কবি লিখেছিলেন- ‘এনেছিলে সঙ্গে করে মৃত্যুহীন প্রাণ,/মরণে তাহাই তুমি করে গেলে দান’
একজন বাংলাদেশির মৃত্যু হলো এই শহরে নিউইয়র্কে। পুরো শহর যেন বাকরুদ্ধ, স্তম্ভিত, শোকস্তব্ধ হয়ে গেল। শহরজুড়ে নেমে এলো কান্নার করুণ বিউগল। শ্রদ্ধা অবনত পুরো বিশ্বের বাণিজ্যিক রাজধানী নিউইয়র্ক। এমন শ্রদ্ধা আর কোনো বাংলাদেশি আমেরিকায় পেয়েছেন-এমন নজির নেই। দিদারুল ইসলামের প্রতি মানুষের ভালোবাসায় প্রবাসী বাংলাদেশিরা গর্বিত হয়েছেন। মৃত্যুর মতো একটি কঠিন বাস্তবতাকে বরণ করে নিতে হলো নিউইয়র্কের বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত পুলিশ অফিসার দিদারুল ইসলামকে। দায়িত্ব পালনরত অবস্থায় তাকে গুলি করে হত্যা করা হয়। তার জানাজার পর সব কিছু ছেড়ে চলে যাওয়ার সময় শত শত মানুষের হৃদয় বিষণ্ন বেদনায় স্তব্ধ হয়ে গিয়েছিল। মন খারাপের আকাশও শোকে নিথর কালো হয়ে থমকে দাঁড়িয়েছিল। কান্নার মতো নেমে এসেছিল বৃষ্টি। নিউইয়র্ক পুলিশ ডিপার্টমেন্টে বাংলাদেশি আমেরিকান পুলিশ অফিসার দিদারুল ইসলামের জানাজায় নেমে এসেছিল সর্বস্তরের মানুষের ঢল। বীর বাঙালি এই চলে যাওয়া নিউইয়র্কবাসী বহুদিন মনে রাখবে। শেষ বিদায় বেলায় শ্রদ্ধা, ভালোবাসা, চোখের জল আর ফুলে ফুলে শোভিত হলো আমাদের দিদারুল ইসলামের লাশটি। কি মহিমান্বিত এই মৃত্যু! কি সুন্দর এই মৃত্যু! এ মৃত্যু যেন ভোরের শিউলি ফুলের মতো দ্যুতিময়। দিদারুল ইসলামের জানাজার সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে এক সাংবাদিক তার ফেসবুকে বিষাদময় এক কাব্যিক বর্ণনায় বলেছেন, ‘এমন বর্ণাঢ্য অন্তিম যাত্রা কেউ কোনোদিন দেখেনি...
শ্রদ্ধা, ভালোবাসা আর চোখের জলে এক বীরকে চির বিদায় জানালো নিউইয়র্ক। বন্দুকধারীর হামলায় নিহত বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত পুলিশ কর্মকর্তা দিদারুল ইসলামের জানাজা ও দাফন সম্পন্ন হয়েছে। গত ৩১ জুলাই ব্রঙ্কসের পার্কচেস্টারে জানাজায় অংশ নেন ২০ হাজার মানুষ। পরে তাকে নিউজার্সির লোরেল গ্রোভ কবরস্থানে দাফন করা হয়। নিউইয়র্ক পুলিশ বিভাগ জানিয়েছে, দিদারুল ইসলামকে মরণোত্তর প্রথম শ্রেণির ডিটেকটিভ হিসেবে পদোন্নতি দেওয়া হয়েছে।
এ যেন এক বীরের বর্ণাঢ্য বিদায়। অশ্রু আর সম্মানে মোড়ানো অন্তিম যাত্রা। বৃহস্পতিবার দিনটি যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী বাংলাদেশিদের জন্য যেমন ছিল শোকের, তেমনি গর্বেরও। ঝড়বৃষ্টি আর বন্যার সতর্কতা উপক্ষো করে ভয়াবহ বন্দুক হামলায় নিহত বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত পুলিশ কর্মকর্তা দিদারুল ইসলামের জানাজায় উপস্থিত হন প্রায় ২০ হাজার মানুষ। শুধু নিউইয়র্ক পুলিশ বিভাগেরই ৫ হাজার সদস্য উপস্থিত ছিলেন। তাদের প্রত্যেকেরই কণ্ঠে ছিল দিদারুলের আত্মত্যাগের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা আর কৃতজ্ঞতা।
দিদারুলের শেষ বিদায়ের আনুষ্ঠানিকতায় ছিলেন নিউইয়র্কের গভর্নর, সিটি মেয়র, পুলিশ কমিশনার, আইন প্রণেতাসহ বিভিন্ন কমিউনিটির বিশিষ্ট ব্যক্তি এবং আসন্ন মেয়র নির্বাচনের প্রার্থীরা। তাদের বক্তব্যে বারবার উচ্চারিত হয়েছে বাংলাদেশের নাম।
জানাজা শেষে দিদারুলের লাশ দাফনের উদ্দেশে নেওয়া হলে রাস্তার ধারে হাজার হাজার পুলিশ সদস্য তাকে শেষবারের মতো স্যালুট জানায়। আকাশ পথেও হেলিকপ্টারে দেওয়া হয় গার্ড অব অনার। বাংলাদেশি আমেরিকান পুলিশ অ্যাসোসিয়েশন জানিয়েছে, দিদারুল ইসলামকে মরণোত্তর ফার্স্ট গ্রেড ডিটেকটিভ হিসেবে পদোন্নতি দেওয়া হয়েছে। এতে নিহত দিদারুলের স্ত্রী, সন্তান ও পরিবার পেনশন ও অন্যান্য সর্বোচ্চ সুবিধা পাবে।
গত ২৮ জুলাই সোমবার নিউইয়র্কের ম্যানহাটনের পার্ক অ্যাভিনিউয়ে ভয়াবহ বন্দুক হামলায় কর্তব্যরত অবস্থায় ৩৬ বছর বয়সী পুলিশ অফিসার দিদারুল ইসলাম-সহ ৪ জন নিহত হন। হামলাকারী ২৭ বছরের শ্যেন ডেভন তামুরা নিজেও আত্মহত্যা করে। গান ভায়োল্যান্স আর্কাইভের তথ্য অনুসারে, এ বছর এখন পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রে ২৫৪টি বন্দুক হামলার ঘটনা ঘটেছে। এসব ঘটনায় নিহত হয়েছেন শত শত মানুষ।
প্রসঙ্গত, নিহত দিদারুল ইসলাম ৪ বছর আগে পুলিশে যোগ দেন। এর আগে তিনি স্কুল সেইফটি ও ট্রাফিক বিভাগেও কাজ করেছেন। তার বাড়ি বাংলাদেশের সিলেট বিভাগের মৌলভীবাজারের কুলাউড়ায়। দিদারুলের দুই পুত্র সন্তান রয়েছে। স্ত্রী আট মাসের অন্তঃসত্ত্বা।’
কবি ও বাচিক শিল্পী ছন্দা সুলতানা তার ফেসবুকে মন্তব্য করেন-এ মহান বীরের মৃতুতে কেদেছে তার পরিরবার, আপনজন, প্রশাসনের নেতৃবৃন্দ, নিউইয়র্ক পুলিশ বাহিনী, টিভি সেটের সামনে বসা পৃথিবীবাসী। আর তার থেকে ও অবাক করা কাণ্ড রোদেলা দুপুরে জানাজা শেষে পুলিশ অফিসার দিদারুলের লাশ মসজিদ থেকে বের করা হলে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় বিউগলে করুন সুর বেজে উঠে ঠিক তখনই আকাশ থেকে ঝরছে অঝোর বারিধারা...যেন এক স্বর্গীয় অনুভূতি...নিউজ প্রেজেন্টারের কণ্ঠে আর্দ্রতা, আমার চোখে জল...এই জল যেমন বিষাদের তেমনি একজন বাঙালি হিসেবে গর্বেরও....
উল্লেখ্য, নিউইয়র্কে ম্যানহাটনের পার্ক অ্যাভিনিউতে একটি অফিস ভবনে ২৮ জুলাই বিকালে বন্দুকধারীর হামলায় বাংলাদেশি-আমেরিকান পুলিশ কর্মকর্তা দিদারুল ইসলামসহ চারজন নিহত হন। ব্রঙ্কসের বাসিন্দা নিউইয়র্ক সিটির পুলিশ কর্মকর্তা দিদারুল ইসলামের দেশের বাড়ি সিলেট বিভাগের মৌলভীবাজার জেলার কুলাউড়ায়।
‘প্রথম গ্রেডের ডিটেকটিভ’ হিসেবে মরণোত্তর পদোন্নতি এবং বীরোচিত ভূমিকার জন্যে ২০ হাজারের অধিক শোকার্ত মানুষের আহাজারির মধ্যদিয়ে ৩১ জুলাই সম্পন্ন হলো নিউইয়র্ক পুুলিশ ডিপার্টমেন্টের অফিসার দিদারুল ইসলামের জানাজা ও দাফনের প্রক্রিয়া। উল্লেখ্য, মৌলভীবাজার জেলার কুলাউড়ার সন্তান দিদারুল ইসলামকে (৩৬) মরণোত্তর পদোন্নতি প্রদানের এই দাবি সর্বপ্রথম উচ্চারণ করেছিলেন কুইন্স ডেমোক্রেটিক পার্টির ডিস্ট্রিক্ট লিডার ও ইউএস সুপ্রিম কোর্টের অ্যাটর্নি মঈন চৌধুরী। ভরদুপুরে ব্রঙ্কসে পার্কচেস্টার মসজিদে দিদারের জানাজার প্রাক্কালে প্রদত্ত বক্তব্যে নিউইয়র্ক পুলিশ ডিপার্টমেন্টের কমিশনার জেসিকা টিশ দিদাদের কর্মনিষ্ঠা ও সাহসিকতার প্রশংসা উচ্চারণের পর মরণোত্তর পদোন্নতির ঘোষণা দেন। এরফলে দিদারের পরিবার পেনশন ভাতার পরিমাণ অনেক বেশি পাবেন। সুযোগ-সুবিধাও বাড়বে। শুধু তাই নয়, অন্য অফিসাররাও আরো সাহসী হবেন নগরবাসীর নিরাপত্তা সুসংহত করতে।
জানাজায় শরিক হয়েছিলেন সিটি মেয়র এরিক অ্যাডামস, স্টেট গভর্নর ক্যাথি হোকুল, মেয়র পদে ডেমোক্রেটিক প্রার্থী জোহরান মামদানি, স্বতন্ত্র প্রার্থী অ্যান্ড্রু ক্যুমো, রিপাবলিকান পার্টির মেয়র প্রার্থী কার্টিস সিøওয়াসহ কমিউনিটির সর্বস্তরে প্রতিনিধিত্বকারী ব্যক্তিরা। ছিলেন দিদারের বাবা আব্দুর রব, স্ত্রী জামিলা আকতার, দুই শিশু পুত্রসহ আত্মীয়স্বজনরা। নিউইয়র্ক সিটির মেয়র এরিক অ্যাডামস জানাজায় অংশগ্রহণ ছাড়াও আগের দিন দিদাদের ব্রঙ্কসের বাসায় এসে তার বাবাসহ পরিবারের সদস্যদের সান্ত¦না দেন।
জানাজা নামাজের প্রাক্কালে ব্রুঙ্কসে মূলধারার রাজনীতিবিদ, কমিউনিটি বোর্ড মেম্বার এন মজুমদার নিজের অভিব্যক্তি প্রকাশকালে বলেন, দিদারের সাহসিকতা, কর্মনিষ্ঠা এবং মানবতার কল্যাণে নিজেকে উৎসর্গ করার মধ্যদিয়ে প্রবাসী বাংলাদেশি, মুসলিম কমিউনিটি এবং নিউইয়র্কবাসীর জন্যে সম্মান বয়ে এনেছেন। তার বিদেহী আত্মার প্রতি যে সম্মান জানানো হচ্ছে তার পথ বেয়ে মহান আল্লাহও তাকে জান্নাতুল ফেরদৌস দান করুক, মরহুমের পরিবারকে সৃষ্টিকর্তা ধৈর্য ধারনের তৌফিক দান করুক-এ কামনা করছি।
ডেমোক্রেটিক পার্টির লিডার অ্যাটর্নি মঈন চৌধুরী বলেন, আমি তার বিদেহি আত্মার মাগফিরাত কামনা করছি। আজকে স্মরণকালের বৃহৎ একটা পাবলিক গেদারিং হচ্ছে। আমার মনে হয় এতো বড় জানাজা কোনো বাংলাদেশির জন্য এর আগে নিউইয়র্ক অঞ্চলে হয়নি। এখানে ফেডারেল, স্টেট, সিটি প্রশাসনের সর্বস্তরের কর্মকর্তার পাশাপাশি নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিরাও এসেছেন। এটা প্রবাসীদের জন্যে অবশ্যই বিশেষ একটি দিনে পরিণত হবে এবং বহুজাতিক সমাজে বাংলাদেশিদের মান-মর্যাদা আরো বৃদ্ধিতে অবদান রাখবে।
নিউইয়র্ক সিটির মেয়র প্রার্থী (রিপাবলিকান) কার্টিস সিøওয়া এ সময় দিদাদের আত্মার প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে বলেন, এই সিটি তথা আমেরিকানদের নিরাপত্তায় বাংলাদেশিরা যে ত্যাগ শিকার করলেন, তা উদাহরণ হয়ে থাকবে অনন্তকাল। আর এই পথবেয়েই বহুজাতিক সমাজে উদিয়মান একটি কমিউনিটি হিসেবে বিশেষ স্থানে অধিষ্ঠিত হলেন বাংলাদেশি আমেরিকানরা। ধর্মবর্ণ-গোত্র-জাতি নির্বিশেষে মানুষ এসেছেন জানাজায়। এ এক বিরল দৃশ্য।
দিদাদের স্ত্রীর লিখিত বক্তব্যতেও উচ্চারিত হয়েছে যে, দিদার ছিলেন আমাদের সবকিছু। তার এই মৃত্যু আমাদেরকে একেবারেই মুষড়ে ফেললেও গৌরববোধ করছি, তার এই আত্মত্যাগের মধ্য দিয়ে ওই লবিতে অন্যদের জীবন বেঁচেছে।
নিউইয়র্ক অঞ্চল তথা উত্তর আমেরিকায় সর্ববৃহৎ সামাজিক সংগঠন ‘বাংলাদেশ সোসাইটি’র প্রেসিডেন্ট আতাউর রহমান সেলিম, সেক্রেটারি মোহাম্মদ আলী, জালালাবাদ অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মঈনুল ইসলাম এবং সেক্রেটারি আসাদুল গনি আসাদ, ব্রঙ্কস কমিউনিটি বোর্ডের লিডার শাহজাহান শেখ এবং আব্দুস শহীদ প্রমুখ অংশগ্রহণকারী বিশিষ্টজনদের মধ্যে ছিলেন।
উল্লেখ্য, একমাত্র পুত্রের মৃত্যুসংবাদ জানার পরই হৃদরোগে আক্রান্ত হয়েছিলেন আব্দুর রব। হাসপাতালে চিকিৎসার পরদিন বাসায় ফিরেছেন। তিনিও ছিলেন জানাজায়, তবে কোনো কথা বলতে পারেননি।
দিদারের প্রবাস জীবন শুরু হয় নিউইয়র্ক সিটির পাবলিক স্কুলের নিরাপত্তা প্রহরি হিসেবে। সাড়ে তিন বছর আগে পুলিশ ডিপার্টমেন্টে ঢুকেছিলেন। নিউইয়র্ক পুলিশ ডিপার্টমেন্টের ব্রঙ্কসে অবস্থিত ৪৭ নম্বর পুলিশ স্টেশনে কাজ করতেন দিদার। সাপ্তাহিক ছুটির দিনে পুলিশ ডিপাটমেন্টের অনুমতিক্রমে ম্যানহাটনের ইস্ট ৫১ নম্বর ভবনে পুলিশের পোশাক পরেই নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করছিলেন। বন্দুকধারী দুর্বৃত্ত শ্যান তামুরার উপর্যুপরি গুলিতে অকুস্থলে প্রাণ হারিয়েছেন দিদার। প্রতিটি বুলেট বিদ্ধ হয় দিদারের বুকে। এ সময় ওই ভবনের নিজস্ব নিরাপত্তারক্ষী অ্যালেন্ড ইতিয়েন (৪৬), ব্ল্যাকস্টোন কোম্পানির নির্বাহী অফিসার ওয়েসলি লিপাটনার (৪৩) এবং জুলিয়া হাইম্যানকেও (২৭) গুলি করে হত্যা করা হয়। তামুরার গুলিতে গুরুতর আহত আরেকজন হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে লড়ছেন।
জানাজায় ইমামতি করেন মাওলানা জাকির আহমেদ। এ সময় তিনি বিশ্বব্যাপী বিরাজিত মুসলমানদের সঙ্গে বিদ্বেষমূলক আচরণের নিন্দা এবং গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসনের অবসানে সবাইকে সোচ্চার থাকার উদাত্ত আহ্বান জানিয়ে বলেন, দিদাদের মতো নিষ্ঠুর পরিস্থিতির ভিকটিম যেন আর কেউ না হই। আমরা সবাই যেন দিদাদের মতো মানুষদের অধিকার-মর্যাদার জন্যে নিরন্তরভাবে লড়ে যাই। আমাদের অঙ্গীকারাবদ্ধ হতে হবে দিদারের আত্মত্যাগকে শুধু সম্মান জানাতে নয়, তার এই ত্যাগের বিনিময়ে গোটাবিশ্বকে যাতে সম্প্রীতির বন্ধনে আবদ্ধ রাখতে পারি-এমন সংকল্প গ্রহণ করতে হবে। আর যে বিশ্ব সবার স্বাধীনতা নিশ্চিত করবে, গুটিকতেক মানুষের নয়। জানাজা শেষে মসজিদ থেকে দিদারের নিথর দেহ নিয়ে কফিনটি যখন দাফনের উদ্দেশে গাড়িতে নেওয়া হচ্ছিল, তখন পুলিশের চারটি হেলিকপ্টার টহল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করে দিদারের বিদেহি আত্মার প্রতি।
এরপর কয়েকশ মোটরসাইকেলের শোকযাত্রার সঙ্গে রওনা দেয় কফিনবাহী পুলিশের গাড়ি ও অফিসারদের বেশ কটি গাড়ি।