বাম গণতান্ত্রিক জোট কেন্দ্রীয় পরিচালনা পরিষদের সমন্বয়ক ও বাসদের সাধারণ সম্পাদক কমরেড বজলুর রশীদ ফিরোজ সিপিবি’র সভাপতি সাজ্জাদ জহির চন্দন, সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লাহ কাফি রতন, বিপ্লবী কমিউনিস্ট লীগের সাধারণ সম্পাদক ইকবাল কবীর জাহিদ, গণতান্ত্রিক বিপ্লবী পার্টির সাধারণ সম্পাদক মোশরেফা মিশু, বাসদ (মার্কসবাদী) সমন্বয়ক মাসুদ রানা, সমাজতান্ত্রিক পার্টির নির্বাহী সভাপতি আব্দুল আলী গত ১৪ অক্টোবর ২০২৫ সংবাদপত্রে দেওয়া এক বিবৃতিতে সয়াবিন ও পামওয়েল তেলের দাম বৃদ্ধি ও বন্দরের মাশুল (ট্যারিফ) বৃদ্ধির সিদ্ধান্তের তীব্র নিন্দা জানিয়ে অবিলম্বে মূল্য বৃদ্ধির এই গণবিরোধী সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের জন্য সরকারের প্রতি জোর দাবি জানিয়েছেন।
বিবৃতিতে বলা হয়, ক্রমবর্ধমান দ্রব্যমূল বৃদ্ধির ফলে জনজীবন এমনিতেই বিপর্যস্ত। সরকার সিন্ডিকেটের দৌরাত্ম বন্ধ ও দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে চরম ব্যর্থতার পরিচয় দিয়ে চলেছে। বাজারে চাল, ডাল, সবজিসহ নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের দাম লাগামহীনভাবে বেড়ে চলেছে। তার উপর নতুন করে ভোজ্য তেল বোতলজাত সয়াবিন তেল প্রতি লিটার ৬ টাকা, খোলা সয়াবিন তেল প্রতি লিটার ৮ টাকা এবং খোলা পামওয়েলের দাম বৃদ্ধির গণবিরোধী সিদ্ধান্ত জনজীবনের সংকটকে আরও ভয়াবহ করে তুলবে। বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ বলেন, ইতিপূর্বে গত এপ্রিল মাসেই একবার ভোজ্য তেলের দাম বোতলজাত সয়াবিন তেল প্রতি লিটার ১৪ টাকা এবং খোলা সয়াবিন তেল ও পামওয়েল ১২ টাকা বৃদ্ধি করা হয়েছে। ফলে ৫ মাসের ব্যবধানে নতুন করে দাম বৃদ্ধির কোন যৌক্তিকতা নাই। নেতৃবৃন্দ ভোজ্য তেলের দাম বৃদ্ধির গণবিরোধী সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের জোর দাবি জানান।
বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ বলেন, জনগণের কথা না ভেবে আমদানি-রপ্তানিকারকদের কথা চিন্তা করে একতরফাভাবে বন্দরের মাশুল (ট্যারিফ) ৪১% বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার যা মোটেই গ্রহণযোগ্য নয়। নেতৃবৃন্দ বলেন, বর্তমানে লাভজনক অবস্থায় থাকার পরও কেন এই ট্যারিফ বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত তা খুবই রহস্যজনক। একদিকে জনমত উপেক্ষা করে লাভজনক বন্দরের কন্টেইনার হ্যান্ডেলিং এর দায়িত্ব বিদেশি কোম্পানিকে দেওয়ার চক্রান্ত চলছে। তারই অংশ হিসেবে বিদেশি কোম্পানিকে যাতে ট্যারিফ বাড়াতে না হয় সেই জন্য বিদেশি অপারেটরদের মুনাফার সুবিধা করে দিতেই ইজারার পূর্বে সরকারই ট্যারিফ বৃদ্ধির এই গণবিরোধী সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
বিবৃতিতে বলা হয় এই ট্যারিফ বৃদ্ধির প্রভাব পড়বে আমদানি রপ্তানি বাণিজ্যে। ফলশ্রুতিতে পণ্যমূল্য বাড়বে এবং শেষ বিচারে এই বাড়তি মূল্য দেশের জনগণকেই পরিশোধ করতে হবে। বিবৃতিতে মাশুল বৃদ্ধির গণবিরোধী সিদ্ধান্ত প্রত্যাহরের দাবি জানানো হয়।
বিবৃতিতে বাম জোট নেতৃবৃন্দ আন্দোলনরত এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের ন্যায়সংগত আন্দোলনে পুলিশী হামলার নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে অবিলম্বে হামলাকারী পুলিশের বিচার দাবি করেন। একই সাথে মূল বেতনের ২০% বাড়ি ভাড়া, ১৫০০ টাকা চিকিৎসা ভাতা ও ৭৫% উৎসব ভাতা বৃদ্ধিসহ শিক্ষকদের ন্যায্য দাবি মেনে নেওয়ার জন্য সরকারের প্রতি জোর দাবি জানান।