৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫, শুক্রবার, ০৯:২৬:৫২ অপরাহ্ন


জামায়াত আমীরের যে বক্তব্যে বিএনপিতে তোলপাড়
দেশ রিপোর্ট
  • আপডেট করা হয়েছে : ২৮-০৮-২০২৪
জামায়াত আমীরের যে বক্তব্যে বিএনপিতে তোলপাড় বক্তব্য রাখছেন জামায়াতের আমীর


জামায়াত ইসলামী বাংলাদেশের আমীর ডা. শফিকুর রহমানের দেয়া এক বক্তব্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল। ২৬ আগস্ট। জামায়াত ইসলামের মেডিকেল থানা- কর্মী সম্মেলনে তিনি বক্তব্য রাখছিলেন। এমন এক বক্তব্যের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ছড়িয়ে পড়েছে। যা নিয়ে বিএনপি নেতাকর্মীদের মধ্যে তোলপাড়। রীতিমত তুমুল সমালোচনাও হচ্ছে দলটির অভ্যন্তরে। 

সেখানে প্রধান অতিথির ভাষনের এক পর্যায়ে জামায়াতের আমীর ডা. শফিকুর রহমান উপস্থিত কর্মীদের প্রশ্ন করেন ‘আমাদের লোকেরা অনেকেই জিজ্ঞেস করে, আমরা আবার বিএনপির সাথে যাবো কি না? আপনারা কী মনে করেন, যাওয়া দরকার? কর্মীরা এক যোগে বলে ওঠেন ‘না’।’ এরপর তিনি তার বক্তব্য চালিয়ে যান। সেখানে তিনি দলের কর্মীদের বর্তমান সময়ের নানা ঘটনা তুলে ধরে বলেন, ‘এগুলা আমরা সবাই চোখের সামনে দেখছি না? আজকে যদি একজন রিক্সাওয়ালাকেও জিজ্ঞেস করা হয়, ভাই তুমি বলো তো, এ বছরের নির্বাচনটা কখন হওয়া উচিত? সে ও একটা জবাব দেবে, দেবে না? এখন সবাই কিন্তু সচেতন। কিন্তু আবার অস্থিরতা আবার শুরু হয়ে গেছে। এই গত পরশুদিন ওনারা (বিএনপি) ‘নির্বাচনের রোড ম্যাপ’ চেয়ে বসেছেন। 

এ আন্দোলনের (বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন) সময় সাত আট বছরের শিশু, এভাবে (হাত দিয়ে ইশারা করে) তার সামনে মাইক্রোফোন ধরে জিজ্ঞেসা করেছেন- তুমি কেন এসেছ? একটা চমৎকার একটা উত্তর একেকটা শিশু দিয়েছে। আমি বলি ও শিশু হয় কিভাবে? ও তো সত্তর বছরের পরিপক্ক মানুষ। কাজেই আজকে মানুষ কী পরিমান সচেতন। সেই জায়গায় আমি যা বলবো, তাই মানবে?’ 

ডা. শফিক বলেন, ‘মানুষ যা চাইবে, তাদের বিকেক সেখানে সায় দিবে, যারা রাজনীতি করেন তাদের মানুষের মনের ভাষা পড়তে হবে। মনের সাহিত্যটা পড়তে হবে। মনের কবিতা পড়তে হবে। মনের বইটা পড়তে হবে। যদি মানুষের মনের গদ্য না পড়তে পারি তাহলে আমরাও আমরাও ব্যর্থ হবো। এটা বুঝতে হবে। আলহামদুলিল্লাহ, এ জন্য আমরা আল্লাহর শুকরিয়া আদায় করি। আমরা আমাদের জানামতে এখনও ওই ধরনের বাড়াবাড়িতে আমরা যাইনি। তারপরও আমরা এটা বলতে পারবো না যে, আমাদের দোষও নেই, ভুলও নেই। আমরা কোনো অপরাধ করিনি, এটাও বলতে পারবো না। আমাদের দোষও আছে ভুলও আছে, অপরাধও আছে।’ 

তিনি বলেন, ‘এখন জাতি বহুমুখী সঙ্কটে। একদিকে শহীদ পরিবারগুলোর আহাজারি করছে। আহতরা হাসপাতালের বেডে কাতরাচ্ছে। পা হারা, হাত হারা, কী কষ্টের মধ্যে তারা আছে। আবার ইতিমধ্যে বন্যার ভয়াবহতা শুরু হয়েছে। যারা জনগণের জন্য রাজনীতি করে, রাজনীতি তো জনগণের জন্য। তাদের (বিএনপি’র) তো উচিৎ এখন এ বিপন্ন মানুষের পাশে দাঁড়ানো। এ সময়টা ওখানে না দাঁড়াইয়া নির্বাচন, নির্বাচন, নির্বাচন এ জিকির করলে জাতি কী এটাকে কবুল করবে? কবুল করবে না। সে তো ওনারা (বিএনপি) শুরু করে দিয়েছে। আর নির্বাচন তো তাদের লাগেও তো না। ইতিমধ্যে যেখানে যা দখল করার কথা ফুটপাত থেকে ফকিরের বাণিজ্য থেকে সব কিন্তু ওনারা নিয়ে নিয়েছে। যা আওয়ামী লীগ ১৫ বছরে সাজিয়েছিল তার ৮০ পার্সেন্ট ওনাদের দখলে ইতিমধ্যে চলে গেছে। আর ২০ ভাগ বাকী আছে। আর কী করবে সরকার। সরকার তো হয়েই গেছে।’

শেয়ার করুন