লন্ডনে প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক বাংলাদেশের অশান্ত রাজনীতিতে হিমশীতল ছোঁয়া দিয়ে গেছে। স্বার্থান্বেষী দু’একটা দল ছাড়া বাংলাদেশে অর্ধশতাধিক রাজনৈতিক দল এ বৈঠককে স্বাগত জানিয়েছে। এ বৈঠকেই নির্বাচনের রূপরেখা চূড়ান্ত হয়ে গেছে। বাস্তবে ঘোষণা না হলেও সরকারের বিভিন্ন দফতরে যে দৌঁড়ঝাপ তাতে নির্বাচনের ট্রেনে যে উঠে গেছে বাংলাদেশ সেটা স্পষ্ট। ওই বৈঠকে যে ম্যাসেজ দিয়েছে প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস সেটা বিএনপির প্রত্যাশাপূরণ তুল্য। বিএনপি আগামী ডিসেম্বরে নির্বাচনের দাবি করেছে। আর প্রফেসর ইউনূস ম্যাসেজ দিয়েছেন যদি কতিপয় সংস্কার ও কিছু কাজ সহসাই শেষ করা যায়, তাহলে এপ্রিলেই নির্বাচন। তবে যতদূর খবর মিলেছে, তাতে ফেব্রুয়ারির প্রথমভাগেই তথা সম্ভবত ১২ ফেব্রুয়ারির বা তার আশপাশ সময় ধরেই প্রশাসন নির্বাচনের প্রস্তুতি ইতিমধ্যে শুরু করে দিয়েছে।
রাজনৈতিক দলসমূহও প্রস্তুতি নিচ্ছে
এদিকে রাজনৈতিক দলসমূহের নির্বাচন অংশ নিতে অনেক আগ থেকেই প্রস্তুতি শুরু করেছে। এতে সর্বাগ্রে জামায়াত ইসলামী। বেশ ক’মাস আগেই ৩০০ আসনের কোথায় কোন প্রার্থী তারা দেবেন সেটা সাংগঠনিকভাবে সিলেক্ট করে রেখেছে। যদিও আনুষ্ঠানিক ঘোষণা হয়নি। তবে সাংগঠনিকভাবে ওই হিসেব তাদের সবার আগেই চূড়ান্ত করে বসে আছে।
বিএনপিও এ ব্যাপারে ভেতরে ভেতরে প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছে। মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, আমরা যে কোনো সময়ে নির্বাচনে অংশ নিতে প্রস্তুত। বিএনপি তথা দলটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান গোটা বাংলাদেশেই জরিপ করিয়েছেন তার নিজস্ব নেটওয়ার্ক দিয়ে। কোন এলাকায় বিগত সময়ে কে কাজ করেছেন, মাঠে ছিলেন। কে নিঃস্বার্থ কাজ করেছে। কার বিরুদ্ধে চাঁদাবাজিসহ বিভিন্ন অপকর্মের দুর্নাম নেই। নেতাকর্মীদের বিপদে পাশে দাঁড়িয়েছেন কিংবা এলাকায় ব্যাপক গ্রহণযোগ্যতা ও দলের নিবেদিত নিঃস্বার্থ- এ ধরনের যোগ্য কারা তাদেরকে খুঁজে বের করে ইতিমধ্যে তালিকাও করে ফেলেছেন। ফলে কারো সুপারিশের প্রয়োজন পড়বে না। দুই তিন ধরনের জরিপে সচ্ছ প্রার্থী তালিকা এখন তারেক রহমানের হাতে। সময়মত তিনি এগুলোকে প্রধান্য দেবেন।
এছাড়াও বিএনপির সঙ্গে যুগপৎ আন্দোলনে যারা আন্দোলনের মাঠে স্বৈরাচার হটানোতে বছরের পর বছর কাজ করে গেছেন, তাদেরকেও তিনি মূল্যায়ন করবেন। ফলে বিভিন্ন পরিসংখ্যান নিয়ে তৈরি বিএনপিও। সর্বপরি স্মরণকালের ঐতিহাসিক জাতীয় নির্বাচনে প্রার্থী হিসাবে নাম লেখাতে দৌঁড়ঝাপ শুরু হয়ে গেছে এটা বলে দেয়া যায় অনায়াসেই। শুধু বিএনপি নয়, গণতন্ত্রকামী নির্বাচনমুখী সব দলের সম্ভাব্য প্রার্থী অভূতপূর্ব এই নির্বাচনী উৎসবে যোগ দিতে মাঠে নেমে পড়েছেন। বিএনপির কে কোন আসনে প্রার্থী হতে চান সে দৌঁড়ঝাপ তো আছেই, এছাড়া আসন ভাগাভাগিসহ পর্দার আড়ালে নির্বাচনী নানা হিসাব-নিকাশ ও সমঝোতার আলাপ সেরে নিতে অনেকে ছুটছেন সাজঘরে।
অন্যান্য দলসমূহের মধ্যে এককভাবে প্রার্থী দেবেন কেউ কেউ বড় দলের সঙ্গে জোটবদ্ধ হওয়ারও পরিকল্পনা করছেন। চলছে সে দেনদরবারও। সিইসি নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা দিলেই ঝাঁপিয়ে পড়বেন তারা নির্বাচের মাঠে।
প্রশাসনে প্রস্তুতি
কুরবানির ঈদের ছুটি শেষে সংশ্লিস্ট সরকারি অফিস আদালতে কাজ শুরু হয়েছে। গত ১৫জুন রোববার অফিস খোলার দিনই নির্বাচন কমিশনের বিশেষ বৈঠক শেষে প্রধান নির্বাচন কমিশনার আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন অবাধ নিরপেক্ষ ঐতিহাসিকভাবে করতে সকলের জন্য লেবেল প্লেইং ফিল্ড তৈরির প্রস্তুতির কথা জানান।
সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রীর সভাপতিত্বে জাতীয় কোর কমিটির বৈঠকেও নির্বাচনকে প্রধান গুরুত্ব দিয়ে কাজ করতে নির্দেশনা দেওয়া হয় বলে জানা গেছে। পুলিশ সদর দপ্তরের ঈদ শুভেচ্ছা বৈঠকে আইজিপি নির্বাচনী পরিবেশ তৈরিকে সবচেয়ে গুরুত্ব দিয়ে কাজ করার জন্য পুলিশ কর্মকর্তাদের নির্দেশনা দেন। আর প্রশাসনের এমন নির্বাচনি আমেজে কথাবার্তা ও নির্দেশনা মূলত: আগামী জাতীয় নির্বাচনের প্রস্তুতির নির্দেশনা লন্ডন প্রধান উপদেষ্টা ও তারেক রহমানের বৈঠকের প্রভাবকেই দেখা হচ্ছে বলে মনে করেন রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টরা।
কবে নাগাদ হতে পারে ভোট
আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোট কবে নাগাদ হতে পারে, সেই তারিখ নির্ধারণের ব্যাপারে কথা বলেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন। তিনি জানিয়েছেন, ‘সরকারের সঙ্গে আলোচনা করে ভোটের তারিখ নির্ধারণ করা হবে।’ ১৫ জুন রোববার দুপুর আড়াইটায় নির্বাচন ভবনে নিজ দফতরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে নানা প্রশ্নের জবাবে এ কথা জানান সিইসি। নাসির উদ্দিন বলেন, ‘লন্ডনে যা আলোচনা হয়েছে, এর বাইরে আমার কোনো নলেজ নেই। প্রধান উপদেষ্টা যেটা বলেছেন আমি মিডিয়ায় দেখেছি। সরকারের সঙ্গে আমাদের এখনো আলোচনা হয়নি। আমরা আমাদের প্রস্তুতি নিয়ে ভাবছি, যখনই হয় যেন ভোট করতে পারি। সরকারের সঙ্গে আলোচনার পর বুঝতে পারব, কখন ডেট দিতে হবে।’
প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন, ‘জাতীয় নির্বাচনের যে বিষয়টি এসেছে, যখনই হোক, ফেব্রুয়ারিতে বা এপ্রিলে আমাদের তো প্রস্তুত থাকতে হবে। আগে ডিসেম্বর থেকে জুনের কথা বলা হয়েছিল। এখন আবার নতুন ডাইমেনশন আসছে। লন্ডনে যে ঘোষণা হয়েছে আপনারা যতটুকু জানেন আমিও ততটুকু জানি। ভেতরে কী হয়েছে তা জানি না।’
তিনি জানান, ‘আমার কাছে আনসাইন একটা কপি এসেছে, সেটাও কতটুকু তা তো জানি না। ইতিহাসের পেছনেও ইতিহাস থাকে। আলাপের পেছনেও আলাপ থাকে। ঘোষণা একটা হয়েছে, যদি সত্যি হয়ে থাকে, এখন এক-দেড় ঘণ্টার আলোচনা হয়েছে শুধু একটা স্টেটমেন্ট দিয়ে বোঝা অসম্ভব। কাজেই সেগুলো আমাদের জানতে হবে। আমাদের নিরাপত্তা উপদেষ্টা একটা আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন যে, ইসি হয়তো একটা ডেট ঘোষণা করবে।’
সিইসি আরো বলেন, ‘নরমালি বিবেচনা করলে হবে না। এটা একটা বিশেষ পরিস্থিতি। বিশেষ ধরনের সরকার। শাসনতন্ত্র যেটা আছে, সেটা হলে তো সংসদ ভেঙে যাওয়ার তিন মাসের মধ্যে করে ফেলতে পারতাম। যেহেতু এখন বিশেষ ধরনের সরকার, বিশেষ পরিস্থিতি, সরকার সংস্কারের বিষয়ে দলগুলোর মধ্যে আলোচনা করছে। বিচার হচ্ছে, সেটা যেন তরান্বিত হয়, সে আলোচনাও করছে সরকার। এখন এগুলো নিয়ে সরকারই আলোচনা করছে এখনো পর্যন্ত। আমাদের ধারণা হচ্ছে, আশা করছিলাম যে সরকারের পক্ষ থেকে একটা তারিখ ঘোষণা হবে। এখন লন্ডন বৈঠকের পর দায়দায়িত্ব কিছুটা আমাদের ওপরে। বিস্তারিত কিছু জানি না। সরকারের সঙ্গে আমাদের একটু কথাবার্তা না হলে, কোনো নির্দেশনার জন্য নয়। আমরা কারও নির্দেশনায় কাজ করব না। একদম এটা পরিস্কার। আমরা কারও হুকুমে, কারও নির্দেশনায় বা পরিচালনায় কাজ করব না। এটুকু আজকে আমাদের কর্মকর্তাদের বলেছি।’
নাসির উদ্দিন বলেন, ‘কোনো দলীয় স্বার্থে নয়, নিরপেক্ষতার সঙ্গে কাজ করবেন, এটা কর্মকর্তাদের আজ বলেছি। জাতির উদ্দেশে বলতে চাই, কেউ যদি মনে করেন। ব্যালট বাক্স লুট করে নিয়ে যাবেন, কেন্দ্র দখল করে জিতে যাবেন, তারা দিবাস্বপ্নে আছে। এটা এবার হতে দেব না ইনশাল্লাহ।’
সিইসি বলেন, ‘সবাই সুন্দর নির্বাচন চায়। তাহলে আমাদের দ্বিধা-দ্বন্দ্ব কেন। কিছু লোক আছে যারা মতলববাজ, নির্বাচন এলে পথ থেকে ভোটারদের সরিয়ে। দেবে, ভোট বাক্স লুট করে নিয়ে যাবে, সেই সুযোগ এবার পাবে না। এটা আমি নিশ্চয়তা দিচ্ছি।’ নির্বাচন কবে এটা কি সরকার থেকে নিশ্চিত করতে হবে? এমন প্রশ্নের জবাবে সিইসি বলেন, ‘এটা আমার কাছে পরিষ্কার নয়। আরপিও এর ১১ ধারায় পরিষ্কার বলা আছে, নির্বাচন কমিশন গেজেটের মাধ্যমে তারিখ ঘোষণা করবে। ছয় মাস আগে অমুক তারিখে নির্বাচন হবে। এটা বলার বিধান তো এখানে নাই।’
তিনি বলেন, ‘আমাদের বুঝতে হবে পরিস্থিতিটা বিশেষ পরিস্থিতি। না হলে প্রধান উপদেষ্টা কি এতদিন ধরে দলগুলোর সঙ্গে এমনেই আলোচনা করতেছেন। সবাইকে নিয়ে উনি নির্বাচন করতে চান, যাতে সুন্দর নির্বাচন হয়। আমরা কোনো লক্ষ্য ঠিক করিনি। যখন সরকারের সঙ্গে আলোচনা হবে, তখন তারিখ নিয়ে আলাপ হবে। সরকারি পরিবর্তিত কোনো চিন্তা ভাবনা আছে কিনা, এটা জানতে হবে। রমজানের আগেও নির্বাচন হতে পারে, যদিও এখানে যদি শব্দটাও বলেছেন। সরকারের সঙ্গে আলোচনা হলেই আমরা বুঝতে পারব। সরকারের থেকে ধারণা পেলে আমরা প্রস্তুত আছি। আমরা ডিসেম্বর থেকে জুন, প্রথম যখন সরকারের তরফ থেকে বলা হয়েছিল, আমরা সেটা ধরেই প্রস্তুতি নিচ্ছি।’
কারা এবার ভোট দিতে ও অংশ নিতে পারবেন
সিইসি নাসির উদ্দিন বলেন, ‘বর্তমান প্রজন্মের ভোটাধিকারের সুযোগ দেওয়ার কথা ভাবছি। তফসিল ঘোষণার সময় ভোটার তালিকা রেডি থাকতে হবে। এজন্য আইনে কিছুটা পরিবর্তন আনার কথা ভাবছি। যথাসম্ভব চেষ্টা করব তরুণ প্রজন্মকে যাতে যুক্ত করা যায়। তফসিল ঘোষণার সময় তরুণদের ভোটারযোগ্য হতে হবে।’
আগামী ২ জানুয়ারি যাদের ১৮ বছর হবে, তারা ভোট দিতে পারবে কিনা- এমন প্রশ্নের জবাবে সিইসি বলেন, ‘আমরা সর্বোচ্চ সংখ্যক তরুণদের সুযোগ দিতে চাই। পাশাপাশি সীমানা নির্ধারণ নিয়ে সিরিয়াসলি কাজ করছি। ভোটার তালিকা নিয়েও কাজ চলছে। দল নিবন্ধনের আবেদন ২২ জুন পর্যন্ত নেওয়া হবে।’ জুলাই সনদের ওপর কি তফসিল নির্ভর করছে? এমন প্রশ্নের জবাবে সিইসি বলেন, ‘সরকারের সঙ্গে আলোচনা করে তারিখ নির্ধারণ হলে তার দুই মাস আগে তফসিল ঘোষণা করা হবে। আমার বিশ্বাস দলগুলো দেশপ্রেমিক, কিন্তু রাজনৈতিক কারণে অনেক কথা বলতে হয়। কর্মকর্তাদের বলেছি রাজনীতি সচেতন থাকবেন, কিন্তু রাজনীতি করবেন না। অনেক বাধা বিপত্তি আসবে। ফেরেশতা এনে দিলেও তো পক্ষে-বিপক্ষে থাকবে। বিরুদ্ধে বলতে তাই আহত হই না। কারণ কেউ সমালোচনা করলে বোঝা যায় কেউ বিচার করছে, নিজেদের শোধরানোর সুযোগ থাকে।’
নির্বাচনের তারিখ নিয়ে তড়িঘড়ি?
কবে নির্বাচনের তারিখ এ নিয়ে অনেক কথা। কেউ বলছেন ফেব্রুয়ারির ১২ তারিখ। কেউ বলছে তারও আগে। বা ১৫ ফেব্রুয়ারির পরে। ১৫ ফেব্রুয়ারির একটা বিতর্ক রয়েছে রাজনীতির মাঠে। ফলে এ তারিখ থেকে কিছুটা দূরে থাকবে আগামী নির্বাচনের দিনক্ষণ এটা বলাই যায়। এর আগেই হওয়ার সম্ভবনা, পরে গেলে রমজান ও ঈদ নানা ঝামেলা। এমন প্রেক্ষাপটে সিইসি নাসির উদ্দিন বলেন, ‘কোথায় জুন (প্রধান উপদেষ্টার জাতির উদ্দেশ্যে দেয়া ভাষণে দেয়া তারিখ) আর কোথায় ফেব্রুয়ারি। দূরত্ব তো অনেক কমে আসছে।’
নির্বাচনের তারিখ ঘোষণায় সরকারের দিকে তাকিয়ে আছেন কিনা, প্রশ্নের জবাবে নাসির উদ্দিন বলেন, ‘সরকারের দিতে তাকিয়ে আছি তা তো বলিনি। আমরা যতই স্বাধীন হই, সরকারের সহযোগিতা তো লাগবে। সরকারের লোকজন লাগবে। সরকার প্রধানই বলছেন- আমি একটা সুন্দর ইলেকশন দেব। তার মানে কী, তার মানে উনার দায়দায়িত্ব তো আছে। সরকার ছাড়া তো আমরা চিন্তাই করতে পারি না। সরকারের দিকে তাকিয়ে থাকা মানে ওই রকম না. ওনারা একটা আলোচনা করতেছেন তো। আলোচনার অগ্রগতি কী, ভিত্তি কী, চিন্তাভাবনা কী, এটা তো আমাকে বুঝতে হবে। শুধু টেলিভিশনে বা ভিডিও ক্লিপ দেখে তো সিদ্ধান্তে আসতে পারছি না। উনাদের গতি প্রকৃতি তো আমাকে বুঝতে হবে।’
সবশেষ
বেশ কিছুদিন থেকেই রাজনীতির মাঠে একটা অনিশ্চয়তা ছিল। অনেকেই ধারণা করে বসেছিলেন প্রফেসর ড . মুহাম্মদ ইউনূস নির্বাচন না দিয়ে তার ক্ষমতা দীর্ঘায়িত করতে চান। এমন সময়ে বিদেশের অনেকের স্বার্থ উদ্ধারে তিনি কিছু কাজ সফলভাবে শেষ করে যাবেন। যা দেশের ও দেশের জনগনের জন্য ক্ষতিকরও হতে পারে। বিভিন্ন সমীকরণের শেষ কথা যথা সম্ভব দ্রুত নির্বাচন দেয়া হোক। করিডোর, বন্দরসহ বিভিন্ন ইস্যু মূলত নির্বাচিত সরকারই কাজ করবে। একই ধারাবাহিকতায় ঈদুল আজহার পূর্বে প্রধান উপদেষ্টার ভাষণে জুনে নির্বাচন অনুষ্ঠানের ঘোষণায় অনেকেই আশ্বস্থ হয়েছিলেন, যাক নির্বাচনটা তাহলে হচ্ছে। কিন্তু এরপর লন্ডনে বৈঠকের পর আরো এক ধাপ এগিয়ে ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন অনুষ্ঠানের যে একটা কথা চারদিকে ভাসছে এটা আরো বেশি পজেটিভ হিসেবে দেখা হচ্ছে। দলগুলো বেশ কিছুদিন উদ্দেশ্যহীন এক রোডম্যাপে উপর দাঁড়িয়েছিলেন। লন্ডন বৈঠকের পর সব জড়তা, অনিশ্চয়তা কাটিয়ে বাংলাদেশ একটি সুন্দর ও স্বচ্ছ নির্বাচনের দিকে নির্বাচনী ট্রেনে উঠেছে- সেটা এখন বলেই দেয়া যায়।