৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫, শুক্রবার, ০৭:১০:২৬ পূর্বাহ্ন


কাগজপত্রহীন অভিবাসীদের জন্য কোনো অ্যামনেস্টি নয়
দেশ রিপোর্ট
  • আপডেট করা হয়েছে : ০৯-০৭-২০২৫
কাগজপত্রহীন অভিবাসীদের জন্য কোনো অ্যামনেস্টি নয় ওয়াশিংটনের ইউএস ডিপার্টমেন্ট অফ এগ্রিকালচার সদর দপ্তরে গত ৮ জুলাই মঙ্গলবার বক্তব্য রাখছেন কৃষিমন্ত্রী ব্রুক রলিন্স।


ওয়াশিংটনে ইউএস ডিপার্টমেন্ট অফ এগ্রিকালচারের সদর দপ্তরে গত ৮ জুলাই মঙ্গলবার অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে এগ্রিকালচার সেক্রেটারি ব্রুক রলিন্স স্পষ্ট ভাষায় জানান, অবৈধ অভিবাসীদের জন্য কোনো ধরনের ক্ষমা বা ‘অ্যামনেস্টি’ থাকবে না। সেই সাথে যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে গণপ্রত্যাবাসন কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে। এই ঘোষণার মাধ্যমে তিনি ট্রাম্প প্রশাসনের ১০০ শতাংশ আমেরিকান শ্রমশক্তি গঠনের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেন। যুক্তরাষ্ট্রে অভিবাসন নীতিকে ঘিরে নতুন করে বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে এগ্রিকালচার সেক্রেটারি ব্রুক রলিন্সের ঘোষণার পর।

এগ্রিকালচার সেক্রেটারি রলিন্সের মতে, যুক্তরাষ্ট্রে শ্রমিকের ঘাটতি নেই। কারণ মেডিকেইড কর্মসূচিতে বর্তমানে ৩৪ মিলিয়ন সক্ষম বয়স্ক ব্যক্তি রয়েছেন, যাদের কাজে লাগানো গেলে অভ্যন্তরীণ শ্রমবাজারের চাহিদা পূরণ করা সম্ভব। তবে একই সঙ্গে তিনি স্বীকার করেন, গণপ্রত্যাবাসনের কারণে দেশের খাদ্য সরবরাহ ব্যবস্থা যেন বিঘ্নিত না হয়, সে জন্য সরকারের কৌশলগত ও ধাপে ধাপে পরিকল্পনা রয়েছে। এই ঘোষণার অংশ হিসেবে জাতীয় কৃষি নিরাপত্তা কর্মপরিকল্পনা নামে একটি নতুন নীতি বাস্তবায়নের সূচনা করা হয়েছে, যার মাধ্যমে স্বয়ক্রিয় প্রযুক্তির ব্যবহার বাড়িয়ে কৃষিক্ষেত্রে বিদেশি শ্রমিকের ওপর নির্ভরতা কমানো হবে।

রলিন্স বলেন, আমাদের মেডিকেইড প্রোগ্রামে ৩৪ মিলিয়ন সক্ষম বয়স্ক মানুষ রয়েছেন। শ্রমিকের অভাব নেই, আমাদের শুধু নিশ্চিত করতে হবে যে আমরা কোনো আপস করছি না। তিনি আরও বলেন, আমাদের খাদ্য সরবরাহ যেন ব্যাহত না হয়, সেদিকে লক্ষ্য রেখেই এই প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া পরিচালিত হবে। তিনি জোর দিয়ে বলেন, প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প স্পষ্ট করে জানিয়েছেন-কোনো অভিবাসীকেই ক্ষমা করা হবে না এবং তার প্রশাসন প্রতিদিন সেই নীতিই বাস্তবায়ন করছে। তিনি আরও বলেন, এই পরিকল্পনা কেবল অভিবাসন নিয়ন্ত্রণের জন্য নয় বরং কৃষি খাতকে টেকসই ও আধুনিক করার জন্যও গুরুত্বপূর্ণ।

সংবাদ সম্মেলনে কৃষিমন্ত্রীর সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল পাম বোনডি, প্রতিরক্ষা সচিব পিট হেগসেথ এবং স্বরাষ্ট্র নিরাপত্তা সচিব ক্রিস্টি নোয়েম। তারা সবাই সরকারের এই নতুন কর্মসূচির প্রতি সমর্থন জানান।

শেয়ার করুন