৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫, শুক্রবার, ০৯:১৮:৪৭ পূর্বাহ্ন


ঘুরে এলো আগস্ট
গণহত্যার বিচার প্রশ্নবিদ্ধ কেন?
খন্দকার সালেক
  • আপডেট করা হয়েছে : ০৬-০৮-২০২৫
গণহত্যার বিচার প্রশ্নবিদ্ধ কেন? ছবি : জাতিসঙ্ঘের ওয়েবসাইট


২০২৪ জুলাই আগস্ট গণআন্দোলনে ছাত্র-জনতা, পুলিশ পৈশাচিক হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছে। অনেক আহত ব্যক্তি এখনো ভুগছে। সরকার পরিবর্তিত হয়ে অন্তর্বর্তী সরকার বিগত ৩৬৫ দিন সময়ে নিরপেক্ষ বিচার প্রক্রিয়ায় একটি বিচারকাজ শেষ করতে পারেনি। নানা কারণে বিচার ব্যবস্থার স্বচ্ছতা এবং নিরপেক্ষতা প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে আছে। নিহত আহত জনদের স্বজনরা হতাশ এবং বিক্ষুব্ধ। উপদেষ্টারা আশ্বাস দিচ্ছেন। কিন্তু মনে হচ্ছে বিচার প্রক্রিয়ার একমাত্র লক্ষ্য শেখ হাসিনা এবং আওয়ামী লীগের বিচার। দেশি-বিদেশি কাদের চক্রান্তে কীভাবে বাংলাদেশে স্বল্প সময়ে এতো নিরীহ মানুষ প্রাণ বিসর্জন দিলো তার নিরপেক্ষ, স্বচ্ছ বিচার বিদ্যমান পরিস্থিতিতে আদৌ সম্ভব কি না প্রশ্ন জেগেছে। অথচ জুলাই আগস্টের নির্মম হত্যাকাণ্ডের শহিদের আত্মাহুতিকে পুঁজি করে অনেকেই নানাভাবে পরিস্থিতির সুযোগে চাঁদাবাজি, দখলদারি করে বিপুল বিত্ত অর্জন করেছে। প্রতিদিন নানাজনের দুর্নীতির ফিরিস্তি পাওয়া যাচ্ছে। রাজনৈতিক দলগুলোর ক্ষমতা অর্জনের দ্বন্দ্বে পরস্পরের প্রতি বিষোদ্গার করছে।

প্রশ্ন উঠছে প্রধান উপদেষ্টা কেন একটি দিনের জন্য জুলাই আগস্ট হত্যাকাণ্ডের শিকার ব্যক্তিদের স্বজনদের সঙ্গে কথা বলার সময় করতে পারলো না। অনেকে বলবেন মামলা বাণিজ্য করে ইচ্ছাকৃতভাবে হত্যাকাণ্ডগুলোর বিচার জটিল করা হয়েছে। বিতর্কিত ব্যক্তিদের ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটার বানিয়ে বিচারের নিরপেক্ষতা প্রশ্নবিদ্ধ করা হয়েছে। কিছু বিতর্কিত ব্যক্তি-ব্লগার উসকানি দিয়ে মব সন্ত্রাস সৃষ্টি করে অরাজকতা সৃষ্টি করছে। পুলিশ বা প্রশাসন এখনো এলোমেলো। এখন পর্যন্ত সরকার মহা দুর্নীতির দায়ে শীর্ষ দুর্নীতিবাজদের আইনের আওতায় আনতে পারেনি। যদি ডিসেম্বর ২০২৫ অথবা ফেব্রুয়ারি ২০২৬ জাতীয় নির্বাচন হয়, তাহলে হাতে আছে ৫ অথবা ৭ মাস। তড়িঘড়ি করে কয়েকটি বিচার সম্পাদন করলে দেশীয় বা আন্তর্জাতিকভাবে সেগুলো গ্রহণযোগ্য হবে না। বরং ভবিষ্যতে আগস্ট ২০২৪ থেকে এযাবৎ সংঘটিত নানা লংকাকাণ্ডের জন্য ভবিষ্যতে অনেককে বিপদে পড়তে হবে।

শেয়ার করুন