৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫, শুক্রবার, ০৯:১৮:৪৮ পূর্বাহ্ন


বারী স্টেটে লায়ন গভর্নর শংকর কুমার রায়ের সংবর্ধনা
দেশ রিপোর্ট
  • আপডেট করা হয়েছে : ০৯-০৭-২০২৫
বারী স্টেটে লায়ন গভর্নর শংকর কুমার রায়ের সংবর্ধনা শংকর কুমারকে সম্মাননা প্রদান


আন্তর্জাতিক লায়নিজমের এক গুরুত্বপূর্ণ মিলনক্ষেত্র হয়ে উঠেছে নিউইয়র্ক শহর। লায়ন্স ক্লাব ইন্টারন্যাশনাল ডিস্ট্রিক্ট ৩১৫ এ২ বাংলাদেশের ২০২৫-২০২৬ সালের নির্বাচিত গভর্নর শংকর কুমার রায়, যিনি ১২ থেকে ১৮ জুলাই অরল্যান্ডো, ফ্লোরিডায় অনুষ্ঠিতব্য আন্তর্জাতিক কনভেনশনে যোগদানের উদ্দেশ্যে বর্তমানে নিউইয়র্কে অবস্থান করছেন, তাকে গত ৩০ জুন সন্ধ্যায় নিউইয়র্কের বারী স্টেটে এক বর্ণাঢ্য সংবর্ধনা প্রদান করা হয়েছে। এই সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন ডিস্ট্রিক্ট ২০ আর২-এর ইনকামিং গভর্নর আসেফ বারী এবং তার গভর্নর স্পাউস মুনমুন হাসিনা বারী।

বারী স্টেটে আয়োজিত এই নৈশভোজে লায়ন শংকর কুমার রায়ের সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন লায়ন স্মৃতি রায় (লেডি গভর্নর), লায়ন খন্দকার কামরুল হাসান এমজেএফ (রিজিয়ন চেয়ারপারসন) এবং লায়ন শামীমা আক্তার (লালমনিরহাট হাতীবান্ধা গার্ডেনের লায়ন্স ক্লাবের সাবেক সভাপতি)। আগত অতিথিদের রেড কার্পেট সংবর্ধনার মাধ্যমে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানানো হয়। এরপর নৈশভোজের আয়োজন করা হয় এবং লায়ন শংকর কুমার রায়কে ‘প্রক্লেমেশন' ও সম্মাননা প্রদান করা হয়। এই অনুষ্ঠানে লায়ন পিন বিনিময়ও করা হয়, যা আন্তর্জাতিক লায়নিজমের ভ্রাতৃত্বের প্রতীক।

নিউইয়র্ক বাংলাদেশি আমেরিকান লায়ন্স ক্লাবের একজন সক্রিয় সদস্য এবং ডিস্ট্রিক্ট ২০ আর২-এর গভর্নর আসেফ বারী এই আয়োজনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। তার সঙ্গে গভর্নর স্পাউস লায়ন্স মুনমুন হাসিনা বারীও উপস্থিত ছিলেন। আসেফ বারী ১২ থেকে ১৮ জুলাই অরল্যান্ডো, ফ্লোরিডায় অনুষ্ঠিতব্য কনভেনশনে আনুষ্ঠানিকভাবে ডিস্ট্রিক্ট ২০ আর২-এর গভর্নর হিসেবে তার কার্যভার গ্রহণ করবেন। এই ধরনের আন্তর্জাতিক সম্মেলন লায়ন্স নেতৃবৃন্দের জন্য অভিজ্ঞতা বিনিময়, নতুন প্রকল্প সম্পর্কে ধারণা লাভ এবং বিশ্বব্যাপী লায়ন্স পরিবারকে আরো সুদৃঢ় করার এক অনন্য সুযোগ এনে দেয়।

লায়ন্স ইন্টারন্যাশনাল বিশ্বের অন্যতম বৃহত্তম সেবামূলক সংগঠন, যা ১২০টিরও বেশি দেশে বিস্তৃত এবং লাখ লাখ লায়ন্স সদস্য স্বেচ্ছাসেবার মাধ্যমে সমাজের কল্যাণে নিবেদিত। সংগঠনটি মূলত পাঁচটি প্রধান ক্ষেত্রে কাজ করে: দৃষ্টিশক্তি রক্ষা (অন্ধত্ব প্রতিরোধে কর্মসূচি, বিনামূল্যে চক্ষু পরীক্ষা ও ছানি অপারেশন), পরিবেশ সংরক্ষণ (বনায়ন, নদী দূষণ রোধ ও পরিবেশ সচেতনতা বৃদ্ধি), ক্ষুধা নিবারণ (খাদ্য বিতরণ কর্মসূচি ও খাদ্যনিরাপত্তাহীনতা মোকাবিলায় সহায়তা), ডায়াবেটিস প্রতিরোধ (সচেতনতা বৃদ্ধি, স্ক্রিনিং ও সহায়তামূলক কার্যক্রম), এবং শৈশবের ক্যানসারের বিরুদ্ধে লড়াই (আক্রান্ত শিশুদের চিকিৎসা সহায়তা ও তাদের পরিবারের পাশে দাঁড়ানো)।

এই বৈশ্বিক সংগঠনটি জাতিসংঘের সঙ্গেও নিবিড়ভাবে কাজ করে এবং টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে অবদান রাখে। শংকর কুমার রায়ের মতো লায়ন নেতৃবৃন্দের আন্তর্জাতিক ফোরামে অংশগ্রহণ লায়ন্স ইন্টারন্যাশনালকে আরো শক্তিশালী করবে এবং বিশ্বব্যাপী সেবামূলক কার্যক্রমকে গতিশীলতা প্রদান করবে।

লায়ন্স শংকর কুমার রায়ের এই নিউইয়র্ক সফর এবং সংবর্ধনা কেবল তার ব্যক্তিগত অর্জন নয়, এটি বাংলাদেশের লায়নিজমের আন্তর্জাতিকীকরণের একটি গুরুত্বপূর্ণ ধাপ। এই ধরনের বিনিময় কর্মসূচির মাধ্যমে বাংলাদেশের লায়ন্স ক্লাবগুলো আন্তর্জাতিক অঙ্গনে তাদের কার্যক্রমের অভিজ্ঞতা ভাগ করে নিতে পারে এবং বিশ্বব্যাপী লায়ন্স আন্দোলনের সঙ্গে আরো নিবিড়ভাবে যুক্ত হতে পারে। এটি নিঃসন্দেহে বাংলাদেশের লায়ন্স ক্লাবগুলোর জন্য নতুন দিগন্ত উন্মোচন করবে এবং ভবিষ্যতে আরো বড় পরিসরে সেবামূলক কার্যক্রম পরিচালনার পথ প্রশস্ত করবে।

শেয়ার করুন