সিনিয়র সচিব পদমর্যাদায় সাংবাদিক মুশফিকুল ফজল আনসারীকে বিদেশে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত হিসেবে তিন বছরের জন্য নিয়োগের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। সোমবার (২১ অক্টোবর) জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি হয়। মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব নিলুফা ইয়াসমিন স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, ‘এই নিয়োগের অন্যান্য শর্ত চুক্তিপত্র দ্বারা নির্ধারিত হবে।’ তবে কোন দেশে তাকে রাষ্ট্রদূত হিসেবে পাঠানো হবে তার কোনো ইঙ্গিত নেই প্রজ্ঞাপনে। এরই মধ্যে সাংবাদিক মুশফিকুল ফজল আনসারীকে রাষ্ট্রদূত হিসেবে নিয়োগের প্রক্রিয়া শুরু করেছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। সরকারি এ সিদ্ধান্তে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ইতিবাচক প্রতিক্রিয়া লক্ষ্য করা গেছে। নেটিজেনরা পতিত ফ্যাসিস্ট সরকারের বিরুদ্ধে মিডিয়ায় মুশফিকুল ফজল আনসারীর ধারাবাহিক লড়াইকে সম্মানের সঙ্গে স্মরণ করছেন। যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, মেক্সিকো কিংবা ব্রিটেনের মতো গুরুত্বপূর্ণ কোনো মিশনে মুশফিক আনসারীকে পাঠালেই ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন সরকার বেশি উপকৃত হবে বলে মনে করছেন তারা। সরকারি প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, যোগদানের দিন থেকে বিদ্যমান পেশা, ব্যবসা, সরকারি বা আধাসরকারি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে সব ধরনের সম্পর্ক ছিন্ন করার শর্তে তাকে এ নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। প্রায় এক দশক নির্বাসিত জীবন শেষে গত ১২ সেপ্টেম্বর যুক্তরাষ্ট্র থেকে দেশে ফেরেন মুশফিকুল ফজল আনসারী। তিনি ওয়াশিংটনভিত্তিক একজন বাংলাদেশি সাংবাদিক। মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্ট ও জাতিসংঘের প্রেস ব্রিফিংয়ে নিয়মিত প্রশ্ন করার জন্য সুপরিচিত আনসারী। তিনি ওয়াশিংটনভিত্তিক ফরেন পলিসি ম্যাগাজিন সাউথ এশিয়া পারস্পেকটিভসের (এসএপি) নির্বাহী সম্পাদক। ঢাকার জাস্টনিউজবিডির সম্পাদক ও হোয়াইট হাউস করেসপনডেন্ট হিসেবে জাতিসংঘ, মার্কিন পররাষ্ট্র দফতর ও পেন্টাগন কাভার করেছেন। তিনি যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটনভিত্তিক অলাভজনক প্রতিষ্ঠান রাইট টু ফ্রিডম-আরটুএফের নির্বাহী পরিচালকও। দেড় দশক আগে সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার সহকারী প্রেস সচিব (২০০১-২০০৬) হিসেবে সফলতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করেন মুশফিকুল ফজল আনসারী। পরবর্তীতে দৈনিক ইত্তেফাকের কূটনৈতিক সংবাদদাতা হিসেবে কাজ করেছেন। কাছাকাছি সময়ে মিস্টার আনসারী এনটিভিতে হ্যালো এক্সিলেন্সি শিরোনামে সাক্ষাৎকারধর্মী একটি জনপ্রিয় টিভি শো হোস্ট করতেন।