চট্টগ্রাম সমিতির নির্বাচন আগামী ১৯ অক্টোবর। ইতিমধ্যেই নির্বাচন কমিশন তফসিল ঘোষণা করেছে। সে তফসিল অনুযায়ী, গত ৭ সেপ্টেম্বর ছিল মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষদিন। ব্রুকলিনে চট্টগ্রাম সমিতির নিজস্ব কার্যালয়ে মনোনয়নপত্র জমা নেয় নির্বাচন কমিশন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার ইঞ্জিনিয়ার শেখ মোহাম্মদ খালেদ, নির্বাচন কমিশনের সদস্য মুক্তিযোদ্ধা রুহুল আমিন হোসেন, ইঞ্জিনিয়ার মোহাম্মদ আব্দুল হান্নান চৌধুরী, মোহাম্মদ সেলিম হারুণ ও শাহাব উদ্দিন সাগর। মনোনয়নপত্র জমাদানকে কেন্দ্র করে পুরো ব্রুকলিন এলাকা ছিল সরগরম। চট্টগ্রাম সমিতি ভবনে ছিল উৎসবমুখর পরিবেশ। সন্ধ্যা ৬টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার সময়সীমা থাকলেও সন্ধ্যা থেকে উভয় প্যানেলের প্রার্থী এবং সমর্থকরা আসতে থাকেন।
নির্বাচন কমিশনের মুখপাত্র শাহাব উদ্দিন সাগর বলেন, চট্টগ্রাম সমিতির নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে ১৯ পদে। এই ১৯ পদে ৩৯ জন প্রার্থী তাদের মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। এর মধ্যে দুটি প্যানেল এবং সাধারণ সম্পাদক পদে মহিউদ্দিন মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। ১৯ পদে ৩৯ জন প্রার্থীর কাছে মনোনয়নপত্র বিক্রি করে আয় হয়েছে ৪৩ হাজার ৭০০ ডলার। জানা গেছে, প্রথমে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন স্বতন্ত্র সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী মহিউদ্দিন। তারপর মনোনয়নপত্র জমা দেন তাহের-আরিফ প্যানেলের প্রার্থীরা। তারা ১৯টি মনোনয়নপত্র জমা দেন। এ প্যানেলের সভাপতি প্রার্থী আবু তাহের এবং সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী আরিফুল ইসলাম। এই প্যানেলের মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার পর মনোনয়নপত্র জমা দেন মাকসুদ-সিরাজি প্যানেল। এ প্যানেলের সভাপতি প্রার্থী মাকসুদুল হক চৌধুরী এবং সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী মাসুদ হোসেন সিরাজী। এ প্যানেলের পক্ষ থেকেও ১৯টি মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া হয়।
নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা গেছে, প্রাথমিক প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করা হবে ১২ সেপ্টেম্বর, প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ১৮ সেপ্টেম্বর এবং চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করা হবে আগামী ২১ সেপ্টেম্বর। এবারের নির্বাচনে সর্বমোট ২ হাজার ৮৯৪ জন ভোটার তাদের ভোধিকার প্রয়োগ করবেন। সাধারণ ভোটার ২ হাজার ৬৬৩ জন এবং লাইফ মেম্বার ২৩৩ জন। নির্বাচন কমিশন সূত্র জানায়, এখনো ভোটকেন্দ্র ঠিক করা হয়নি এবং কীভাবে ভোট নেওয়া হবে তাও চূড়ান্ত করা হয়নি। নির্বাচন কমিশনার শাবাব উদ্দিন সাগর জানিয়েছেন, চূড়ান্ত প্রার্থিতা ঘোষণার পর প্রার্থীদের সঙ্গে আলাপ করেই কীভাবে ভোট নেওয়া হবে তার সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। যদিও ইতিমধ্যেই ভোটের বাজারে বিভিন্ন অভিযোগ পাল্টা অভিযোগ শোনা যাচ্ছে।