পেশাগত দায়িত্ব পালনের জন্যে বিশেষ কৃতিত্ব প্রদর্শনকারী অফিসারদের সম্মান জানানোর মধ্যদিয়ে অন্যদেরও নিষ্ঠা ও সততার সঙ্গে দায়িত্ব পালনে উৎসাহিত করার অভিপ্রায়ে জাতিসংঘের শহর এবং বিশ্বের রাজধানী খ্যাত নিউইয়র্ক সিটি পুলিশে কর্মরত বাংলাদেশি অফিসারদের সংগঠন ‘বাংলাদেশি আমেরিকান পুলিশ অ্যাসোসিয়েশন’, তথা বাপার বার্ষিক অ্যাওয়ার্ড বিতরণের জমকালো সমাবেশ হলো ১১ অক্টোবর শুক্রবার সন্ধ্যায় কুইন্সের একটি পার্টি হলে।
সিটি মেয়রের প্রধান প্রশাসনিক কর্মকর্তা মীর বাশার, পুলিশের কমিশনার থমাস জি ডনলন, বাংলাদেশ সোসাইটির বোর্ড অব ট্রাস্টির চেয়ারম্যান এম আজিজ, নিউইয়র্কে বাংলাদেশের কনসাল জেনারেল নাজমুল হুদা, গোল্ডেন এজ হোম কেয়ারের প্রেসিডেন্ট শাহ নেওয়াজসহ কমিউনিটির বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার প্রতিনিধিত্বকারী ৫ শতাধিক অতিথির সরব উপস্থিতিতে এই অনুষ্ঠান শুরু হয় বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় সংগীতের মাধ্যমে। আমন্ত্রিত অতিথিদের অভ্যর্থনা জানান বাপার প্রেসিডেন্ট এরশাদ সিদ্দিক, প্রথম ভাইস প্রেসিডেন্ট এ কে এম আলম, সেকেন্ড ভাইস প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ চৌধুরী, সেক্রেটারি রাশেকুল মালিক, মিডিয়া লিয়াজোঁ জামিল সারোয়ার, করেসপন্ডেন্ট সেক্রেটারি সৈয়দ এনায়েত আলী, কমিউনিটি লিয়াজোঁ সর্দার মামুন, ট্রেজারার মেহেদী মামুন, কো-ট্রেজারার জসীম মিয়া। সবকিছু তদারকি করেন ইভেন্ট কো-অর্ডিনেটর শেখ আহমেদ।
উল্লেখ্য, ২০১৫ সাল থেকে বাপা এমন অনুষ্ঠানের আয়োজন করছে এবং আগের প্রতিটি সমাবেশেই সিটি মেয়রও এসেছেন। এবার ঘুষ-দুর্নীতি এবং স্বজনপ্রীতির মামলায় অভিযুক্ত হওয়ায় মেয়র এরিক অ্যাডামস উপস্থিত হননি। একই মামলায় নিউইয়র্ক পুলিশ ডিপার্টমেন্টের বেশ ক’জন শীর্ষ কর্মকর্তা ইতিমধ্যেই পদত্যাগের পর গ্রেফতার হয়েছেন। এমন নাজুক পরিস্থিতির মধ্যেই পুলিশ কমিশনার থমাস জি ডনলন উপস্থিত হয়ে বাংলাদেশি অফিসারদের প্রশংসা করেন। নতুন কম্যুনিটির সদস্য হিসেবে গত কয়েক বছরে অন্তত আড়াই হাজার বাংলাদেশি নিউইয়র্ক পুলিশ ডিপার্টমেন্টে গুরুত্বপূর্ণ পদে কাজ করছেন বলে উল্লেখ করেন।
অনুষ্ঠানে বিপুল করতালির মধ্যে বিশেষ কৃতিত্ব প্রদর্শনকারি অফিসারদের ক্রেস্ট প্রদান করা হয়। এ সময় বাপার কর্মকর্তারা উল্লেখ করেন, নবাগতদের মধ্যে যারা উদ্যমী ও উচ্চশিক্ষিত তাদেরকে নিউইয়র্ক পুলিশ ডিপার্টমেন্টে চাকরির জন্যে তারা সচেষ্ট রয়েছেন এবং ইতিমধ্যেই তার সুফলও আসতে শুরু করেছে।