৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫, শুক্রবার, ০৫:২২:০০ অপরাহ্ন


জ্যাকসন হাইটস এলাকাবাসীর জাতীয় শোক দিবস পালন
দেশ রিপোর্ট
  • আপডেট করা হয়েছে : ২০-০৮-২০২৫
জ্যাকসন হাইটস এলাকাবাসীর জাতীয় শোক দিবস পালন বক্তব্য রাখছেন মোহাম্মদ আলম নমি


জ্যাকসন হাইটস এলাকাবাসী একটি ব্যতিক্রমী সংগঠন। এই সংগঠনের সব মতাদর্শের মানুষ রয়েছে। রয়েছে যারা আওয়ামী লীগ করেন তারা, যারা বিএনপি করেন তারা, যারা জাতীয় পার্টি করেন তারাসহ অন্য দলের সমর্থকরা। এখানে মতের অমিল থাকতে পারে, কিন্তু সাংগঠনিক স্বার্থে সবাই এক এবং অভিন্ন। যে কারণে তাদের পক্ষেই সম্ভব অসম্ভবকে সম্ভব করা। হিংসা-বিদ্বেষের রাজনীতি পরিহার করে সৌহার্দ্য-সম্প্রীতির রাজনীতি প্রতিষ্ঠা করা। 

জ্যাকসন হাইটস এলাকাবাসী অন্যান্য বছরের মতো এবারও মিলিমিশে একই আমব্রেলার নিচে এসে পালন করলো জাতীয় শোক দিবস। গত বছর শেখ হাসিনা ভারত পালিয়ে যাওয়ার পর শোক দিবস পালন করা অনেকটা চ্যালেঞ্জিং ছিল। তারপরও এলাকাবাসীর দৃঢ় অবস্থান এবং সবার সহযোগিতার কারণে তা সম্ভব হয়েছে। তারা বলেছেন, শেখ মুজিবুর রহমান কোন দলের নয়। তাকে দলীয় করতে দেওয়া হবে না। তিনি আমাদের সবার।

জ্যাকসন হাইটস এলাকাবাসীর উদ্যোগে গত একযুগেরও বেশি সময় ধরে শেখ মুজিবুর রহমানের মৃত্যুবার্ষিকী পালন করে আসছে। এবারও পালন করা হয় গত ১৫ আগস্ট। অনুষ্ঠানটি জ্যাকসন হাইটসের নবান্ন রেস্টুরেন্টের সামনে। সংগঠনের সভাপতি সকিল মিয়ার সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক মিয়া আলম নমির পরিচালনায় অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ও আহ্বায়ক মীর নিজামুল হক, সদস্য সচিব মামুন মিয়াজি, জেবিবির সভাপতি হারুণ ভূইয়া, সাধারণ সম্পাদক ফাহাদ সোলায়মান, বাংলাদেশ সোসাইটির সিনিয়র সহ-সভাপতি মহিউদ্দিন দেওয়ান, সহ-সভাপতি কামরুজ্জামান কামরুল, বীর মুক্তিযোদ্ধা একেএম ফজলুল হক, সহযোগিতায় ছিলেন মোহাম্মদ মানিক বাবু, এম রহমান, সহ-সাধারণ সম্পাদক মিয়া মোহাম্মদ দুলাল, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আকরাম হোসেন বিপ্লব, ক্রীড়া সম্পাদক ইফতি খান টিপু। পৃষ্ঠপোষকতায় ছিলেন জয়নাল আবেদীন, শাহ জে চৌধুরী, মহিউদ্দিন দেওয়ান, আলমগীর হোসেন, মফিজুর রহমান, নূরুজ্জামান সর্দার, শাখাওয়াত বিশ্বাস, সোহেল গাজী, খোরশেদ খন্দকার, কামাল ভুইয়া, রফিকুর রহমান, ইকবাল হোসেন, সৈয়দ এম কিবরিয়া। অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন-যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের সভাপতি ড. সিদ্দিকুর রহমান, যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সামাদ আজাদ, যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের সদস্য শাহানারা রহমান প্রমুখ।

সভাপতি সাকিল মিয়া বলেন, শেখ মুজিবুর রহমান কোন দলের না। তাকে আমরা কোন দলের হতে দেবো না। তিনি বাংলাদেশের স্থপতি। তাকে আমাদের যথযথ সম্মান জানাতে হবে। শুধু তাকে নয় আমাদের সব জাতীয় নেতাকে সম্মান জানাতে হবে। তাদের অন্তর দিয়ে অনুভব করতে হয়।

মীর নিজামুল হক বলেন, আমরা এ অনুষ্ঠান দীর্ঘদিন থেকেই করে আসছি। আমাদের রাজনৈতিক মতাদর্শ থাকতে পারে কিন্তু জাতীয় নেতাদের ক্ষেত্রে আমরা এক ও অভিন্ন। আমরা তাদের সম্মান করতে চাই।

মোহাম্মদ আলম নমি সবাইকে ধন্যবাদ জানান, এ অনুষ্ঠানকে সার্থক এবং সফল করার জন্য। তিনি বলেন, মানুষের সাহার্য এবং সহযোগিতা ছাড়া আমরা এতো বড় অনুষ্ঠান সফল করতে পারতাম না। তিনি বলেন, আমরা কয়েকটি গরু জবাই করেছি, এক হাজারের মক জায়নামাজ বিতরণ করেছি। সেই সঙ্গে গাছের চারা বিতরণ করেছি।

ফাহাদ সোলায়মান বলেন, আমরা যদি আমাদের জাতীয় নেতাদের সম্মান করতে পারতাম এবং তাদের দলীয় সম্পদে পরিণত না করতাম তাহলে আজকে বাংলাদেশের রাজনীতির এ অবস্থা হতো না। তিনি বলেন, ইতিহাসে যার যার সম্মান তাকে দেওয়া উচিত।

মামুন মিয়াজী সবাইকে ধন্যবাদ জানান, তাদের পাশে থেকে অনুষ্ঠানকে সফল করার জন্য।

অনুষ্ঠানে বিশেষ দোয়া পরিচালনা করেন মাওলানা কাজী কাইয়্যুম। আলোচনা শেষে বিতরণ করা হয় খাবার। শত শত মানুষ লাইনে দাঁড়িয়ে খাবার সংগ্রহ করেন।

শেয়ার করুন