নিউইয়র্ক স্টেটের জনপ্রিয় হোম কেয়ার প্রোগ্রাম কনসিউমার ডিরেক্টেড পার্সোনাল অ্যাসিস্ট্যান্স প্রোগ্রামে (সিডিপ্যাপ) পূর্ববর্তী হোম কেয়ার প্রোগ্রামে মাত্র ৩০টি জালিয়াতির ঘটনা শনাক্ত করেছে নিউইয়র্ক স্টেট স্বাস্থ্য বিভাগ এবং পাবলিক পার্টনারশিপস এলএলসি (পিপিএল)। ব্যাপক প্রতারণা ও জালিয়াতির অজুহাতে নিউইয়র্ক গভর্নর ক্যাথি হোকুল তার পছন্দের কোম্পানি পিপিএলকে নিয়োগ দেন। প্রায় ৩ লাখ কেয়ার দাতাদের মধ্যে মাত্র ৩০টি জালিয়াতি শনাক্ত করেছে স্টেট ডিপার্টমেন্ট অব হেলথ। সম্প্রতি সিডিপ্যাপ প্রোগ্রামে ব্যাপক পরিবর্তন এনে শুধু একটি ফিসক্যাল ইন্টারমিডিয়ারি পিপিএলকে নিয়োগ করা হয়েছে। প্রশাসনের দাবি, এই একক নিয়ন্ত্রিত ব্যবস্থায় জালিয়াতি, অপচয় এবং দুর্নীতি অনেকাংশেই হ্রাস পাবে। পিপিএলের তথ্য অনুযায়ী, তারা ইতিমধ্যেই ৩০টির বেশি জালিয়াতির ঘটনা শনাক্ত করেছে। এর মধ্যে রয়েছে মৃত বা হাসপাতালে ভর্তি থাকা রোগীদের নাম ব্যবহার করে বিল করা, বিদেশে থাকা অবস্থায় কাজের সময় লগ করা, একই সময়ে দুটি জায়গায় কাজ দেখানো, এমনকি দুইজন ভিন্ন বীমা ব্যবস্থার রোগীর জন্য একসঙ্গে সময় লগ করার মতো ঘটনা। পিপিএল জানিয়েছে, তাদের উন্নত বিলিং সিস্টেম ভবিষ্যতে এই ধরনের প্রতারণা রোধে সক্ষম হবে।
পিপিএলের গভর্নমেন্ট রিলেশনসের ভাইস প্রেসিডেন্ট প্যাট্রিসিয়া বার্নস বলেন, আমরা জানতাম যে সিস্টেমে কিছু অসংগতি রয়েছে, যেগুলো ঠিক করা প্রয়োজন। এই অসংগতিগুলোর মধ্যেই লুকিয়ে ছিল জালিয়াতির ইঙ্গিত। স্টেট স্বাস্থ্য দফতরের মুখপাত্র ড্যানিয়েল ডি সুজা বলেন, পিপিএলের সঙ্গে অংশীদারত্বে, আমরা এখন আরো উন্নত তথ্য ও নজরদারি ব্যবস্থার মাধ্যমে প্রোগ্রামের স্বচ্ছতা বজায় রাখছি। এতে শুধু প্রোগ্রামের সুরক্ষা নিশ্চিত হচ্ছে না, বরং প্রশাসনিক খরচও বছরে ১ বিলিয়ন ডলারের বেশি কমানো সম্ভব হয়েছে।
যদিও রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে এই পরিবর্তনকে ইতিবাচক বলে ব্যাখ্যা করা হয়েছে, প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের অধিকার নিয়ে কাজ করা সংগঠনগুলো এবংসিডি প্যাপ ব্যবহারকারীদের একটি অংশ ক্ষোভ প্রকাশ করেছে। তারা বলছেন, এ হঠাৎ পরিবর্তনের কারণে অনেকেই প্রিয় কেয়ারগিভার হারানোর আশঙ্কায় ভুগছেন। কিছু সহায়ক কর্মী ইতিমধ্যেই বেতন সংক্রান্ত সমস্যার কারণে প্রোগ্রাম ছেড়ে চলে গেছেন।
নিউইয়র্ক অ্যাসোসিয়েশন অন ইনডিপেনডেন্ট লিভিংয়ের মুখপাত্র ব্লেইস ব্রায়ান্ট বলেন, ‘এখন আর কিছু করার নেই, অনেক ক্ষতি হয়ে গেছে। শুধু আদালতের রায়, নতুন আইন, অথবা স্টেট সরকারের আত্মসমালোচনাই এ অবস্থার পরিবর্তন আনতে পারে। আগামী ১৫ আগস্টের মধ্যে সব পারসোনাল অ্যাসিস্ট্যান্টদের পিপিএল-এ স্থানান্তরিত হতে হবে। ইতোমধ্যে প্রায় ২ লাখ ৮০ হাজার মেডিকেইড গ্রাহকের মধ্যে ২ লাখ ৬ হাজার জন এবং ২ লাখ ২২ হাজার পারসোনাল অ্যাসিস্ট্যান্ট পিপিএলের আওতায় চলে এসেছেন।