স্টেট ডিপার্টমেন্ট ২০২৪ অর্থবছরে প্রায় ২৪.৫ মিলিয়ন পাসপোর্ট বই ও কার্ড ইস্যু করে টানা তৃতীয় বছরে নতুন রেকর্ড স্থাপন করেছে। এ সংখ্যা ২০২৩ সালের তুলনায় প্রায় ৫ লাখ বেশি। স্টেট ডিপার্টমেন্ট অনলাইনে পাসপোর্ট নবায়ন পাসপোর্ট আবেদন প্রক্রিয়াকে আরো কার্যকর এবং সুবিধাজনক করে তুলছে। এখন সাধারণ পাসপোর্ট আবেদন ইস্যুর সময় ৪ থেকে ৬ সপ্তাহের মধ্যে প্রসেস করা হয়।
২০২৩ সালের সেপ্টেম্বর মাসে সম্পূর্ণরূপে চালু হওয়া অনলাইন পাসপোর্ট নবায়ন (ওপিআর) সিস্টেমের মাধ্যমে এক মিলিয়নেরও বেশি আমেরিকান সফলভাবে তাদের পাসপোর্ট নবায়ন করেছেন। অনলাইন পাসপোর্ট নবায়ন আবেদনকারীদের বাড়ি থেকে বা মেইল পাঠানোর প্রয়োজন ছাড়াই নিরাপদে পাসপোর্ট নবায়নের সুযোগ দিয়েছে। এটি যুক্তরাষ্ট্র সরকারের সেবায় একটি প্রধান আধুনিকীকরণ। স্টেট ডিপার্টমেন্টের এসব প্রচেষ্টা পাসপোর্ট আবেদন প্রক্রিয়ার দক্ষতা, সমতা ও অ্যাক্সেসিবিলিটি উন্নত করে আমেরিকান জনগণের জন্য সরাসরি সুবিধা প্রদান করে। এই পদক্ষেপগুলি আন্তর্জাতিক ভ্রমণ সহজতর করে এবং আমেরিকার অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে অবদান রেখেছে।
বর্তমানে ৫১ ভাগ আমেরিকান পাসপোর্ট ধারণ করেন, যা ২০২৩ সালে ছিল ৪৬ ভাগ এবং ২০০৮ সালে ছিল মাত্র ৩০ ভাগ। স্টেট ডিপার্টমেন্টের তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে ১৭১ মিলিয়নেরও বেশি বৈধ যুক্তরাষ্ট্রের পাসপোর্ট সার্কুলেশনে রয়েছে। এর মানে হলো, এখন অতীতের যে কোনো সময়ের তুলনায় আরো বেশি আমেরিকান আন্তর্জাতিক ভ্রমণের সুযোগ পাচ্ছেন। স্টেট ডিপার্টমেন্ট আরো জানিয়েছে, গত কয়েক বছর ধরে পাসপোর্টের সংখ্যা উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। এর মধ্যে কোভিড-১৯ মহামারির পর পাসপোর্ট আবেদন এবং ইস্যু প্রক্রিয়ায় কিছু বাধা সৃষ্টি হয়েছিল। মহামারির কারণে পাসপোর্ট অফিসগুলো বন্ধ বা সীমিত সময়ের জন্য খোলা থাকায় আবেদনকারীদের জন্য অপেক্ষার সময় বেড়ে গিয়েছিল।
স্টেট ডিপার্টমেন্টের কনস্যুলার অ্যাফেয়ার্স বিভাগের অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি রেনা বিটার জানান, আবেদন প্রক্রিয়া আরো দ্রুত ও কার্যকর করতে তারা দক্ষতা বিশেষজ্ঞদের নিযুক্ত করেছেন, নতুন প্রযুক্তি প্রয়োগ করেছেন এবং আবেদনকারীদের প্রতি আরো ভালো নির্দেশনা প্রদান করেছেন, যাতে তারা সময় মতো আবেদন করতে পারে। এর ফলে, পাসপোর্ট আবেদন প্রক্রিয়ায় উল্লেখযোগ্য উন্নতি হয়েছে এবং এখন আবেদনকারীরা অপেক্ষার সময় কম পাচ্ছেন।
স্টেট ডিপার্টমেন্টও চাহিদা মেটাতে কর্মী সংখ্যা ২০ভাগ বৃদ্ধি করেছে। ২০২৫ সালে স্টেট ডিপার্টমেন্ট উটাহ, ফ্লোরিডা, কানসাস, টেক্সাস, ওহাইও এবং নর্থ ক্যারোলিনায় নতুন ছয়টি পাসপোর্ট সুবিধা খোলার পরিকল্পনা করছে। এ নতুন পাসপোর্ট সেন্টারগুলো আমেরিকানদের জন্য পাসপোর্ট অ্যাপয়েন্টমেন্ট এবং অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ সেবার জন্য ভ্রমণ সময় কমিয়ে দেবে। এখন আগের যে কোনো সময়ের চেয়ে বেশি আমেরিকানের পাসপোর্ট রয়েছে, যার অর্থ হলো আরো বেশি আমেরিকান আন্তর্জাতিক ভ্রমণ করতে সক্ষম। এটি তাদের জন্য উত্তেজনাপূর্ণ এবং দেশের জন্য ভালো। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে এ সংখ্যা উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে।
২০২১ সালে মহামারির পরবর্তী চাহিদা বৃদ্ধির কারণে স্টেট ডিপার্টমেন্ট ১৫.৫ মিলিয়ন পাসপোর্ট বই ও কার্ড ইস্যু করেছিল। মহামারির কারণে ভ্রমণ বিধিনিষেধ এবং অফিসগুলোর সীমিত কার্যকারিতার পর এ সংখ্যা ছিল উল্লেখযোগ্য। ২০২১ সালে পাসপোর্টের জন্য অপেক্ষার সময় উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেয়েছিল এবং স্টেট ডিপার্টমেন্ট চাহিদা মেটাতে নতুন প্রযুক্তি ও কর্মী সংখ্যা বৃদ্ধি করেছিল।
অনলাইন পাসপোর্ট নবায়ন গত মাসে জাতীয়ভাবে উপলব্ধ হয়েছে। বিটারের মতে, ১ মিলিয়নেরও বেশি লোক এ সেবা ব্যবহার করেছে এবং আগামী বছরে ৫ মিলিয়ন লোক এটি ব্যবহার করবে বলে স্টেট ডিপার্টমেন্ট আশা করছে। ২০২৪ সালে যুক্তরাষ্ট্রের স্টেট ডিপার্টমেন্ট ২৪.৫ মিলিয়ন পাসপোর্ট ইস্যু করে একটি নতুন রেকর্ড স্থাপন করেছে, যা দেশের আন্তর্জাতিক ভ্রমণ সক্ষমতা এবং অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। অনলাইন পাসপোর্ট নবায়ন সিস্টেমের মাধ্যমে পাসপোর্ট আবেদন প্রক্রিয়া আরো দ্রুত ও সহজতর হওয়ার ফলে আমেরিকান নাগরিকরা বাড়িতে বসেই পাসপোর্ট নবায়ন করতে পারছেন। এছাড়া স্টেট ডিপার্টমেন্ট আরো নতুন সুবিধা এবং প্রযুক্তি চালু করার মাধ্যমে পাসপোর্ট আবেদন প্রক্রিয়ার দক্ষতা এবং সেবাপ্রাপ্তির সমতা উন্নত করছে।
২০২১ সালে মহামারি পরবর্তীকালে পাসপোর্টের চাহিদা বৃদ্ধির ফলে নতুন প্রযুক্তি এবং কর্মী সংখ্যা বৃদ্ধির মাধ্যমে সমস্যাগুলোর সমাধান করা হয়েছে। পাসপোর্ট সেবা ব্যবস্থার আধুনিকীকরণ এবং প্রসারণের মাধ্যমে স্টেট ডিপার্টমেন্ট কেবল সেবা প্রদানেই সফল হচ্ছে না, বরং আন্তর্জাতিক সম্পর্ক এবং দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে সহায়ক ভূমিকা পালন করছে। ভবিষ্যতে নতুন পাসপোর্ট সুবিধাগুলো আমেরিকান নাগরিকদের আরো বেশি সুবিধা প্রদান করবে এবং আন্তর্জাতিক ভ্রমণ সহজতর হবে।