মতামতের জন্য পাঠানো হয়।

এর মধ্যে সংবিধান সংস্কার বিষয়ক ৭০টি, নির্বাচন সংস্কার বিষয়ক ২৭টি, বিচার বিভাগ সংক্রান্ত ২৩টি, জনপ্রশাসন সংক্রান্ত ২৬টি ও দুর্নীতি দমন কমিশন বিষয়ক ২৭টি সুপারিশ ছিল। পুলিশ সংস্কার কমিশনের সুপারিশগুলো সরাসরি প্রশাসনিক সিদ্ধান্তে বাস্তবায়নযোগ্য হওয়ায় সেগুলো স্প্রেডশিটে রাখা হয়নি।

সংবিধান সংস্কার কমিশন ছাড়া অন্য পাঁচটি কমিশনের দ্রুত বাস্তবায়নযোগ্য সুপারিশগুলোর তালিকা সরকারের কাছে হস্তান্তর করা হয়।

মোট ৩৫টি রাজনৈতিক দল ও জোট তাদের মতামত কমিশনের কাছে পাঠায়, অনেকে বিস্তারিত ব্যাখ্যা বিশ্লেষণও দেয়। মতামত গ্রহণের পাশাপাশি প্রথম পর্যায়ে ২০ মার্চ থেকে ১৯ মে পর্যন্ত ৩২টি দল ও জোটের সঙ্গে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের মোট ৪৪টি বৈঠক হয়। কিছু দলের সঙ্গে হয় একাধিক বৈঠক।

প্রথম পর্বের আলোচনায় ৬২টি বিষয়ে ঐকমত্য হয়।

কোরবানির ঈদের আগে প্রথম পর্যায়ের আলোচনা সংসদ ভবনের এলডি হলে শেষ হয়। এরপর ২ জুন দ্বিতীয় পর্যায়ের আলোচনা উদ্বোধন করে কমিশন।

রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে প্রথম পর্যায়ের আলোচনা শেষ করে কমিশন অগ্রাধিকার ও গুরুত্বপূর্ণ বিবেচনায় মোট ২০টি বিষয় নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে দ্বিতীয় দফা আলোচনা হয়।

আলোচনার দ্বিতীয় পর্ব শুরু হয় ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে। ৩ জুন থেকে ৩১ জুলাই পর্যন্ত ২৩ দিন চলে এ আলোচনা। সবশেষ জুলাই সনদের চূড়ান্ত সমন্বিত খসড়া মতামতের জন্য ২২ আগস্ট পর্যন্ত সময় দিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর কাছে পাঠানো হয়।

সনদে স্বাক্ষরের আগে এখন বাস্তবায়ন প্রক্রিয়া নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে অনানুষ্ঠানিক আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে কমিশন।

এর আগে রজনৈতিক দলগুলোকে পাঠানো ‘পূর্ণাঙ্গ সমন্বিত খসড়ায়’ যে অঙ্গীকারনামা ছিল, সেখানে আটটি প্রতিশ্রুতির কথা বলা ছিল।

১) জনগণের অধিকার ফিরে পাওয়া এবং গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার সুদীর্ঘ আন্দোলন-সংগ্রামের ধারাবাহিকতায় ২০২৪ সালের জুলাই-আগস্টের গণঅভ্যুত্থানে হাজারো মানুষের জীবন ও রক্তদান এবং অগণিত মানুষের সীমাহীন ক্ষয়ক্ষতি ও ত্যাগ-তিতিক্ষার বিনিময়ে অর্জিত সুযোগ এবং তৎপ্রেক্ষিতে জনআকাক্সক্ষা প্রতিফলন হিসেবে দীর্ঘ ধারাবাহিক প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে প্রণীত ও ঐকমত্যের ভিত্তিতে গৃহীত নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্তের দলিল হিসাবে ‘জুলাই জাতীয় সনদ ২০২৫’-এর পরিপূর্ণ বাস্তবায়ন নিশ্চিত করবো।

২) এ রাষ্ট্রের মালিক জনগণ; তাদের অভিপ্রায়ই সর্বোচ্চ আইন এবং গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় জনগণের অভিপ্রায় প্রতিফলিত ও প্রতিষ্ঠিত হয় রাজনৈতিক দলের মাধ্যমে। এমতাবস্থায় আমরা রাজনৈতিক দল ও জোটসমূহ সম্মিলিতভাবে দীর্ঘ আলাপ-আলোচনার ভিত্তিতে জনগণের অভিপ্রায়ের সুস্পষ্ট ও সর্বোচ্চ অভিব্যক্তি হিসাবে ‘জুলাই জাতীয় সনদ ২০২৫’ প্রণয়ন করেছি বিধায় এ সনদের সব বিধান, নীতি ও সিদ্ধান্ত সংবিধানে অন্তর্ভুক্তকরণ নিশ্চিত করবো এবং বিদ্যমান সংবিধান বা অন্য কোনো আইনে ভিন্নতর কিছু থাকলে সেক্ষেত্রে এ সনদের বিধান/প্রস্তাব/সুপারিশ প্রাধান্য পাবে।

৩) এ সনদের কোনো বিধান, প্রস্তাব বা সুপারিশের ব্যাখ্যা সংক্রান্ত যে কোনো প্রশ্নের চূড়ান্ত মীমাংসার এখতিয়ার বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের ওপর ন্যস্ত থাকবে।

৪) ‘জুলাই জাতীয় সনদ ২০২৫ ’-এর প্রতিটি বিধান, প্রস্তাব ও সুপারিশ সাংবিধানিক ও আইনগতভাবে বলবৎ হিসেবে গণ্য হবে বিধায় এর বৈধতা, প্রয়োজনীয়তা, কিংবা জারির কর্তৃত্ব সম্পর্কে কোনো আদালতে প্রশ্ন তোলা যাবে না।

৫) ‘জুলাই জাতীয় সনদ ২০২৫’ এ বাংলাদেশের সামগ্রিক রাষ্ট্রব্যবস্থা তথা সংবিধান, বিচার ব্যবস্থা, নির্বাচন ব্যবস্থা, জনপ্রশাসন, পুলিশি ব্যবস্থা ও দুর্নীতি দমন ব্যবস্থার বিষয়ে যেসব প্রস্তাব-সুপারিশ লিপিবদ্ধ রয়েছে সেগুলো বাস্তবায়নের জন্য সংবিধানের প্রয়োজনীয় সংশোধন, সংযোজন, পরিমার্জন, লিখন ও পুনর্লিখন এবং বিদ্যমান আইনের প্রয়োজনীয় সংশোধন, পরিবর্তন, পরিমার্জন, লিখন, পুনর্লিখন বা নতুন আইন প্রণয়ন, প্রয়োজনীয় বিধি প্রণয়ন বা বিদ্যমান বিধি ও প্রবিধির পরিবর্তন বা সংশোধন করব।

৬) আমরা ঐকমত্যে স্থির হয়েছি যে, গণতন্ত্র, মানবাধিকার ও আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার জন্য জনগণের নিরবচ্ছিন্ন সংগ্রাম এবং বিশেষত; ২০২৪ সালের অভূতপূর্ব গণ অভ্যুত্থানের ঐতিহাসিক তাৎপর্যকে সাংবিধানিক তথা রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি দেওয়া হবে।

৭) আমরা সম্মিলিতভাবে ঘোষণা করছি যে, রাষ্ট্র ২০২৪ সালের জুলাই-আগস্টের গণ অভ্যুত্থানকালে সংঘটিত সকল হত্যাকাণ্ডের বিচার, শহীদদের রাষ্ট্রীয় মর্যাদা প্রদান ও শহীদ পরিবারগুলোকে যথোপযুক্ত সহায়তা প্রদান এবং আহতদের সুচিকিৎসা ও পুনর্বাসনে ব্যবস্থা নিশ্চিত করবে।

৮) আমরা এই মর্মে একমত যে, জুলাই জাতীয় সনদ ২০২৫ এর যে সকল প্রস্তাব-সুপারিশ অবিলম্বে বাস্তবায়নযোগ্য বলে বিবেচিত হবে সেগুলো কোনো প্রকার কালক্ষেপণ না করেই পরবর্তী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে সরকার ও অন্যান্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষসমূহ সম্পূর্ণরূপে বাস্তবায়ন করবে।

এ সমন্বিত খসড়ার ওপর দলগুলোর মতামত নিয়ে যে চূড়ান্ত খসড়া তৈরি করা হয়েছে, তা প্রকাশ করেনি ঐকমত্য কমিশন।

শেয়ার করুন