৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫, শুক্রবার, ০৫:১৯:৩৯ অপরাহ্ন


দেশকে নাঈম
এটা সম্পূর্ণ গল্পনির্ভর এবং বাণিজ্যিক সিনেমা
আলমগীর কবির
  • আপডেট করা হয়েছে : ১২-০২-২০২৫
এটা সম্পূর্ণ গল্পনির্ভর এবং বাণিজ্যিক সিনেমা এফ এস নাঈম


এফ এস নাঈম। ছোট পর্দার জনপ্রিয় অভিনেতা। ১৪ ফেব্রুয়ারি তিনি বড় পর্দায় আসবেন ‘জলে জ্বলে তারা’ সিনেমায় অভিনয়ের মাধ্যমে। সরকারি অনুদানে সিনেমাটি বানিয়েছেন অরুণ চৌধুরী। অবশ্য এর আগেও তিনি একবার সিনেমায় কাজ করেছিলেন। নাম ছিল ‘জাগো’। মুক্তি পেয়েছিল ২০১০ সালে। সেই হিসাবে ১৫ বছর পর তিনি আবার বড় পর্দায় আসছেন। এ নিয়ে কথা বলেছেন নিউইয়র্ক থেকে প্রকাশিত পাঠকপ্রিয় দেশ পত্রিকার সঙ্গে। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন আলমগীর কবির 

প্রশ্ন: আবার বড় পর্দায়। মাঝখানে কেটে কেছে ১৫ বছর। ফেরার এই অনুভূতিটা কেমন?

এফ এস নাঈম: ফেরার অনুভূতি সব সময়ই রোমাঞ্চকর হয়। তবে দীর্ঘ বিরতির কারণে আমার মনে হচ্ছে প্রথম সিনেমা মুক্তি পাচ্ছে। প্রথমের এই অনুভূতির বিষয়টি শব্দে প্রকাশ করা কঠিন। নতুন বইয়ের ঘ্রাণ যেমন অদ্ভুত সুন্দর, তেমনি মনে হচ্ছে, এখনই বইটা পড়ে ফেলি বা কিছুটা পড়ে রাখি। আমারও কিছুটা সেই রকম অনুভূতি হচ্ছে।

প্রশ্ন: এখন থেকে কি নিয়মিত সিনেমায় পাওয়া যাবে?

এফ এস নাঈম: আমি তো বিরতি দিতে চাই না। আমার এই চাওয়ার বাস্তবতা নির্ভর করবে দর্শকদের চাওয়ার ওপর। ‘জলে জ্বলে তারা’ সিনেমার মাধ্যমে দীর্ঘ বিরতির পর পর্দায় ফিরছি। গত বছর ‘শেকড়’ সিনেমায় অভিনয় করেছি। আমি এমন সিনেমায় কাজ করতে চাই, যেখানে গল্প শক্তিশালী, গান সুন্দর এবং দর্শকদের কাছে আরামদায়ক হবে।

প্রশ্ন: দীর্ঘ বিরতির পেছনে কারণ কী ছিল?

এফ এস নাঈম: নির্দিষ্ট কোনো কারণ ছিল না। আমি তো বিভিন্ন মাধ্যমে কাজ করেই যাচ্ছি। সিনেমায় কাজ পাওয়াটা আসলে ভাগ্যের ব্যাপার। আমি এমন কাজের সঙ্গে যুক্ত হতে চাই, যা দেখে দর্শক আমাকে নতুন করে আবিষ্কার করবেন। ‘জলে জ্বলে তারা’ সিনেমার চরিত্রটি আমাকে আলাদাভাবে দর্শকদের কাছে তুলে ধরবে।

প্রশ্ন: ‘জলে জ্বলে তারা’ সিনেমার গল্প কী?

এফ এস নাঈম: মুক্তির আগে বিস্তারিত বলতে চাই না, তবে এটা সম্পূর্ণ গল্পনির্ভর এবং বাণিজ্যিক সিনেমা। সিনেমাটি দেখার জন্য সিনেমা হলে যেতে হবে। আমি এই সিনেমায় হোসেন মাঝি চরিত্রে অভিনয় করেছি, যেখানে মিথিলা আমার সঙ্গী। এছাড়া আজাদ আবুল কালাম, ফজলুর রহমান বাবু, মোস্তাফিজ নূর ইমরান, শাহেদ আলী সুজনসহ আরও অনেক অভিনয়শিল্পী রয়েছেন।

প্রশ্ন: গানের এবং ট্রেলারের সাড়া কেমন পাচ্ছেন?

এফ এস নাঈম: গানের রেসপন্স খুব ভালো। অনেকে ফোন করে তাদের ভালো লাগার কথা জানিয়েছেন। গানের কথা, সুর এবং গায়কির প্রশংসা করছেন। ট্রেলারও সদ্য মুক্তি পেয়েছে এবং অনেকেই বলছেন সিনেমাটি জমে যাবে। আমি আশা করছি, সবাই সিনেমাটি পছন্দ করবেন, তবে যদি কেউ ভালো না-ও লাগে, আমি তাদের গঠনমূলক সমালোচনা শুনতে প্রস্তুত।

প্রশ্ন: হোসেন মাঝি চরিত্রে প্রস্তুতি কেমন ছিল?

এফ এস নাঈম: আমি চরিত্র অনুযায়ী নিজেকে তৈরি করার জন্য সব ধরনের চেষ্টা করেছি। ‘মিশন হান্ট ডাউন’, ‘কারাগার’, ‘ওভারট্রাম্প’, ‘কালপুরুষ’-এর চরিত্রগুলোর চেয়ে ‘হোসেন মাঝি’ চরিত্রটি সম্পূর্ণ ভিন্ন ছিল। চরিত্রটি মাটি এবং পানির সঙ্গে সম্পর্কিত, তাই সেই সম্পর্ক তৈরি করতে চেয়েছি। আঞ্চলিক ভাষা শিখে সাধারণ মানুষের মতো কথা বলার চেষ্টা করেছি, যেন মনে হয় হোসেন মাঝি কথা বলছে। শুটিংয়ের সময় কালীগঙ্গা নদীর পাড়ে গিয়েছিলাম এবং চরিত্রের গেটআপ নিয়ে লোকেশনে ঘুরতাম, এলাকার মানুষের সঙ্গে মেশার চেষ্টা করেছিলাম।

প্রশ্ন: ওটিটির কাজগুলো সম্পর্কে নতুন কী আসছে?

এফ এস নাঈম: একটি কাজ শেষ করেছি, কিন্তু এখনই কিছু বলা সম্ভব নয়। প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান থেকে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা আসলে বিস্তারিত বলব। তবে শিগগিরই ওটিটি প্ল্যাটফর্মে আমাকে আবার দেখা যাবে।

প্রশ্ন: ওটিটি সিন্ডিকেট নিয়ে আপনার মতামত কী?

এফ এস নাঈম: সিন্ডিকেট সব ক্ষেত্রেই থাকতে পারে। তবে একেকজনের সঙ্গে একেকজনের কাজের একটি কমফোর্ট জোন তৈরি হয়। আমি সেই বিতর্কে আটকে থাকতে চাই না। নিজের উন্নতির দিকে নজর রাখতে চাই এবং বিশ্বাস করি, যদি নিজেকে ডেভেলপ করতে পারি, তবে সেই সিন্ডিকেটই আমাকে উপরে তুলে নিয়ে যাবে।

প্রশ্ন: অভিনয়ের পাশাপাশি গানেও সময় দিচ্ছেন, সেটা কীভাবে?

এফ এস নাঈম: গানের সঙ্গে আমার সম্পর্ক অনেক পুরনো। গত বছর ‘মায়া’ গানটি স্পটিফাইতে প্রকাশ হয়েছিল, এর আগে ‘আমার তুমি’ গানে কাজ করেছি। এবারের ঈদে ‘ভালোবাসার ঘর’ শিরোনামে একটি গান প্রকাশের পরিকল্পনা করেছি, যার কথা, সুর এবং সংগীতায়োজন আমার। রাশা চাকলাদার গিটার বাজিয়েছেন। আগের গানগুলো শুধু অডিও আকারে ছিল, এবার ভিডিও প্রকাশেরও পরিকল্পনা করছি। তবে এটা সাধারণভাবে করার ইচ্ছা, কারণ আমার কাছে গানটাই আসল, ভিজ্যুয়াল নয়।

শেয়ার করুন