ডিপার্টমেন্ট অব গভর্নমেন্ট এফিসিয়েন্সি (ডজ) সম্পর্কিত দুটি মামলায় ট্রাম্প প্রশাসনের পক্ষে রায় দিলো মার্কিন সুপ্রিম কোর্ট। যার মধ্যে রয়েছে লাখ লাখ আমেরিকানের ব্যক্তিগত সামাজিক নিরাপত্তাসংক্রান্ত তথ্যে অ্যাক্সেসের অনুমতি। বিচারপতিরা পৃথকভাবে ডজের কার্যক্রমে স্বচ্ছতা বজায় রাখার আদেশ জারি করেছেন, এই সরকারি বিভাগটি একসময় বিলিয়নেয়ার ইলন মাস্কের নেতৃত্বে ছিল। হোয়াইট হাউস থেকে মাস্কের বিদায়ের পরপরই প্রেসিডেন্ট এবং বিশ্বের সবচেয়ে ধনী ব্যক্তি মাস্কের মধ্যে সম্পর্কের টানাপড়েনের মাঝে ডজের এই জয় সামনে এলো। মাস্কের নেতৃত্বে না থাকলেও ডজের কাজের ভবিষ্যৎ স্পষ্ট নয়, তবে ট্রাম্প এবং মাস্ক উভয় ব্যক্তিই আগে বলেছিলেন যে, সরকারি ব্যয় কমাতে তারা প্রচেষ্টা চালিয়ে যাবেন। একটি মামলায়, উচ্চ আদালত মেরিল্যান্ডের একজন বিচারকের একটি আদেশ স্থগিত করেছে, যা ফেডারেল গোপনীয়তা আইনের অধীনে সামাজিক নিরাপত্তা প্রশাসনের প্রবেশাধিকার সীমিত করেছিল।
উচ্চ আদালতের বিচারপতিরা বলেছেন, এই মুহূর্তে ডজ মারফত ব্যক্তিগত তথ্যের অপব্যবহারের কোনো প্রমাণ নেই। এসএসএ বিভাগটি দেশের প্রায় সবার সংবেদনশীল তথ্য ধারণ করে, যার মধ্যে রয়েছে স্কুলের রেকর্ড, বেতনের বিবরণ এবং চিকিৎসাসংক্রান্ত তথ্য। যদিও সুপ্রিম কোর্টের রায়ের পর নিম্ন আদালতের বিচারপতি কেতানজি ব্রাউন জ্যাকসন বলেন, সুপ্রিম কোর্ট ডজকে অবাধ ডেটা অ্যাক্সেস করার অনুমতি দিয়ে লাখ লাখ আমেরিকানদের জন্য গুরুতর গোপনীয়তা ঝুঁকি তৈরি করেছে। আমরা নিশ্চিতভাবে জানি না যে, ফেডারেল আইন এই ধরনের অ্যাক্সেসের পক্ষে কি না।
বিচারপতি সোনিয়া সোটোমায়র জ্যাকসনের মতামতের সঙ্গে যোগ দিয়েছিলেন এবং বিচারপতি এলেনা কাগান বলেছিলেন যে, তিনিও প্রশাসনের বিরুদ্ধে রায় দিতেন। ট্রাম্প প্রশাসন বলছে যে ফেডারেল সরকারের ব্যয় কমানোর লক্ষ্যে কাজ করার জন্য ডজের তথ্য অ্যাক্সেসে প্রবেশাধিকার প্রয়োজন। মাস্ক সামাজিক নিরাপত্তাকে জালিয়াতির একটি প্রধান কেন্দ্র হিসেবে বিবেচনা করেছিলেন। ট্রাম্প প্রশাসনও বলেছে যে ডজ এতো বিধিনিষেধের আওতায় কাজ করতে পারবে না। সলিসিটর জেনারেল ডি জন সাউয়ার আরো যুক্তি দিয়েছিলেন, এই রায়টি ফেডারেল বিচারকদের তাদের কর্তৃত্ব লঙ্ঘন করে।
এদিকে সিটিজেনস ফর রেসপন্সিবিলিটি অ্যান্ড এথিক্স ইন ওয়াশিংটন দাবি জানিয়েছে, সরকার পুনর্গঠনের জন্য ট্রাম্পের প্রচেষ্টার কেন্দ্রবিন্দুতে থাকা ডজকে একটি ফেডারেল সংস্থা এবং তথ্য স্বাধীনতা আইনের আওতাধীন হতে হবে। কিন্তু ট্রাম্প প্রশাসন বলেছে যে ডজ কেবল একটি প্রেসিডেন্টের উপদেষ্টা সংস্থা যার লক্ষ্য সরকারি খরচ কমানো।