বন্দর ইজারা দেওয়ার সিদ্ধান্ত থেকে সরে না আসায় বাম গণতান্ত্রিক জোট-এর তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ আন্দোলন অব্যাহত রাখার আহ্বান দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে বিভিন্ন দল সংগঠন ও ব্যক্তিবর্গের সাথে আলোচনার সিদ্ধান্ত নেতৃবৃন্দ বলেন, অনির্বাচিত অন্তর্বর্তী সরকারের এধরনের সিদ্ধান্ত নেওয়ার এখতিয়ার নেই। দেশের স্বার্থবিরোধী এই ধরনের সরকারের সিদ্ধান্ত জনগণ প্রত্যাখ্যান করে।
বাম গণতান্ত্রিক জোটের কেন্দ্রীয় পরিচালনা পরিষদের সভা জোটের অস্থায়ী কার্যালয় সিপিবি’র কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত হয়েছে। বাম গণতান্ত্রিক জোটের সমন্বয়ক ও বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি)’র সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্সের সভাপতিত্বে সভায় বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল-বাসদের সাধারণ সম্পাদক বজলুর রশিদ ফিরোজ, বাংলাদেশের বিপ্লবী কমিউনিস্ট লীগের সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য আব্দুস সাত্তার, বাসদ (মার্কসবাদী)-এর কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক মাসুদ রানা, গণতান্ত্রিক বিপ্লবী পার্টির সাধারণ সম্পাদক মোশরেফা মিশু, বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক পার্টির নির্বাহী সভাপতি আবদুল আলী, বাসদের সহকারী সাধারণ সম্পাদক রাজেকুজ্জামান রতন, সিপিবির সহকারী সাধারণ সম্পাদক মিহির ঘোষ, বিপ্লবী কমিউনিস্ট লীগের সম্পাদকমন্ডলীর সদস্য শামীম ইমাম, গণতান্ত্রিক বিপ্লবী পার্টির শহীদুল ইসলাম সবুজ।
সভায় নেতৃবৃন্দ বলেন চট্টগ্রাম বন্দরের নিউমুরিং কনটেইনার টার্মিনাল বিদেশী কোম্পানি ডিপি ওয়ার্ল্ডকে ইজারা দেওয়ার বিরুদ্ধে দেশের মানুষের আন্দোলন, বিশেষত রোড মার্চের পরও সরকার এই পথ থেকে সরে না আসায় এবং বিদেশি কোম্পানিকে ডিসেম্বরে ইজরা দেওয়ার খবরে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করে, দেশের সম্পদ ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় আন্দোলন অব্যাহত রাখার জন্য দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
সভায় নেতৃবৃন্দ বলেন, গত জুন মাসে দেশপ্রেমিক জনগণের ব্যানারে গত ২৭-২৮ জুন ‘২৫ ঢাকা-চট্টগ্রাম রোডমার্চে বিদেশি কোম্পানিকে লীজ দেওয়ার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে দেশবাসী অভূতপূর্ব সাড়া দিয়েছে। এছাড়া এ অঞ্চলসহ দেশের সচেতন মানুষ সরকারের যে কোনো গণবিরোধী সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে এখনো পর্যন্ত রাজপথে আন্দোলন অব্যাহত রেখেছে।
আমরা আশা করেছিলাম জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থেকে সরকার বিগত ফ্যাসিস্ট আওয়ামী সরকার বন্দর ইজারা দেওয়ার যে সিদ্ধান্ত নিয়েছিল তা থেকে সরে আসবে। কিন্তু সরকার জনগণের মতামত উপেক্ষা করে বন্দর বিদেশী কোম্পানির কাছে ইজারা দেওয়ার সিদ্ধান্তে অটল রয়েছে। যা নৌপরিবহন উপদেষ্টার বক্তব্যে ও বিডা’র নির্বাহী চেয়ারমযানের বক্তব্যে স্পষ্ট হয়েছে।
ইতোমধ্যে নির্বাচনের সময় ঘোষিত হয়েছে। বন্দর পরিচালনার মত স্পর্শকাতর বিষয়ে কোন সিদ্ধান্ত জনগণের মতামত ছাড়া নির্বাচিত বা অনির্বাচিত কোন সরকারই নেওয়ার এখতিয়ার রাখে না।
সভায় নেতৃবৃন্দ মার্কিন ভারতসহ সাম্রাজ্যবাদী দেশসমূহের সাথে সম্পাদিত সকল চুক্তি জনসম্মূখে প্রকাশ এবং জাতীয় স্বার্থবিকোধী সকল চুক্তি বাতিল করার দাবি জানান।একইসাথে সাম্রাজ্যবাদের সাথে নতজানু সরকার ও সাম্রাজ্যবাদী আগ্রাসন লুন্ঠনের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ গণআন্দোলন গড়ে তোলার জন্য সকল বাম প্রগতিশীল গণতান্ত্রিক দেশপ্রেমিক জনগণের প্রতি আহ্বান জানান।
সভায় দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে ধারাবাহিক ভাবে বিভিন্ন গনতান্ত্রিক রাজনৈতিক দল, সংগঠন ও ব্যক্তিবর্গের সাথে আলোচনার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।