৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫, শুক্রবার, ০৯:৩৮:০২ অপরাহ্ন


মুক্তিযুদ্ধের প্রেরণা সঙ্গীত পরিবর্তনের চিন্তা সমীচিন নয়
সালেক সুফী
  • আপডেট করা হয়েছে : ০৯-০৯-২০২৪
মুক্তিযুদ্ধের প্রেরণা সঙ্গীত পরিবর্তনের চিন্তা সমীচিন নয়


ছাত্র জনতার মহান আত্মত্যাগের বিনিময়ে ঐতিহাসিক রাজনৈতিক পরিবর্তনের পর দেশ এবং সমাজ পরিবর্তনের কঠিন চ্যালেঞ্জ নিয়ে কাজ করছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। আছে গণহত্যার নিরপেক্ষ এবং সঠিক বিচার করার অঙ্গীকার, অর্থনীতি পুনরুদ্ধার ,পাচার হয়ে যাওয়া অর্থ সম্পদ ফিরিয়ে আনার চেষ্টা, সর্ব স্তরে ক্যান্সারের মত ছড়িয়ে পড়া দুর্নীতির লাগাম টেনে ধরা, প্রাতিষ্ঠানিক সংস্কার। এই মুহূর্তে জাতীয় ইস্পাত দৃঢ় ঐক্য ভীষণ জরুরি। জাতীয় সংগীত ,জাতীয় পতাকার মত মীমাংসীত এবং স্বীকৃত বিষয় নিয়ে এই মুহূর্তে জাতিকে বিভক্ত করা হবে নিতান্তই অর্বাচীনের কাজ।


কিছু প্রান্তিক মানুষ দেশ বিদেশ থেকে ধুয়া তুললেও অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টারা কিন্তু পরিষ্কার জানিয়েছেন জাতি বিভক্ত হয় এমন কিছু করবে না সরকার। আর জাতীয় সংগীত পরিবর্তন করার মত মৌলিক বিষয়গুলো নিতান্তই নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি এবং জনগণ নির্ধারণ করবে। আমরা ১৯৭১ প্রজন্ম জানি জাতীয় সংগীত এবং জাতীয় পতাকার মহাত্ম।  


এটি মধ্যেই দেশে এবং প্রবাসে জাতীয় সংগীত নিয়ে নতুন করে ভালোবাসা প্রদর্শিত হয়েছে। আমি বিশদ ব্যাখ্যায় যাবো না। যে সংগীত আমাদের ১৯৭১ মহান মুক্তিযুদ্ধে উদবুদ্ধ করেছে সেদিনটা যুদ্ধে আগ্রাসী দখলদার পাকিস্তান বাহিনীর বিরুদ্ধে মরণপণ যুদ্ধ করতে, প্রেরণা যোগাতে। 

সেটি পরিবর্তন করার বিষয়টি চিন্তা করা আদৌ সমীচীন না। দেশবাসী কিছুতেই মেনে নিবে না। এই মুহূর্তে এই বিষয় নিয়ে কোনো তাত্ত্বিক বিতর্ক সৃষ্টি করা উচিত না। সময় সব কিছু বাতলে দিবে। সময় খুব নিষ্ঠুর।

শেয়ার করুন