৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫, শুক্রবার, ০৯:২৩:৩০ অপরাহ্ন


ইমিগ্রেশন কর্মকর্তাদের হেফাজতে থাকা লোকজনের সংখ্যা কম দেখাচ্ছে
দেশ রিপোর্ট
  • আপডেট করা হয়েছে : ১৮-০৯-২০২৪
ইমিগ্রেশন কর্মকর্তাদের হেফাজতে থাকা লোকজনের সংখ্যা কম দেখাচ্ছে সীমান্তে ইউএস ইমিগ্রেশন অ্যান্ড্রয়েড কাস্টমস এনফোর্সমেন্ট কর্তৃক আটককৃত অভিবাসীরা


ইউএস ইমিগ্রেশন এবং কাস্টমস এনফোর্সমেন্ট (ইউএসসিআইএস) তাদের হেফাজতে আটক থাকা লোকজনের সংখ্যা উল্লেখযোগ্যভাবে কম দেখাচ্ছে বলে ৪ সেপ্টেম্বর প্রকাশিত কংগ্রেসিয়াল ওভারসাইট এজেন্সি গভার্নমেন্ট অ্যাকাউন্টেবিলিটি অফিস (জিএও)-এর একটি নতুন রিপোর্ট প্রকাশিত হয়েছে। রিপোর্টে দেখা গেছে, যুক্তরাষ্ট্রের ইমিগ্রেশন এবং কাস্টমস এনফোর্সমেন্টের তথ্যগুলোতে স্পষ্ট ভুল রয়েছে। তাদের হেফাজতে আটক থাকা লোকজনের সংখ্যা কমিয়ে দেখাচ্ছে। রিপোর্টে আরো পাওয়া গেছে যে, বিভিন্ন আইসিই ফিল্ড অফিসের মধ্যে তথ্য সংগ্রহের ক্ষেত্রে বিশেষত যারা ‘সংবেদনশীল’ জনসংখ্যা হিসেবে চিহ্নিত তাদের তথ্য সংরক্ষণে অসংগতি রয়েছে।

জিএও রিপোর্টে উল্লেখ করেছে যে, ইমিগ্রেশন এবং কাস্টমস এনফোর্সমেন্ট কর্তৃক সব আটক সম্পর্কিত বার্ষিক তথ্য প্রতিবেদন করে না। ইমিগ্রেশন অফিসাররা বিভিন্ন পদ্ধতিতে ব্যক্তিদের গ্রেফতার করেন এবং পরে সিদ্ধান্ত নেন যে, যারা গ্রেফতার হয়েছে তাদের আটক করা হবে কি না, যতক্ষণ না তাদের অপসারণ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়।

ইউএস ইমিগ্রেশন এবং কাস্টমস এনফোর্সমেন্টের ২০২৩ অর্থবছরের বার্ষিক প্রতিবেদন অনুযায়ী, ওই বছরের শেষে আটক জনসংখ্যা ছিল ৩৬ হাজার ৮৪৫। তবে এই সংখ্যা সম্ভবত ইউএসসিআইএসের আটক কেন্দ্রগুলোর গড় দৈনিক জনসংখ্যা বোঝায়, বরং ওই নির্দিষ্ট বছরে ইউএসসিআইএসের হেফাজতে নেওয়া মোট লোকজনের সংখ্যা নয়। অন্যদিকে জিএও রিপোর্ট বলছে যে, ২০২২ ক্যালেন্ডার বছরে আইসিই আটক কেন্দ্র দিয়ে প্রায় ২ লাখ ৮০ হাজার লোকজন পার হয়েছে। 

সম্ভবত আইসিইয়ের সবচেয়ে বড় হিসাবগত ত্রুটি হলো, সংস্থাটি কীভাবে তাদের হেফাজতে থাকা ব্যক্তিদের গণনা করে। জিএও পেয়েছে যে, ২০১৯ থেকে ২০২২ সালের মধ্যে ইমিগ্রেশন এবং কাস্টমস এনফোর্সমেন্ট যে সংখ্যা জানিয়েছে, তা অস্থায়ী আটক কেন্দ্রগুলোতে থাকা ব্যক্তিদের অন্তর্ভুক্ত করে না, যেমন সীমান্তে লোকজনকে স্থানান্তর বা পরিবহনের জন্য ব্যবহৃত আইসিই সুবিধা বা ইউএস কাস্টমস এবং বর্ডার প্রোটেকশন (সিবিপি) দ্বারা গ্রেফতারকৃত ব্যক্তিরা যারা প্রাথমিক গ্রেফতারের পর ইমিগ্রেশন এবং কাস্টমস এনফোর্সমেন্ট হেফাজতে স্থানান্তরিত হয়েছে।

২০২২ ক্যালেন্ডার বছরে, ইউএসসিআইএস তাদের মোট আটক জনসংখ্যায় ২ লাখ ৩ হাজার ৩৫০ জনকে অন্তর্ভুক্ত করেনি বা মোট আটক হওয়া লোকজনের প্রায় ৪২ ভাগ। কারণ তারা প্রাথমিকভাবে অস্থায়ী ইউএসসিআইএস বা সিবিপি সুবিধায় রাখা হয়েছিল। ইউএসসিআইএস বলছে তারা এ ব্যক্তিদের গণনা করেনি, কারণ তারা খুব অল্প সময়ের জন্য তাদের আটক করেছিল। তবে জিএও তদন্ত পেয়েছে যে, গণনায় অন্তর্ভুক্ত না হওয়া প্রায় ৭০ ভাগ ব্যক্তিকে শেষ পর্যন্ত সপ্তাহের জন্য এবং কিছু ক্ষেত্রে এমনকি বছরের জন্য আইসিই দ্বারা আটক করা হয়েছিল।

প্রতিবেদনের কিছু সমস্যা স্পষ্ট এবং ধারাবাহিক তথ্য রাখার অভাব থেকে উদ্ভূত হয়। 

একটি কেন্দ্রীয় ডাটাবেস ছাড়া আইসিইয়ের গ্রেফতার এবং আটক করার কর্তৃত্ব প্রয়োগের বিষয়ে তদারকি করতে প্রয়োজনীয় তথ্যগুলো প্রায়ই জনসাধারণের জন্য সহজে উপলব্ধ নয়। ডিএইচএস দ্বারা সংগৃহীত এবং প্রতিবেদন করা তথ্য কেবল তখনই কার্যকরি যখন জনসাধারণ এটি অ্যাক্সেস এবং বুঝতে পারে। এই স্তরের অ্যাক্সেসিবিলিটি অভিবাসন সংস্থাগুলোর ওপর জনসাধারণের নজরদারির জন্য গুরুত্বপূর্ণ। কংগ্রেস ডিএইচএসকে অর্থবছরের প্রতিবেদন প্রকাশের জন্য ম্যান্ডেট দিয়েছে, যা বার্ষিক তথ্য তুলনা করে এবং সংস্থাটি এই প্রয়োজনীয়তা পূরণ করছে, তবে এটি তার সংখ্যা কীভাবে গণনা করে তা বর্ণনা করে না। এটি জিএও রিপোর্টের দ্বারা চিহ্নিত সমস্যার দিকে নিয়ে যায়।

ইমিগ্রেশন এবং কাস্টমস এনফোর্সমেন্টকে জিএওর সুপারিশগুলো আমলে নিয়ে অস্থায়ীভাবে আটক ব্যক্তিদের গণনা করে এবং অভিবাসন আটক সম্পর্কে তারা যে পরিসংখ্যানগুলো রিপোর্ট করে তার পদ্ধতিবিদ্যা ব্যাখ্যা করার দাবি করছে ইমিগ্রেশন অ্যাডভোকেসি সংস্থাগুলো। ইমিগ্রেশন এবং কাস্টমস এনফোর্সমেন্টকে তার ফিল্ড অফিসারদের জন্য স্পষ্ট নির্দেশিকা প্রদান করতে হবে যে কেবল আটক নয়, তারা প্রয়োগ কার্যক্রমের সময় সব তথ্য রেকর্ড করতে হবে এবং ইমিগ্রেশন ও কাস্টমস এনফোর্সমেন্টকে তার নিজস্ব তথ্যগুলো অ্যাক্সেসযোগ্য ফর্মগুলোতে প্রকাশ করতে হবে বা জনসাধারণের কাছে ফ্রিডম অব ইনফরমেশন অ্যাক্টের মাধ্যমে এটি উপলব্ধ করতে হবে। এ পদক্ষেপগুলো আমাদের দেশে অভিবাসন প্রয়োগের প্রকৃত পরিধি সম্পর্কে জনসাধারণের কাছে আরো ভালো ধারণা প্রদান করতে পারে।

শেয়ার করুন