৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫, শুক্রবার, ০২:২৮:৩২ অপরাহ্ন


ফার্মগেট শহিদ আনোয়ারা উদ্যান ফেরত দেওয়ার দাবি
বিশেষ প্রতিনিধি
  • আপডেট করা হয়েছে : ২৫-১২-২০২৪
ফার্মগেট শহিদ আনোয়ারা উদ্যান ফেরত দেওয়ার দাবি শহিদ আনোয়ারা উদ্যান ফেরতের দাবিতে সমাবেশ


ফার্মগেটে শহিদ আনোয়ারা উদ্যান চত্বরে ‘ফার্মগেট শহিদ আনোয়ারা উদ্যান রক্ষা আন্দোলন’-এর ব্যানারে একটি সংহতি সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সমাবেশে সব শ্রেণি-পেশার মানুষের স্বতঃস্ফূর্ত উপস্থিতি ছিল। সমাবেশে বক্তারা ঢাকা শহরের প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত ঊনসত্তরের গণঅভ্যুত্থানের স্মৃতিবিজড়িত ফার্মগেটের ঐতিহাসিক শহিদ আনোয়ারা উদ্যানসহ ঢাকার অন্যান্য উদ্যান দখলমুক্ত করে জনগণের কাছে ফিরিয়ে দেওয়ার আহ্বান জানান। 

উল্লেখ্য, ফার্মগেটে শহিদ আনোয়ারা উদ্যানের এই জায়গাটি গণপূর্ত অধিদফতরের। এটির রক্ষণাবেক্ষণ ও উন্নয়নের দায়িত্ব ছিল ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি)। পরবর্তীতে গণপূর্ত অধিদফতরের অনুমতি নিয়ে ২০১৮ সাল থেকে জায়গাটি মেট্রোরেলের প্রকল্প অফিস ও নির্মাণ উপকরণ রাখার কাজে ব্যবহার করে আসছে ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড (ডিএমটিসিএল)। মেট্রোরেলের নির্মাণকাজ শেষে এই উদ্যান ফিরিয়ে দেয়ার কথা থাকলেও এখন বাণিজ্যিক প্লাজা তৈরি করে জায়গাটি নিজেদের করে নিতে চাইছে মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষ। এ নিয়ে এই বছরের ১৮ মে ২০২৪ তারিখে সব শ্রেণি-পেশার মানুষের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণে অনুষ্ঠিত সমাবেশ হতে উদ্যানকে দখলমুক্ত করার জন্য ৩০ দিনের আলটিমেটাম দেওয়া হয়। আলটিমেটামের ৩০ দিন পর ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন ঘেরাও কর্মসূচির পর সিটি করপোরেশন থেকে আনোয়ারা উদ্যান দখলমুক্ত করার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়। কিন্তু জুলাই গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী সময়ে এসেও এই পার্কটি দখলমুক্ত করা যায়নি। বরঞ্চ এই আনোয়ারা উদ্যানের বুক চিরে এখন একটি রাস্তা নির্মাণের কাজ চলছে। সমাবেশে বক্তারা এই ধরনের পরিবেশ বিধ্বংসী কর্মকাণ্ডের তীব্র প্রতিবাদ জানান। একই সঙ্গে ঢাকা শহরের সকল মাঠ, পার্ক, উদ্যান দখলমুক্ত করে জনগণের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়াসহ, দখলদার ও পরিবেশ বিধ্বংসী প্রকল্পের সঙ্গে জড়িত সব ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে আইনের আওতায় আনার জোরালো দাবি জানান হয়। 

বাংলাদেশ গাছরক্ষা আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক ও কিউরেটর আমিরুল রাজিবের সঞ্চালনায় সমাবেশে বক্তব্য রাখেন তেঁতুলতলা মাঠ রক্ষা আন্দোলনের অন্যতম সংগঠক সৈয়দা রত্না, বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অফ প্ল্যানার্স (বিআইপি) এর সভাপতি আদিল মুহাম্মদ খান, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের নগর ও অঞ্চল পরিকল্পনা বিভাগের শিক্ষক অধ্যাপক আকতার মাহমুদ, প্রত্যাশা মাদকবিরোধী সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক হেলাল আহমেদ, সেভ ফিউচার বাংলাদেশের প্রধান সমন্বয়ক ও পরিবেশ ও জলবায়ুকর্মী নয়ন সরকার, প্রাণ-প্রকৃতিরক্ষা জাতীয় কমিটির আহ্বায়ক ও পরিবেশকর্মী ইবনুল সাঈদ রানা, ধরিত্রী রক্ষায় আমরা (ধরা) এর সদস্যসচিব শরীফ জামিল, রিভার বাংলার সম্পাদক ফয়সাল আহমেদ, পরিবেশকর্মী রাইসা হোসেন, প্রতিবন্ধী ব্যক্তি পরিবেশকর্মী ড. মোহাম্মদ মিঠুনসহ অনেকে।

শেয়ার করুন