১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫, শনিবার, ৬:০৫:২০ পূর্বাহ্ন


বাংলাদেশ হিউমান রাইটস ওয়াচ ইউএসএ’র সংবাদ সম্মেলন
দেশ রিপোর্ট
  • আপডেট করা হয়েছে : ১৩-০৮-২০২৫
বাংলাদেশ হিউমান রাইটস ওয়াচ ইউএসএ’র সংবাদ সম্মেলন লিখিত বক্তব্য পাঠ করছেন শামীম চৌধুরী


গত ১০ আগস্ট নিউইয়র্কে ‘বাংলাদেশ হিউমান রাইটস ওয়াচ ইউএসএ’ এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে। সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশের চলমান সহিংসতা, মব ভায়োলেন্স, চরম মানবাধিকার লঙ্ঘন, সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ এর উত্থান, গোপালগঞ্জের গণহত্যায় সামরিক বাহিনীর ভূমিকার ডকুমেন্ট্রি উপস্থাপন ও দখলদার অবৈধ ইউনুস সরকারের অনিয়মের দলিল সাংবাদিকদের কাছে হস্তান্তর করা হয়।

ওই দিন সন্ধ্যায় জ্যাকসন হাইটসের জুইশ সেন্টারে লিখিত বক্তব্য পাঠ ও সাংবাদিকবৃন্দের প্রশ্নোত্তর পর্ব অনুষ্ঠিত হয় ।

সংবাদ সম্মেলন সঞ্চালনা করেন মানবাধিকার সংগঠনের মহাসচিব ও যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক মোহাম্মাদ আলী সিদ্দিকী এবং মুল বক্তব্য পাঠ করেন যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের সাবেক নেতা ও সংগঠনের অন্যতম উপদেষ্টা শামীম চৌধুরী।

উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের অন্যতম উপদেষ্টা ড. প্রদীপ রঞ্জন কর, সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ও মুক্তিযোদ্ধা ড. মহসিন আলী, অন্যতম উপদেষ্টা মুক্তিযোদ্ধা ড. নূরুন্নবী, অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক শীতাংশু গুহ, উপদেষ্টা ডা. মাসুদুল হাসান, উপদেষ্টা মুক্তিযোদ্ধা ক্যাপ্টেন (অব:) আবু বক্কার সিদ্দিক ও উপদেষ্টা মুক্তিযোদ্ধা ফারুক হুসাইন, সংগঠনের অন্যতম পরিচালক এড. শাহ মো. বখতিয়ার, পরিচালক জালাল উদ্দিন জলিল, পরিচালক রুমানা আখতার, পরিচালক কায়কোবাদ খান, পরিচালক নুরুজ্জামান সরদার, পরিচালক খন্দকার জাহিদুল ইসলাম, পরিচালক শহিদুল ইসলাম, পরিচালক টি মোল্লা, সদস্য হৃদয় মিয়া প্রমুখ।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত গণমাধ্যম কর্মীদের উপর বাংলাদেশে যে নিপীড়ন ও নির্যাতন চালানো হচ্ছে তারও ফিরিস্তি তুলে ধরা হয়। কুপিয়ে ও পিটিয়ে সাংবাদিক হত্যা, ডজন খানেক সিনিয়র সাংবাদিক বিশেষ করে শাহরিয়ার কবির, শ্যামল দত্ত, মোজাম্মেল বাবু, শাকিল আহমেদ, ফরজানা রূপাকে হত্যা মামলায় আসামি করে জামিন অযোগ্য ধারায় বছরব্যাপী জেলে আটক রাখার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানানো হয়। ১৬৭ জন সাংবাদিকের এক্রেডিটেশন কার্ড বাতিল, হাজারের উপর সাংবাদিকের চাকুরিচ্যুতি, সংবাদমাধ্যম দখল ও গলাটিপে হত্যার বিষয় উল্লেখ করা হয় ।

নির্বাচিত প্রধানমন্ত্রীকে দেশত্যাগে বাধ্য করা ও শত শত মিথ্যা হত্যা মামলার আসামি করে যুদ্ধাপরাধীদের জন্যে তৈরি আদালতে বিচারপতি ও তাদের পক্ষের আইনজীবীদের দিয়ে ক্যাঙ্গারু কোর্টে বিচারের নামে প্রহসনের তীব্র প্রতিবাদ জানানো হয়। দেড় লাখের উপর বিরোধী দলের নেতা কর্মীদের নির্বিচারে গ্রেফতার , হয়রানি, সংখ্যালঘুদের উপর হামলা, নির্যাতন , সাবেক প্রধান বিচারপতি, প্রধান নির্বাচন কমিশনার, উচ্চ আদালতের বিচারকদের অপসারণ ও গ্রেফতার, শিক্ষক, বুদ্ধিজীবী, আইনজীবী, টকশো ব্যক্তিত্ব, ব্যবসায়ী কেউ রেহাই পাচ্ছে না এই জংঘী ফ্যাসিস্ট, সুদখোর, পশ্চিমাদের পাপেট তাঁবেদার ইউনুস সরকারের হ্যাট থেকে।

দেশে গণতন্ত্র, মানবাধিকার, আইনের শাসন, ন্যায়বিচার, মত প্রকাশের স্বাধীনতা, গণমাধ্যমের স্বাধীনতা, ধর্মীয় স্বাধীনতা, মুক্তিযুদ্ধের মূল্যবোধ, দেশের সার্বভৌমত্ব আজ ভূলুণ্ঠিত। ভয়ের সংস্কৃতি ছড়িয়ে পড়েছে সর্বত্র। মানুষ নিরাপদে বসবাস করতে পারছে না, রাতের বেলায় পুরুষ-নারীরা রাস্তায় নিরাপদ নয়, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধের উপক্রম, অটো পাশের দাবিতে ছাত্ররা আন্দোলন করছে, শ্রমিকরা বেকার হচ্ছে লাখে লাখে, নতুন কর্মসংস্থান নেই, বিদেশী বিনিয়োগ বন্ধ, রেমিটেন্স কমে গেছে, রিজার্ভ তলানীতে, জিডিপি গ্রোথ ৩.৩%, মূল্যস্ফীতি ডাবল ডিজিট।

এমন পরিস্থিতিতে সংবাদ সম্মেলন থেকে বাংলাদেশকে রক্ষায় সকল মানুষকে এগিয়ে আসতে এবং দখলদার অবৈধ বিদেশী নাগরিকদের দ্বারা ও বিদেশি শক্তির স্বার্থ হাছিলের জন্যে ক্ষমতায় বসানো ইউনুস সরকারকে দ্রুত অপসারণের জন্যে দেশে-বিদেশে ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন গড়ে তুলতে নেতৃবৃন্দ আহ্বান জানান।

উল্লেখ্য, আওয়ামী লীগের দু:শাসনের সময় এই সংগঠনের কোন কার্যক্রম ছিলো না। গণঅভ্যুত্থানে শেখ হাসিনা পালিয়ে যাবার পর তারা আবার সক্রিয় হয়েছে। দেশে দেশে প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছে। কিছুদিন আগেও ভারতের দিল্লিতে তারা সংবাদ সম্মেলন করেছিলেন।

শেয়ার করুন