চুলো জ্বলছে না, শিল্প কারখানার উৎপাদন বিপর্যস্ত, সিএনজির জন্য দীর্ঘসময় লাইনে দিয়েও মিলছে না গ্যাস। এমনিতেই চাহিদার তুলনায় ১০০০-১২০০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস সরবরাহ ঘাটতির কারণে সকল ধরণের গ্যাস গ্রাহকের ত্রাহি অবস্থা। তার উপর বার বার ভাসমান এলএনজি টার্মিনাল রক্ষনাবেক্ষনের জন্য বন্ধ রাখতে হওয়ায় রীতিমত গ্যাস দুর্ভিক্ষে ভুগছে দেশ।
জানা গেছে, গ্যাসের দৈনিক চাহিদা ৪০০০-৪২০০ মিলিয়ন ঘনফুট। এর বিপরীতে ১১০০ মিলিয়ন ঘনফুট আমদানিকৃত এলএনজি সহ সর্বোচ্চ সরবরাহ ৩০০০ মিলিয়ন ঘনফুট। গ্যাস ঘাটতির কারণে বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতার ৫০% উৎপাদন করতেও হিমশিম খেতে হচ্ছে,অধিকাংশ সার কারখানা অধিকাংশ সময় বন্ধ রাখতে হচ্ছে।
শিল্প কারখানাগুলো চালু রাখা প্রায় অসম্ভব হয়ে দাঁড়িয়েছে। সিএনজিতে গ্যাস রেশনিং করেও পরিস্থিতি সামাল দেয়া যাচ্ছে না। গ্যাস বিতরণ এলাকায় গৃহস্থলি গ্যাস ব্যাবহারকারীরা অধিকাংশ সময়ে গ্যাস পাচ্ছে না। অথচ সকল বৈধ গ্রাহককে প্রতিমাসে গ্যাস বিল পরিশোধ করতে হচ্ছে। গত একবছর সময়ে বেশ কয়েকবার ভাসমান টার্মিনাল অপারেশন জনিত কারণে এলএনজি সরবরাহ বিঘ্নিত হওয়ায় সংকট ঘনীভূত হচ্ছে। ২০২৫,২০২৬ বিদ্যমান সংকট থেকে পরিত্রান পাওয়ার কোন সম্ভাবনা নাই। নিজেদের গ্যাস ক্ষেত্রের উৎপাদন বর্তমান পর্যায়ে ধরে রাখার চ্যালেঞ্জের পাশাপাশি ২০২৭ র আগে এলএনজি সরবরাহ বাড়ার কোন সম্ভাবনা নাই।
বর্তমান পরিস্থিতির জন্য পূর্ববর্তী সরকারের জ্বালানি উপদেষ্টা ,জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী ,সচিব এবং পেট্রোবাংলা চেয়ারম্যানদের ভ্রান্ত পরিকল্পনা ,বার্থ নেতৃত্ব এবং দেশীয় প্রাথমিক জ্বালানি অনুসদ্ধান এবং উন্নয়ন ব্যার্থতা দায়ী।
এমনি এক অবস্থায় বর্তমান সরকার আইএমএফের পরামর্শে শিল্প গ্রাহকদের এবং ক্যাপটিভ জেনেরেশনের জন্য গ্যাসের মূল্য দ্বিগুন করার প্রতাব দিয়েছে। গ্যাস সঙ্কটের বর্তমান পরিস্থিতিতে গ্যাসের মূল্য বৃদ্ধি হবে মরার উপর খাড়ার ঘা /অনেক শিল্প মুখ থুবড়ে পড়বে।
বর্তমান অবস্থায় সরকারের উচিত গ্যাস কূপ অনুসন্ধান এবং উন্নয়ন তরান্নিত করার পাশাপাশি গ্যাস ব্যাবহারে কৃচ্ছতা। অপচয় রোধ এবং দক্ষতা বৃদ্ধি। সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার ভিত্তিতে ভোলার গ্যাস গ্রীডে সংযোগের ব্যবস্থা। তৃতীয় ভাসমান টার্মিনাল এবং ল্যান্ড বেজড টার্মিনাল নির্মাণ ত্বরান্বিত করা।