উচ্চপর্যায়ের একটি চীনা প্রতিনিধিদল ২৬ মে ইউনান এবং বাংলাদেশের মধ্যে আন্তঃসীমান্ত বাণিজ্য সহযোগিতা বৃদ্ধির বিষয়ে আগ্রহ ব্যক্ত করেছে। চীনের ইউনান প্রদেশের বাণিজ্য বিভাগের ল্যানচাং-মেকং উপ-আঞ্চলিক অর্থনৈতিক ও বাণিজ্য উন্নয়ন কেন্দ্রের উপ-পরিচালক লিউ জির নেতৃত্বে একটি উচ্চপর্যায়ের চীনা প্রতিনিধিদল এদিন বাংলাদেশের রফতানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) ভাইস চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছে।
এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ইপিবি ভাইস চেয়ারম্যান প্রতিনিধিদলকে সম্ভাব্য রফতানি খাত, বিনিয়োগের সুযোগ এবং দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান বাণিজ্য ব্যবধান কমানোর জন্য ভবিষ্যৎ সম্ভাবনা সম্পর্কে একটি স্পষ্ট চিত্র তুলে ধরেন। আলোচনার সময়, চীনা প্রতিনিধিদল ইউনানে বাংলাদেশি পণ্যের জন্য বিনামূল্যে গুদাম সুবিধা প্রদান এবং একটি বিশেষ পণ্য প্রদর্শনী কেন্দ্রের সুবিধা দেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছে। এ উদ্যোগের লক্ষ্য হলো বিশ্বের বৃহত্তম ভোক্তা বাজার চীনের বাজারে আরো ভালো প্রবেশাধিকার অর্জনে বাংলাদেশি রফতানিকারকদের সহায়তা করা।
আসন্ন চীন-দক্ষিণ এশিয়া এক্সপোতে বাংলাদেশের কার্যকর অংশগ্রহণ নিশ্চিত করার জন্য, প্রতিনিধিদল বাংলাদেশি রফতানিকারক এবং সম্ভাব্য চীনা ক্রেতাদের মধ্যে ব্যবসায়িক ম্যাচমেকিং সভা আয়োজনে সহায়তার আশ্বাস দিয়েছে। এই ধরনের সুবিধা বাণিজ্য সম্পর্ক এবং নতুন রফতানি সুযোগ বৃদ্ধি করবে বলে আশা করা হচ্ছে।
কৃষিখাতে একটি উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হিসেবে চীনের বাজারে প্রবেশ ও বাজার সম্প্রসারণে সহায়তা করার ক্ষেত্রে প্রতিনিধিদল বাংলাদেশি ফল রফতানিকারকদের জন্য বাজার প্রবেশাধিকার সহজতর করার আশ্বাস দিয়েছে। এ সময় ইপিবির মহাপরিচালক (ডিজি) বেবি রানী কর্মকার এবং পরিচালক (নীতি) আবু মুখলেস আলমগীর হোসেন উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ ফরেন ট্রেড ইনস্টিটিউট (বিএফটিআই)-এর কর্মকর্তারা ছাড়াও বাংলাদেশ কৃষি প্রক্রিয়াজাতকরণ সমিতি (বাপা), তাজা সবজি, ফল ও সহযোগী রফতানিকারক সমিতি, বাংলাদেশ রাসায়নিক শিল্প করপোরেশন (বিসিআইসি)-এর প্রতিনিধিরা এবং সংশ্লিষ্ট রফতানিকারকরা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
ল্যানচাং-মেকং আঞ্চলিক সহযোগিতার বৃহত্তর কাঠামোর অধীনে বাংলাদেশ এবং ইউনান প্রদেশের মধ্যে গভীর অর্থনৈতিক সহযোগিতার লক্ষ্যে এ আলোচনা একটি প্রতিশ্রুতিশীল পদক্ষেপ।