নিউইয়র্ক সিটির অনুদানে বাসা এবং ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে অত্যাধুনিক হিটিং ও এয়ারকন্ডিশন লাগিয়ে দিচ্ছেন গ্রি-মেকানিক্যাল ইয়ংকার্সের স্বত্বাধিকারী বাংলাদেশি কমিউনিটির অত্যন্ত পরিচিত মুখ, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী তোফায়েল চৌধুরী লিটন। যে কেউ বাংলাদেশি তোফায়েল চৌধুরী লিটনের মাধ্যমে নিজ বাসায় বা ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে অত্যাধুনিক এবং পরিবেশসম্মত এই হিটিং সিস্টেম এবং এয়ারকন্ডিশন লাগিয়ে নিতে পারেন। রক্ষা পেতে পারেন বয়লার সিস্টেম থেকে। জানা গেছে, এখন সিটি থেকে প্রতিটি বাড়ি বা ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের জন্য অনুদান দেওয়া হচ্ছে।
প্রবাসী বাংলাদেশি কমিউনিটিকে সহযোগিতা বা সেবা প্রদানের উদ্দেশ্যে তোফায়েল চৌধুরী কয়েক বছর আগে নিউইয়র্কের ইয়াংকার্সে এই প্রতিষ্ঠান চালু করেন। তার অফিস বা প্রতিষ্ঠান ইয়াংকার্সে হলেও তিনি নিউইয়র্কের সর্বত্র এই কাজ করেন। বিনা অর্থে এই সিস্টেম লাগিয়ে দিচ্ছেন। সেই সঙ্গে দিচ্ছেন ১০ বছরের গ্যারান্টি। আরো রয়েছে সমস্যা তৈরি হলে বিনামূল্যে তা মেরামত। তোফায়েল চৌধুরী লিটন জানান, এটি মূলত নিউইয়র্ক সিটির প্রজেক্ট। নিউইয়র্ক সিটিতে গ্রিন সিটি করার পরিকল্পনার অংশ হিসেবে এই প্রজেক্ট চালু করা হয়। বাংলাদেশিদের সেবা দেওয়ার জন্য আমি এই প্রজেক্ট চালু করি। তিনি বলেন, এই সিস্টেম চালুর জন্য প্রয়োজন শুধু একজন বাড়ির মালিক বা ব্যবসায়ীর সিদ্ধান্ত নেয়া। সিদ্ধান্ত নেয়ার পর আমরাই নিজেদের লোক দিয়ে সবকিছু বাস্তবায়ন করবো এবং সিটির অর্থায়নের ব্যবস্থাও করবো। তিনি আরো বলেন, আমাদের এই সিস্টেমটি হচ্ছে পরিবেশসম্মত। কারণ এই সিস্টেম বাসায় বা ব্যবসায় লাগালে সেই বাসায় আর তেল বা গ্যাসের বয়েলার থাকবে না। যার ফলে পরিবেশ থাকবে স্বাস্থ্যসম্মত। এই কয়েক বছরেই তোফায়েল চৌধুরী লিটন বাংলাদেশি কমিউনিটিতে শক্ত ভিত তৈরি করেছেন এবং আস্থার প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছে।
সেই প্রতিষ্ঠানের আয়োজনে কমিউনিটি নেতৃবৃন্দ এবং তার গ্রাহকদের জন্য ইফতার মাহফিল এবং মিলনমেলার আয়োজন করা হয়। তার ইফতার মাহফিলটি সৌহার্দ্য-সম্প্রীতির ইফতার মাহফিলে পরিণত হয়। ইফতার মাহফিলটি গত ২১ মার্চ উডসাইডের গুলশান টেরেসে অনুষ্ঠিত হয়। সাংবাদিক আশরাফুল হাসান বুলবুলের সঞ্চালনায় ইফতার মাহফিলে স্বাগক বক্তব্যে তোফায়েল চৌধুরী লিটন সবাইকে পবিত্র মাহে রমজানের শুভেচ্ছা জানিয়ে বলেন, সবার মধ্যে সৌহার্দ্য-সম্প্রীতির সম্পর্ক গড়ে তোলার জন্যই আমাদের এই আয়োজন। আমরা বাংলাদেশি কমিউনিটির সেবা করতে চাই। আমার বলতে দ্বিধা নেই বাংলাদেশি কমিউনিটি এবং বাংলাদেশি মিডিয়া আমাদের এই পর্যায়ে নিয়ে এসেছে। যে কারণে আমি সবার কাছে কৃতজ্ঞ। এই আরো উপস্থিত ছিলেন তার ছোট দুই ভাই তানভীর সায়মন চৌধুরী, ফারহাদ চৌধুরী। সুন্দর এবং ব্যতিক্রমী এই ইফতার মাহফিলে তিন ভাই সারাক্ষণ মানুষের সেবায় নিয়োজিত ছিলেন। তাদের আতিথেয়তায় সবাই ছিলেন মুগ্ধ। ইফতার মাহফিলে মুসলিম উম্মার সুখ, শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা করেন দোয়া পরিচালনা করেন মাওলানা আশরাফ।
ইফতার মাহফিলে উপস্থিত ছিলেন জালালাবাদ অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মইনুল ইসলাম, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী বিলাল চৌধুরী, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী নাঈম টুটুল, জেবিবিএর সাধারণ সম্পাদক ফাহাদ সোলায়মান, জালালাবাদ অ্যাসোসিয়েশনের কোষাধ্যক্ষ মঈনুজ্জামান চৌধুরী, জেবিবিএর কর্মকর্তা আতিকুল ইসলাম জাকির, জালালাবাদ অ্যাসোসিয়েশনের সাবেক সভাপতি বদরুন নাহার খান মিতা, আশা হোম কেয়ারের প্রেসিডেন্ট আকাশ রহমান, রাজনীতিবিদ আবু সাইদ আহমেদ, এম এ বাতিন, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী সরওয়ার খান বাবু, একেএম রফিকুল ইসলাম ডালিম, সাইকেলিস্ট সাইদুর আর লিংকন, কাজী আমিনুুল ইসলাম স্বপন, মঞ্জুর আহমেদ জগলু, গোলাপগঞ্জ সোসাইটির সভাপতি এবাদ চৌধুরী, বক্সার সেলিম, চৌধুরী তানিম, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী আকিব হোসেন প্রমুখ।