৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫, শুক্রবার, ০২:৪১:৬ অপরাহ্ন


জ্যামাইকা বাংলাদেশ ফ্রেন্ডস সোসাইটির বারবিকিউ পার্টি
দেশ রিপোর্ট
  • আপডেট করা হয়েছে : ০৬-০৮-২০২৫
জ্যামাইকা বাংলাদেশ ফ্রেন্ডস সোসাইটির বারবিকিউ পার্টি বক্তব্য রাখছেন ফখরুল ইসলাম দেলোয়ার


প্রবাসের মানবসেবাধর্মী সংগঠন জ্যামাইকা বাংলাদেশ ফ্রেন্ডস সোসাইটি। অন্যান্য সংগঠনের চেয়ে সম্পূর্ণ ভিন্ন এই সংগঠন। এই সংগঠনের নেতৃত্বে যারা রয়েছেন তাদের চিন্তাধারাও ভিন্ন। তাদের একমাত্র লক্ষ্য হচ্ছে মানুষের পাশে দাঁড়ানো, অন্যের চেয়ে ভিন্নভাবে নিজেদের উপস্থাপন। সবাইকে নিয়ে চূড়ইভাতে যাবে, তাতেও ভিন্নতা। নাম দিয়েছে বারবাকিউ পার্টি। জ্যামাইকা বাংলাদেশ ফ্রেন্ডস সোসাইটির বারবিকিউ পার্টি গত ৪ আগস্ট জ্যামাইকার কানিংহাম পার্কে অনুষ্ঠিত হয়েছে। সংগঠনের সভাপতি ফখরুল ইসলাম দেলোয়ারের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক এনায়েত মুন্সীর পরিচালনায় অনুষ্ঠানে অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন কংগ্রেসওম্যান গ্রেস মেং। নিউইয়র্ক স্টেট সিনেটর জন লু, কুইন্স বরো প্রেসিডেন্ট ডোনাভান রিচার্ড, কাউন্সিম্যান লিন্ডা লি, কুইন্স ডিস্ট্রিক্ট এটর্নীর প্রতিনিধি রোকেয়া আক্তার, বাংলাদেশ সোসাইটির সভাপতি আতাউর রহমান সেলিম, সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ আলী, সিনিয়র সহ সভাপতি মহিউদ্দিন দেওয়ান, সহ সভাপতি কামরুজ্জামান কামরুল, বিশিষ্ট লোন অফিসার আকিব হোসেন, সংগঠনের প্রধান উপদেষ্টা ওসমান গনি, উপদেষ্টা ছদনূর নূর, রেজাউল করিম চৌধুরী, বাংলাদেশ সোসাইটির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ফখরুল আলম, উপদেষ্টা ডা. টমাস দুলু রায়, অধ্যাপিকা হুসনে আরা, ডা. ওয়াজেদ এ খান, সাহাব উদ্দিন সাগর, শাহ জে. চৌধুরী, আমিনুল ইসলাম চন্নু, সাবেক সাধারণ সম্পাদক বিলাল চৌধুরী, সাইফুল ইসলাম, জে. মোল্লা সানি, সংগঠনের সিনিয়র সহ সভাপতি এ এফ মিসবাউজ্জামান, বিশিষ্ট রিয়েল এ্যাস্টেট ব্যবসায়ী নূরুল আজিম, বাংলাদেশ সোসাইটির কোষাধ্যক্ষ মফিজুল ইসলাম ভূইয়া রুমি, সাবেক কর্মকর্তা কাজী তোফায়েল ইসলাম, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী আহসান হাবিব, আতিকুল ইসলাম জাকির, বাংলাদেশ সোসাইটির প্রচার সম্পাদক রিজু মোহাম্মদ, জ্যামাইকা বাংলাদেশ ফ্রেন্ডস সোসাইটির কোষাধ্যক্ষ আক্তার বাবুল, বাংলাদেশ সোসাইটির সাবেক কর্মকর্তা ফারহানা চৌধুরী, জালালাবাদ এসোসিয়েশনের একাংশের কোষাধ্যক্ষ মইনুজ্জামান, কম্যুনিটি এক্টিভিস্ট দিলীপ নাথ, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী মোহাম্মদ ইকবাল, মাহমুদ খান সুলতান, আবু জাফর, সংগঠনের সহ সভাপতি কামরুল ইসলাম সনি, নওশাদ হোসেন, বাংলাদেশ সোসাইটির কর্মকর্তা ডিউক খান, রাশেদুজ্জামান হিমু, সৈয়দ রাব্বী, মুন্সিগঞ্জ বিক্রমপুর সমিতির সাবেক সভাপতি শাহাদাত হোসেন, মাদারিপুর সমিতির সভাপতি কামরুল ইসলাম প্রমুখ।

এই মিলনমেলাটি ছিলো আয়োজনে ভিন্ন এবং খাবার দাবারেও ভিন্ন। আয়োজন করা হয় বারবাকিউ পার্টি, বাচ্চাদের জন্য হাটডগ, বাচ্চাদের অভিভাবকদের জন্য মুড়ি ভক্তা, আম ভর্তাসহ নানা আয়োজন। বাংলাদেশী সংগঠনের বনভোজনে গেলে নতুন প্রজন্মের শিশু কিশোররা সাধারণত উপভোগ করতে চায় না। এমন কি খেতেও চায় না। কিন্তু জ্যামাইকা বাংলাদেশ ফ্রেন্ডস সোসাইটির আয়োজন সবার পছন্দ হয়েছে। বড়রা খাবারের মধ্যে ভিন্নতা পেয়েছেন, বাচ্চারা তাদের পছন্দের খাবার পেয়েছে। দিনব্যাপী খেলাধুলা করেছে। অনেকেই অভিমত ব্যক্ত করে বলেছেন, এই আয়োজনের কোন তুলনা হয় না। ধন্যবাদ এবং প্রশংসার দাবিদার ফখরুল ইসলাম দেলোয়ার, বিলাল চৌধুরী, এ এফ মিসবাউজ্জামান, এনায়েত মুন্সি, রিজু মোহাম্মদসহ কার্যকরি কমিটির সকল সদস্যকে।

কংগ্রেসওম্যান গ্রেস মেং জ্যামাইকা বাংলাদেশ ফ্রেন্ডস সোসাইটির কর্মকর্তাদের ধন্যবাদ জানান তাকে আমন্ত্রণ জানানোর জন্য। তিনি বলেন, জ্যামাইকা বাংলাদেশী কম্যুনিটি সব সময় তার পাশে রয়েছে, তিনি বাংলাদেশীদের পাশে রয়েছেন। যে কোন প্রয়োজনে তার সাথে যোগাযোগের আহবান জানান তিনি। তিনি বর্তমান প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের ইমিগ্রেশন পলিসির তীব্র সমালোচনা করেন।

খেলাধুলা এবং খাবার দাবার শেষে ছিলো সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে সঙ্গীত পরিবেশন করেন প্রবাসের জনপ্রিয় শিল্পী শাহ মাহবুব, মারিয়া মৌ ও নিপা জামান।

শেষ বিকেলে ছিলো র‌্যাফেল ড্র’র পুরস্কার বিতরণ। এবং পুরস্কার বিতরণ শেষে সভাপতি ফখরুল ইসলাম দেলোয়ার অনুষ্ঠান সফল এবং স্বার্থক করার জন্য সবাইকে ধন্যবাদ জানান।

শেয়ার করুন