৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫, শুক্রবার, ০২:৪২:২৯ অপরাহ্ন


আলবেনিতে বাংলাদেশ ডে’র রেজ্যুলেশন গ্রহণ
দেশ রিপোর্ট
  • আপডেট করা হয়েছে : ১৫-০৫-২০২৪
আলবেনিতে বাংলাদেশ ডে’র রেজ্যুলেশন গ্রহণ আলবেনিতে বাংলাদেশ ডের অনুষ্ঠানে নেতৃবৃন্দ


নিউইয়র্ক স্টেট সিনেট ও অ্যাসেম্বলিতে উদযাপিত হয়েছে ‘বাঙলি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী’ এবং ‘বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী’। নিউইয়র্কের রাজধানী আলবেনিতে গত ৭ মে মঙ্গলবার স্টেট সিনেটে এবং ২৫ মার্চ স্টেট অ্যাসেম্বলিতে বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী ও বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবস উদযাপনের রেজ্যুলেশন সর্বসম্মতভাবে গৃহীত হয়। ওই রেজ্যুলেশন দুটিতে বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশের স্বাধীনতার সংক্ষিপ্ত ইতিহাস স্থান পায়। 

সংশ্লিষ্ট সূত্রমতে, নিউইয়র্ক স্টেট অ্যাসেম্বলি ও স্টেট সিনেটে ‘বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী’ এবং ‘বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী’র ওপর পৃথকভাবে রেজ্যুলেশন গ্রহণ করা হয়। অ্যাসেম্বলি ডিস্ট্রিক্ট ৮৭ (ব্রঙ্কস) থেকে নির্বাচিত অ্যাসেম্বলিওম্যান কারিনা রাইস স্টেট অ্যাসেম্বলি হাউসে এবং সিনেট ডিস্ট্রিক্ট ৩২ (ব্রঙ্কস) থেকে নির্বাচিত সিনেটর লুইস সেপুলভেদা স্টেট সিনেটে এ সংক্রান্ত বিল উত্থাপন করেন। স্টেট অ্যাসেম্বলি ও সিনেট অধিবেশনে গৃহীত পৃথক রেজ্যুলেশনে তুলে ধরা হয় বাংলাদেশের মহান স্বাধীনতার সংক্ষিপ্ত ইতিহাস। রেজ্যুলেশনে বাংলাদেশের মহান স্বাধীনতার প্রেক্ষাপট, দেশ স্বাধীনে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অসামান্য অবদানের কথা উল্লেখ করা হয়। বীর মুক্তিযোদ্ধা এবং স্বাধীনতাযুদ্ধের সঙ্গে সম্পৃক্ত সবার অবদান স্বীকার করে তাদেরও কৃতিত্ব দেওয়া হয়। সেখানে বাংলাদেশিদের অবদানসহ তুলে ধরা হয়েছে বাংলাদেশের বেশ কিছু তথ্য। এতে বলা হয়েছে, নিউইয়র্ক সিটিতে ৬০ হাজারেরও বেশি বাংলাদেশি বসবাস করছেন। এখানে বাংলাদেশিরা অনেক ভালো কাজ করছেন এবং নানাভাবে অবদান রাখছেন। আমেরিকার অর্থনীতি বিনির্মাণে তাদের অনন্য ভূমিকার কথা উল্লেখ করা হয়েছে। এ সময় উভয় কক্ষের জনপ্রতিনিধিরা বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতার প্রতি গভীর শ্রদ্ধা ও যথাযথ সম্মান নিবেদন করেন। স্টেট সিনেটর ও অ্যাসেম্বলি মেম্বাররা এ সময় তাদের বক্তব্যে যুক্তরাষ্ট্রের সার্বিক উন্নয়নে বাংলাদেশি কমিউনিটির অবদানেরও উচ্ছ্বসিত প্রশংসা করেন।

এই গুরুত্বপূর্ণ অর্জনটির পেছনে সমন্বয়কের কাজ করেছে আমেরিকান-বাংলাদেশি ওয়েলফেয়ার অর্গানাইজেশন ইউএসএ ইনক এবং যুক্তরাষ্ট্র মুজিব শতবর্ষ উদযাপন পরিষদ ইউএসএ নামে দুটি সংগঠন।

৭ মে বিকেলে স্টেট সিনেটের অধিবেশনে প্রবাসী বাংলাদেশিদের কাছে ‘লুইস ভাই’ হিসেবে খ্যাত সিনেটর লুইস সিপুলভিদা উত্থাপিত বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী’র বিলটি পাঠ করে শোনানোর পর স্টেট সিনেটর ন্যাথালিয়া ফার্নান্দেজ, জন ল্যু, জেসিকা গঞ্জালেস রোজাস, জামাল টি বেইলিসহ বেশ ক’জন সিনেটরের সমর্থনে জোরালে বক্তব্য রাখেন। এখানে বাংলাদেশের মহান স্বাধীনতা ও স্বাধীনতা সংগ্রামে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অবদানের সংক্ষিপ্ত ইতিহাস স্থান পায়। পরে সিনেট হাইজে রেজ্যুলেশনটি সর্বসম্মতভাবে গৃহীত হয়।

বিলটি উপস্থাপনকালে সিনেট ফ্লোরে উপস্থিত ছিলেন নিউইয়র্কে বাংলাদেশের কনসাল জেনারেল ড. মোহাম্মদ নাজমুল হুদা, ডেপুটি কনসাল জেনারেল নাজমুল হাসান, যুক্তরাষ্ট্র সম্মিলিত মুজিববর্ষ উদযাপন পরিষদের আহ্বায়ক আবদুর রহিম বাদশা, আমেরিকান-বাংলাদেশি ওয়েলফেয়ার অর্গানাইজেশনের সভাপতি আবদুস শহীদ ও সেক্রেটারি শেখ জামাল হুসেন। সিনেট গ্যালারিতে উপবিষ্ট ছিলেন অন্যান্য বাংলাদেশিরা। এ সময় প্রবাসী বাংলাদেশিরা জয় বাংলা স্লোগান আর বিপুল করতালির মধ্য দিয়ে আনন্দ-উল্লাসে মেতে ওঠেন।

সিনেট গ্যালারি এদিন বাংলাদেশিদের জন্য সংরক্ষিত ছিল। বর্ণাঢ্য এ আয়োজনে বাংলাদেশি কূটনীতিক, রাজনীতিক, ব্যবসায়ী, মুক্তিযোদ্ধা, সমাজকর্মী, সাংস্কৃতিক কর্মী, সাংবাদিকসহ বিভিন্ন পেশাজীবী অংশগ্রহণ করেন।

এদিকে ২৫ মার্চ অ্যাসেম্বলি হাউসের অধিবেশনে বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী প্রস্তাবনাটি রেজ্যুলেশন আকারে গৃহীত হয়। অ্যাসেম্বলি হাউসে অ্যাসেম্বলিওম্যান ক্যারিনেস রেইস উত্থাপিত বিলটি পাঠ করে শোনানো হয়। রেজ্যুলেশনে ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতা এবং বাংলাদেশের স্থপতি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নাম উল্লেখ করে তাকে বিশেষভাবে স্মরণ করা হয়। বিলের সমর্থনে বেশ ক’জন অ্যাসেম্বলিম্যান সংক্ষিপ্ত বক্তব্য রাখেন।

অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন স্টেট সিনেটর লুইস সিপুলভিদা, স্টেট সিনেটর ন্যাথালিয়া ফার্নান্দেজ, নিউইয়র্কে বাংলাদেশের কনসাল জেনারেল ড. মোহাম্মদ নাজমুল হুদা, ডেপুটি কনসাল জেনারেল নাজমুল হাসান, আমেরিকান-বাংলাদেশি ওয়েলফেয়ার অর্গানাইজেশন ইউএসএর সভাপতি আবদুস শহীদ, সম্মিলিত মুজিববর্ষ উদযাপন পরিষদ ইউএসএর আহ্বায়ক ও যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগ নেতা আবদুর রহিম বাদশা, আমেরিকান-বাংলাদেশি ওয়েলফেয়ার অর্গানাইজেশন ইউএসএর সেক্রেটারি ও যুক্তরাষ্ট্র যুবলীগ নেতা শেখ জামাল হুসেন। অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মহিউদ্দিন দেওয়ান, বিশিষ্ট কমিউনিটি নেতা সিরাজউদ্দিন আহমেদ সোহাগ, বিশিষ্ট কমিউনিটি নেতা সাখাওয়াত আলী, আলবেনি আওয়ামী লীগের সভাপতি মিজানুর রহমান, আমেরিকান-বাংলাদেশি ওয়েলফেয়ার অর্গানাইজেশন ইউএসএর যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক রেজা আব্দুল্লাহ স্বপন, সাংগঠনিক সম্পাদক সাদিকুর রহমান, অর্থ সম্পাদক নুরুল ইসলাম, বিশিষ্ট কমিউনিটি নেতা কাজি রবিউজ্জামান, বিশিষ্ট নারীনেত্রী মাকসুদা আহমেদ, যুক্তরাষ্ট্র জাসদের সাধারণ সম্পাদক নূরে আলম জিকু, হৃদয়ে বাংলাদেশের সাধারণ সম্পাদক ফয়েজ আহমেদ, বিশিষ্ট কমিউনিটি নেতা রোকন আহমেদ, সালেহ আহমেদ, গিলাছড়া ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আবুল লেইস চৌধুরী, নারীনেত্রী নাসরিন নিরু প্রমুখ।

শেয়ার করুন