শেখ হাসিনা ও তার সরকারের পতনের পরও কেন বাজারে নিত্যপ্রয়োজনীয় মূল্যের ঊর্ধ্বগতি। চাঁদাবাজি কেন থামছে না। কেন পুরানো সিন্ডিকেট যথারীতি বিদ্যমান- এমন হাজারো প্রশ্রবাণে জর্জরিত অন্তর্বর্তী সরকার। কিন্তু মাঠের খবরটা প্রকাশিত হচ্ছে না যথাযত। দীর্ঘ ১৬ বছরের সাজানো তিন স্তর বিশিষ্ট সরকার ও দেশের বিভিন্ন স্থানে যেসব ব্যবসা বাণিজ্য থেকে শুরু করে যেসকল স্থানে চাঁদাবাজি চলে আসছে, সেগুলো কেন অব্যাহত সে প্রশ্ন খুঁজতে যেয়ে দেখা গেছে বিগত সরকারের লোকজন এখনও বেশিরভাগ স্থানই দখল করে পুরানো কার্যাদি চালিয়ে যাচ্ছে যথারীতি। তবে সেটা প্রকাশ্যে, আড়ালে-আবডালে সবভাবেই। আওয়ামী লীগের ১৬ বছরে বাজারঘাট, আড়ত থেকে শুরু করে প্রতিটা স্থানেই শ্রমিক লীগ, অমুক লীগ, তমুক লীগে তটস্থ ছিলেন সবাই। লাখ লাখ এসব শিক্ষিত, অর্ধশিক্ষিত, মূর্খ যে যে স্তরেরই থাক না কেন, তারা কী হাওয়া হয়ে গেছেন? নাকি পুলিশ তাদের আটক করেছেন। নাকি তারা ব্যবসা বা তাদের রাজত্ব ছেড়ে পালিয়েছে? যথাযথ স্থানে এখনও তারা।
সেখানে প্রয়োজনে বিএনপির লোকজনকে সাথে নিয়ে ভাগ দিয়েও হলেও করে যাচ্ছে। বিএনপি কিছু স্থানে দখল নিলেও সে সংখ্যা নিতান্ত কম। ফলে সাধারণ মানুষের নিস্তার নেই কোনো সেক্টরেই- বিভিন্ন স্থানে খবর নিয়ে এমন তথ্যই নিশ্চিত হওয়া গেছে।
গণঅভ্যুত্থানে শেখ হাসিনা দেশ ছেড়ে পালিয়েছেন। সাথে তার মন্ত্রী পর্যায়ের কতিপয় ব্যাক্তি বা নেতা। বাকিরা সবাই দেশে গা ঢাকা দিয়ে। কিছুদিন তারা লুকিয়ে থাকলেও অন্তর্বর্তী সরকারের ঢিলেঢালা ভাব পর্যবেক্ষণ করে এসব নেতা প্রকাশ্যে বের হতে শুরু করেছেন। এর বড় কারণ পুলিশ। পুলিশ এখনও মোটামুটি নিষ্কিয়। তাছাড়া দু’চারজন যারা সক্রিয় তারা ভয় পাচ্ছেন আওয়ামী লীগ, যুব লীগ বা ছাত্রলীগের যারা বিভিন্ন অপকর্মের সঙ্গে জড়িত তাদের আটক করতে।
এরপর অন্তর্বর্তী সরকার ঘোষণা দিয়েছে নির্দিষ্ট অভিযোগ না থাকলে কাউকে আটক না করতে। ৫ আগস্ট ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর পর বিএনপির লোকজনই আওয়ামী লীগের দেয়া মামলা প্রত্যাহারের জন্য ছুটাছুটি শুরু করেন। আওয়ামী লীগের যারা অপকর্মের সঙ্গে জড়িত তাদের বিরুদ্ধে মামলা দেবেন এ সময় কোথায় পাবেন তারা।
এরই মধ্যে পরিকল্পিতভাবে বিএনপির উপর মিডিয়া যে অপপ্রাচারের স্টিম রোলার চালিয়েছে এতে বিএনপি পূর্বের ন্যায় কোনঠাসা আবারও। ফলে দীর্ঘ ১৬ বছর যে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগের যারা তাদের উপর যারা হামলা মামলা করেছে তাদের বিরুদ্ধে মামলা তো দূরে থাক মিডিয়া ও কেন্দ্রীয় নির্দেশে চুপ হয়ে বসে থাকতে হয়েছে। ফলে দিন শেষে আওয়ামী লীগের অপকর্মের সঙ্গে যারা জড়িত তাদের বিরুদ্ধে টু শব্দ পর্যন্ত করতে পারছে না বিএনপি। মার দেয়া তো দূরে থাক। মামলা অভিযোগ শুণ্য আইনের চোখে নিষ্পাপ নিস্কলুষ এখন আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগ। সিটি পর্যায়ে কিছু হত্যা মামলার আসামী হয়েছে বটে। কিন্তু দেশের বিভিন্ন প্রান্তরে তাদের রেকর্ডবুক হোয়াইট! থানায় বা কোর্টে নেই তাদের বিরুদ্ধে কোনো মামলা, অভিযোগ। ফলে পুলিশ তাদেরকে ধরার চিন্তাও করছেন না। এতে করে প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াতেও বাঁধা নেই এসব নেতার।
সম্মানহানী হবে বা কেন্দ্রের চোখে পড়বেন এ জন্য নাম না প্রকাশের শর্তে এক বিএনপি নেতা বলেন, ‘আমাদেরকে সভাপতিকে মারতে মারতে হাতে ব্যাথা পেয়েছেন এক যুবলীগ কর্মী। এতে হাতে তার ব্যান্ডেজ পড়তে হয়েছে, ব্যাথানাশক মেডিসিন নিতে হয়েছে। থানায় এই ব্যান্ডেজ দেখিয়েও মামলা করেছে সেই যুবলীগ কর্মী, মার দেয়া বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে। সে মামলায় ওই বিএনপি সভাপতিকে পুলিশ আটক করে থানায় নিয়ে মারধর করে কারাগারে পাঠায়। ৫ আগস্টের পর তিনি ছাড়া পেয়েছেন বটে। কিন্তু ওইসব আক্রমণকারী যুবলীগ বা আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা করার সাহস পাচ্ছেন না। এরও দুই কারণ। একটি কেন্দ্র থেকে কোনোরকম বিবাদে না জড়ানোর নির্দেশ। অন্যদিকে এই মামলা ও পুলিশী আটকের শিকার হলে আওয়ামী লীগ ইস্যু খুঁজে পাবে।’ এমন চিত্র দেশের অধিকাংশ অঞ্চলে। আওয়ামীপন্থীরা ঘুরে বেড়াচ্ছেন কিছুটা সাবধানে থেকে, আর বিএনপির নেতা কর্মীরা এখনও মামলায় হাজিরা বা বাতিলের জন্য আপ্রাণ ছুটাছুটি করছেন।
সম্প্রতি ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়া শেখ হাসিনার কয়েকটি ভিডিও ক্লিপে পুুলিশের বিরুদ্ধে যেসব কথা বলা হয়েছে। বা ফেসবুকসহ সামজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পুলিশ ও প্রশাসনের বিরুদ্ধে যেভাবে গুজব ছড়ানো হচ্ছে এটাও ভয় পাচ্ছে অন্তর্বর্তী সরকার। এ জন্য বিএনপির কেউ উচ্চবাচ্য করুক এটাও তারা পছন্দ করছে না।
এর সঙ্গে যোগ হয়েছে হত্যা ও হত্যা চেষ্টা মামলার আসামী সাবেক মন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী ও সাবেক পরিকল্পনা মন্ত্রী মান্নান এর জামিন লাভ। অন্তর্বর্তী সরকার বারবার উচ্চরণ করছেন, হত্যাকান্ডের সঙ্গে জড়িত না থাকলে মামলায় না থাকলেও সেটা তদন্ত করে খারিজ করে দেয়া হবে। এমন বক্তব্যে আওয়ামী লীগের অনেক নেতাকর্মী যারা ছাত্র জনতার হত্যা মামলার আসামী তারাও এখন সাহস পেয়েছেন। এবং তারা প্রকাশ্যে চলে আসছেন। আবার কেউ কেউ তাদের পুরানো নিয়ন্ত্রণ ফিরে নিচ্ছেন। বিএনপির নেতা কর্মীরা এখানে হতাশ ও প্রচণ্ড রকম কোণঠাসা। যারা ১৬ বছর ধরে মামলা হামলায় অভিযুক্ত হয়ে জামিনের জন্য কোর্টের বারান্দায় ঘুরতে ঘুরতে সহায় সম্বল শেষ করেছেন, তারা এখন নতুন সমস্যায় আবারও কোনঠাসা। এমনকি অনেক ক্ষেত্রে বিএনপি নেতার জমি সম্পদ, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান দখল করা আওয়ামী লীগ নেতার কব্জা থেকে উদ্ধার করতে যেয়েও পাল্টা দখলের অভিযোগ হজম করতে হচ্ছে।
কেন বিএনপির এমন কোণঠাসা
বিএনপি বা বিএনপির নেতাকর্মীর সামনে বড় মুলা ঝুলছে। সেটা অচিরেই ক্ষমতায় আসছে তারা। কারণ আগামীতে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার অর্থ বিএনপি বিপুল ভোটে জয় নিয়ে ক্ষমতায় আসবে। কিন্তু আদৌ কবে নির্বাচন হবে, বিএনপি আসবে কি না তার কোনো নিশ্চয়তা কী আছে? শুধুই সেই লোভে বিএনপি কোণঠাসা হয়ে আছে বা বিএনপিকে কোণঠাসা করে রাখা হয়েছে। অথচ দীর্ঘ ১৬ বছরে বিএনপির নেতাকর্মীদের মধ্যে বাড়িতে রাতে ছয় মাস ঘুমাতে পেরেছেন এমন সংখ্যা নেহায়েত নেই। বনজঙ্গলে, জমির ক্ষেতে বিএনপি নেতাকর্মীদের রাতযাপন করতে হয়েছে। ব্যবসা-বাণিজ্য, শিক্ষা, চাকরি সব ছাড়তে হয়েছে। ফ্যামিলি পথে বসার উপক্রম বেশিরভাগের। নিরুপায় এসব নেতাকর্মী নতুন ক্ষমতায় আসার চাপে সেই মন মরা। কোনঠাসা। উল্টা দাপটের সঙ্গে ১৬ বছর নানা অপকর্ম করে শত শত কোটি টাকা বানানো আওয়ামী লীগ দের সহস্রাধিক ছাত্র জনতা হত্যা ও হাজার মানুষকে পঙ্গু করেও তারা এখন ফ্রন্টলাইনে এবং দোষমুক্ত। প্রশাসনের অনেকেই এসব আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের পুর্নবাসন ও তাদের মানসিক অবস্থা জাগ্রত করার জন্য আপ্রাণ চেষ্টা করে যাচ্ছেন বলে অভিযোগ রয়েছে।
জামায়াত লাভবান
এ ক্ষেত্রে জামায়াত বেশি লাভবান। ৫ আগস্টের পরপরই জামায়াতের আমীর ডা. শফিক এক বক্তব্যে প্রকাশ্যে বলেন যে আওয়ামী লীগ ১৬ বছর যেসব স্থান দখল বাণিজ্য করেছিল বিএনপি তার মুহূর্তে ৮০% ভাগ দখল করে নিয়েছে।
এমন অভিযোগে বিএনপি আরেকধাপ সব স্থানে কোণঠাসা। প্রশাসনের বিভিন্ন স্তরে যেখানে তিন কোথাও চার- পাঁচ স্তরের আওয়ামীপন্থীদের সেট করা। সেখানে বিকল্প খুঁজতে গিয়ে পেছন থেকে টেন আনতে হলে সেই বিএনপি পন্থীদের খুঁজতে হয়। কারণ বিগত সময়ে বিএনপির সেট করা বা বিএনপি পন্থীরা হয়তো ওএসডি বা নানাভাবে নিগৃহীত ছিল। ফলে অন্তর্বর্তী যে ‘নিরপেক্ষ’ খুঁজছে এটা বাংলাদেশে অসম্ভব। ফলে দলীয় লোক বা অপেক্ষাকৃত কম দলের সঙ্গে সম্পৃক্ত এমনদের খুঁজতে অন্তর্বর্তী হয়রান তখন জামায়াতের আমীরের অমন বক্তব্যে ওই ‘খোঁজ’ এ স্থবিরতা নেমে আসে। জামায়াত পন্থীদের স্থান দিলে সেখানে বিএনপি কোনো প্রশ্ন তোলেনি। অন্যসবস্থানে পুরানো সেট করা ব্যাক্তিবর্গই যথাযত। ব্যাতিক্রম দু’একটি মাত্র।
ফলে এমন প্রশাসন আওয়ামী লীগকে পূর্নবাসন করবে বা তাদের প্রতি দুর্বল থাকবেন এটাই স্বাভাবিক।
বাজার সিন্ডিকেট প্রসঙ্গে সংশ্লিষ্ট উপদেষ্টা নিজেই বলেছেন এক ডিমের পাইকারী বাজার কাওরান বাজারে নাকি চারবার হাত বদল হয়। এই চার হাত পুরানো না নতুন করে গজিয়ে উঠেছে এটা তিনি ক্লিয়ার করেননি। এভাবে সবজির বাজারেও আগুন। কোনো কোনো ক্ষেত্রে দ্বিগুণ।
ট্রাফিক ব্যাবস্থা ভেঙে পড়ার উপক্রম। গাছাড়া ভাব ট্রাফিক পুলিশের। ছাত্ররা মাঠে নেই। আর্মি রাস্তায় কতদিন থাকবে। ফলে সেই আওয়ামীপন্থীরা সোচ্চার এ অন্তর্বর্তী সরকারকে প্রশ্নবিদ্ধ করার ক্ষেত্রে। বিএনপি এখানে কোনো ভূমিকা রাখতে পারছে না দেশের বৃহৎ রাজণৈতিক দল হওয়া সত্ত্বেও। কারণ মিডিয়া আওয়ামী লীগের কোনো অপকর্ম না পারলে দিচ্ছে না। আর বিএনপির গ্রামের ওয়ার্ডের কোনো নেতা যদি সম্পদভাগের বিবাদে কোনো একপক্ষের সুপারিশে একটি দোকানও যদি নিজের কব্জায় নেন সেটাও জাতীয় দৈনিক বা মূল ধারার গণমাধ্যমে ফলাও করে প্রকাশিত হচ্ছে।
আওয়ামী লীগের কোনো পর্যায়ের নেতাকর্মীর গায়ে যেমন থানা পুলিশ বা প্রশাসন হাত দেয়ার চিন্তাও করেন না তেমনি তাদের সিন্ডিকেট সামলানোটা এক রকম রাষ্ট্রীয় দায়িত্ববোধ হিসেবে কন্টিনিউ করার গুরুদায়িত্ব পালণ করে চলছেন। ফলে এর কুফল ভোগ করছে সাধারণ জনগণ। বিএনপির হাইকমান্ড এসব ঠেকাতে যাওয়া নেতাকর্মীদের শত শত জনকে বহিষ্কার করে যে ভীতি তৈরি করে রেখেছে দলে- এতে বিএনপি নানামুখী চাপে। সাধারণ মানুষ বিএনপিকে গালমন্দ করতে সুযোগ না পেয়ে দিন শেষে অন্তর্বর্তীর উপর দোষ চাপাচ্ছে। দুই মাসের এ নতুন সরকার কোনটা রেখে কোনটা সামলাবেন সেটা কে বলবে!
যা বলেছেন গয়েশ্বর চন্দ্র রায়
সম্প্রতি এক আলোচনা সভায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেছেন, ছাত্র-জনতা বিপ্লবে শুধু সরকার পরিবর্তন ছাড়া ‘অন্য কিছুই’ বদলায়নি। তিনি বলেন, যারা মানুষের জন্যে, অধিকারের জন্যে, দীর্ঘ ১৬ বছর ধরে রক্ত দিয়েছে, যারা গুম হয়েছে, যারা সন্তান হারা হয়েছে, যারা পিতৃহারা হয়েছে, যারা মাহারা হয়েছে- তারা সব হারিয়েছে। মাঝখানে শুধু শেখ হাসিনাই নেই। আর সব আগের মতোই আছে।
গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, ‘আপনাদের (অন্তর্বতীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা) মিথ্যা মামলার ব্যাপারে যদি আমরা সমব্যথী হতে পারি, সোচ্চার হতে পারি, তাহলে আপনারা দায়িত্ব গ্রহণ করার পরে আমাদের মামলাগুলো আগের মতোই আছে, আমাদের আগের মতোই আদালতে যেতে হচ্ছে। এই কারণেই আমি বলেছি, সরকার বদলে গেছে কিন্তু ‘তুমি-আমি একই আছি, যা ছিলাম আগে’। তিনি বলেন, ‘এক-এগারোর সময়ে আওয়ামী লীগের সকল মামলা যদি উঠে যেতে পারে, তাহলে এখন কেনো আমাদের মামলা উঠছে না। আপনারাই বলেছেন, আমাদের ওপরে মিথ্যা মামলা হয়েছে। প্রধান উপদেষ্টাকে মিথ্যা মামলা দিয়ে অপমানিত করা হয়েছিলো এতে গোটা জাতি ক্ষুব্ধ হয়েছে। তাহলে আমাদের ওপরে এতো অত্যাচার-নির্যাতন-মিথ্যা মামলা কেনো আপনাদের বিবেচনায় আসছে।’
তার দীর্ঘ বক্তৃতায় তিনি বলেন, ‘আমরা বলছি, আপনারা যদি ব্যর্থ হন জাতি ব্যর্থ হবে, আপনারা ব্যর্থ হওয়া মানে ছাত্র-জনতার আন্দোলনের ফসল ব্যর্থ হওয়া। আমরা দেখতে চাই আপনারা সফল হন। আমরা আপনাদেরকে সর্বাত্মক সহযোগিতা দিয়ে যাচ্ছি, আমরা সর্বাত্মক সহযোগিতা দেবো। তবে মানুষের কাছে স্পষ্ট করেন আপনারা নির্বাচন করবেন।’