প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ক্ষমতা গ্রহণের পর ইমিগ্র্যান্ট কমিউনিটি দারুণ অশ্চিয়তার মধ্যে দিনাপাতিপাত করছে। আবার দেখা দিয়েছে অর্থনৈতিক মন্দাও। এমন অনিশ্চিত অর্থনৈতিক পরিস্থিতি সত্ত্বেও তুলনামূলকভাবে কম সুদে প্রবাসীদের বাড়ি ক্রয়ে দীর্ঘমেয়াদি ঋণ মঞ্জুরির ক্ষেত্রে নিউইয়র্ক অঞ্চলে অসাধারণ কৃতিত্ব প্রদর্শনের স্বীকৃতি পেয়েছেন ‘মেডোব্রুক’ ব্যাংকের ফাইন্যান্সিয়াল ব্যবস্থাপক আকিব হোসাইন। তিনি দীর্ঘদিন থেকেই প্রবাসী বাংলাদেশিদের স্বপ্ন পূরণের সারথি হিসাবে কাজ করছে। যেখানে লোন মঞ্জর করতে অনেকেই অপারগদা প্রকাশ করছেন বা ব্যর্থ হচ্ছে সেখানে আকিব হোসেন একের পর এক লোক মঞ্জুর করছেন। শুধু তাই রীতিমত রেকর্ড করেছেন, সৃষ্টি করেছেন ইতিহাসও।
গত বছর অর্থাৎ ২০২৪ সালে শতাধিক বাড়ি ক্রয়ে প্রবাসীদের জন্যে ৩০ বছর মেয়াদি ২৫ মিলিয়ন ডলারেরও অধিক ঋণ মঞ্জুরিতে সর্বাত্মক সহায়তার জন্যে আকিব হোসাইনকে ‘টপ প্রডিউসার অ্যাওয়ার্ড’ প্রদান করেছে মেডোব্রুক। সম্প্রতি আনুষ্ঠানিকভাবে বিশেষ এই সম্মাননা ক্রেস্টটি হস্তান্তর করা হয়েছে আকিব হোসেনকে। নিউইয়র্ক সিটির কুইন্স বুলেভার্ডের অফিসে মৃদুভাষী, পরোপকারী এবং প্রবাসী বাংলাদেশিদের স্বপ্নের বাড়ি ক্রয়ে বিনা ফিতে সুপরামর্শ প্রদানকারি সিলেটের কৃতি সন্তান আকিব হোসেন বললেন, যাদের ক্রেডিট রিপোর্ট ভালো এবং কঠোর পরিশ্রমী তারা মেডোব্রুকের বিশেষ সহানুভূতি পেয়ে আসছেন। আমার অফিস এমন প্রবাসীদের পাশে সামনের দিনগুলোতেও থাকবে। ট্যাক্সি চালক এবং বিজনেস ওউনারদের পাশাপাশি যারা হোমকেয়ারে কাজ করেন তাদের জন্যে রয়েছে বিশেষ সুবিধা। আকিব বললেন, এক বছরের ট্যাক্স ফাইলিংয়েই (১০৯৯) বাড়ি কেনা যাচ্ছে মাত্র ৫ শতাংশ ডাউন পেমেন্টে।
আকিবের সরল-স্বীকারোক্তি ‘আমেরিকায় বাড়ি কেনা প্রতিটি মানুষের জন্যে একটি স্বপ্ন। আমি ক্লায়েন্টদের সব সময় বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে আসছি। তাদের সমস্যার সমাধানে পথ বাতলে দিচ্ছি-যাতে ঋণ পেতে সমস্যা না হয়। সবচেয়ে বড় কথা হচ্ছে, বাড়ি ক্রয়ের অন্যতম পূর্বশর্ত ‘প্রি-অ্যাপ্রুভ্যাল’ লেটার ইস্যু করছি বাড়ি ক্রয়ে আগ্রহীদের জন্য।
উল্লেখ্য, করোনা থেকে জেগে উঠার পরিক্রমায় রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধজনিত কারণে সারাবিশ্বের মত যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনৈতিক পরিস্থিতিও টালমাটাল অবস্থায় নিপতিত হয়েছে। ব্যাংকসমূহে সুদের হার সাড়ে ৮ শতাংশ পর্যন্ত বৃদ্ধি করায় অনেকে বাড়ি ক্রয়ের ঋত নিতে স্বস্তিবোধ করছেন না। এমনি একটি উভয়-সংকট মুহূর্তেও আকিব খানের কৌশলী পরামর্শে অনেকে ৬ শতাংশের কম সুদেও ঋণের মঞ্জুরি পাচ্ছেন। আর এটিই হচ্ছে আকিবের সাফল্যের মূলমন্ত্র বলে অনেকের ধারণা। সাকিব বলেন, বাড়ি ক্রয়ে আগ্রহী সকলকেই আমি আমার পরিবারের একজন হিসেবে বিবেচনা করি এবং ঋত পেতে যতরকমের সুবিধা রয়েছে তা প্রদানে চেষ্টা করছি। তিনি আরো বলেন, আমি আমার গ্রাহকদের জন্য আন্তরিকভাবে কাজ করছি, মানুষের স্বপ্ন পূরণে সহযোগিতা করি। আমি চাই প্রবাসী বাংলাদেশিদের পাশে দাঁড়াতে, তাদের বসবাসের জন্য একটি বাড়ি ক্রয় করতে।