৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫, শুক্রবার, ০৭:১০:১৭ পূর্বাহ্ন


১১ হাজারের বেশি অনাথ অভিবাসী শিশুকে স্পন্সরের কাছে হস্তান্তর
দেশ রিপোর্ট
  • আপডেট করা হয়েছে : ২০-০৮-২০২৫
১১ হাজারের বেশি অনাথ অভিবাসী শিশুকে স্পন্সরের কাছে হস্তান্তর মেক্সিকো থেকে আমেরিকায় রিও গ্র্যান্ডে নদী পার হয়ে লা জোয়া এলাকায় ইউএস বর্ডার প্যাট্রোল এজেন্টের কাছে নিজেদের পরিচয় দিচ্ছে শিশুরা


বাইডেন প্রশাসনের অধীনে যুক্তরাষ্ট্রের হেলথ অ্যান্ড হিউম্যান সার্ভিসেস (এইচএইচএস) জানিয়েছে, ২০২১ সালের জানুয়ারি থেকে ২০২৫ সালের জানুয়ারি পর্যন্ত ১১ হাজার ৪৮৮ জন অনাথ অভিবাসী শিশুকে এমন স্পন্সরের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে, যারা ছিল না তাদের আইনগত অভিভাবক বা পিতা-মাতা এবং যাদের কোনো ব্যাকগ্রাউন্ড চেক বা ফিঙ্গারপ্রিন্ট যাচাই করা হয়নি। এ তথ্য প্রকাশ করেছেন রিপাবলিকান সিনেটর চাক গ্রাসলি। তিনি বলেছেন, এ ধরনের অব্যবস্থাপনা শিশুদের নিরাপত্তা ও কল্যাণের ক্ষেত্রে গভীর হুমকি সৃষ্টি করেছে। এ সময়ে বাইডেন প্রশাসন ৭৯ হাজার ১৪৩ জন ১২ বছরের কম বয়সী শিশুর জন্য হোম স্টাডি সম্পন্ন করতে ব্যর্থ হয়েছে, যার মধ্যে ১ হাজার ৯৬১ জন শিশুর ক্ষেত্রে স্পনসর যাচাই অত্যন্ত প্রয়োজনীয় ছিল। হোম স্টাডির মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট স্পনসরের ব্যাকগ্রাউন্ড ও শিশুদের দেখভালের সামর্থ্য যাচাই করা হয়ে থাকে, যা শিশুদের নিরাপত্তার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

অক্টোবর ২০২০ থেকে সেপ্টেম্বর ২০২৪ পর্যন্ত চার বছরেরও বেশি সময়ে যুক্তরাষ্ট্রের হেলথ অ্যান্ড হিউম্যান সার্ভিসেস মোট ৪ লাখ ৬৮ হাজার ৭৫৬ জন অনাথ অভিবাসী শিশুর দায়িত্ব গ্রহণ করেছে। এর মধ্যে ২০২৪ সালের অক্টোবর থেকে ২০২৫ সালের জুন পর্যন্ত, যা প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নির্বাচনী জয় ও প্রথম ১০০ দিন অন্তর্ভুক্ত, এইচএইচএস তত্ত্বাবধানে নিয়েছে মোট ২১ হাজার ৩৯৯ জন শিশুকে। এ পরিস্থিতিতে সিনেটর গ্রাসলি বলেন, আমি বাইডেন প্রশাসনের ব্যর্থতা প্রকাশ্যে আনার জন্য আমার নজরদারি চালিয়ে যাবো এবং আশা করি, ট্রাম্প প্রশাসন আগের ভুলগুলো সংশোধন করবে। তিনি আরো বলেন, শিশুদের নিরাপত্তার চেয়ে দ্রুততা বা রাজেনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গিকে গুরুত্ব দেওয়া অনুচিত।

তবে হেলথ অ্যান্ড হিউম্যান সার্ভিসেসের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, তাদের বর্তমান ডাটা সিস্টেমে সীমাবদ্ধতা থাকায় কিছু তথ্য সামান্য অপ্রতুল বা ত্রুটিপূর্ণ হতে পারে। তবুও এটি একটি আন্তরিক প্রচেষ্টার প্রতিফলন বলেই তারা দাবি করেছে। ২০২৫ সালের ফেব্রুয়ারিতে ডিপার্টমেন্ট অব হোমল্যান্ড সিকিউরিটি (ডিএইচএস) এবং হেলথ অ্যান্ড হিউম্যান সার্ভিসেস যৌথভাবে নতুন নির্দেশিকা জারি করে, যাচাইবিহীন স্পনসরের কাছে দেওয়া শিশুদের সুরক্ষার জন্য ব্যবস্থা নিতে শুরু করে। এ নতুন নিয়মের মাধ্যমে চেষ্টা চলছে যাতে গ্যাং সদস্য ও মানবপাচারকারীরা আর এ দুর্বল শিশুদের অপব্যবহার করতে না পারে। প্রসঙ্গত, বাইডেন প্রশাসন অভিবাসী সহায়তা কার্যক্রমে মোট ২২ দশমিক ৫ বিলিয়ন ডলার ব্যয় করেছে, যার মধ্যে ১২ দশমিক ৬ বিলিয়ন ডলার ব্যয় হয়েছে অভিবাসী শিশুদের পুনর্বাসন কর্মসূচির জন্য। তবুও বহু শিশুর সন্ধান হারিয়ে যাওয়া এবং ভুল স্পনসরের কাছে তাদের হস্তান্তর রোধ করা যায়নি।

শেয়ার করুন