৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫, শুক্রবার, ০৭:৩৯:৩৪ অপরাহ্ন


স্টেট বিএনপির অনুষ্ঠানে বক্তারা
৩০ মে জাতীয় শোক দিবস ঘোষণার দাবি
দেশ রিপোর্ট
  • আপডেট করা হয়েছে : ০৪-০৬-২০২৫
৩০ মে জাতীয় শোক দিবস ঘোষণার দাবি অনুষ্ঠানের উদ্বোধন ঘোষণা করছেন গিয়াস আহমেদ


শেখ মুজিবুর রহমান বাঙালি জাতিকে বিভ্রান্তির মধ্যে রেখে প্রধানমন্ত্রীর আশায় পাকিস্তানি বাহিনীর কাছে আত্মসমর্পণ করেছিলেন। আর শহিদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান জীবনবাজি রেখে স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছিলেন। শহিদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ঘোষণাতেই বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছিল। শহিদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান বাংলাদেশের স্বাধীনতা চেয়েছিলেন, আর শেখ মুজিবুর রহমান পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হতে চেয়েছিলেন। এবার দেশের প্রেক্ষাপট পরিবর্তন হয়েছে। বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে আমাদের দাবি ৩০ মে জাতীয় শোক দিবস ঘোষণা করা হোক। গত ৩০ মে জ্যাকসন হাইটসের ডাইভার সিটি প্লাজায় নিউইয়র্ক স্টেট বিএনপি আয়োজিত অনুষ্ঠানে বক্তারা এসব কথা বলেন।

নিউইয়র্ক স্টেট বিএনপির সভাপতি মোহাম্মদ অলিউল্যাহ আতিকুর রহমানের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক সাইদুর রহমান সাইদের পরিচালনায় অনুষ্ঠানে উদ্বোধন হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির অন্যতম

সদস্য গিয়াস আহমেদ। প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক আনোয়ার হোসেন। গেস্ট অব অনার বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির অন্যতম সদস্য জিল্লুর রহমান জিল্লু, প্রধান বক্তা ছিলেন যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা কামাল পাশা বাবুল, যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির সাবেক কোষাধ্যক্ষ জসীম ভূইয়া, যুবদলের কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সহ-আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক আবু সাঈদ আহমেদ, সিলেট জেলা বিএনপির উপদেষ্টা এম এ বাতিন, যুক্তরাষ্ট্র জাসাসের সাথারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর সরওয়ার্দী, নিউইয়র্ক স্টেট বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি জসিম উদ্দিন ভিপি, সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ আরিফু রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক মোহাম্মদ রইচ উদ্দিন, আনোয়ার হোসেন, বদরুল হক আজাদ, মনির হোসেন, কাজী আমিনুল ইসলাম স্বপন, আমিনুল ইসলাম চৌধুরী, বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর মশিউর রহমান। 

অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন অনুষ্ঠানের আহ্বায়ক দেওয়ান কাউসার, মোহাম্মদ আশরাফ হোসেন, হুমায়ুন কবীর, মাইনুল করিম টিপু, এম এ কাইয়ুম, ইঞ্জিনিয়ার তাজুল ইসলাম চেয়ারম্যান, মুক্তিযোদ্ধা মীর মশিউর রহমান, আনিসুর রহমান প্রমুখ।

প্রধান অতিথি আনোয়ার হোসেন বলেন, শহিদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান জীবনবাজি রেখে স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছিলেন। শহিদ রাষ্ট্রপতি জিয়ার স্বাধীনতার ঘোষণার কারণেই বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছে। তিনি আরো বলেন, শহিদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান বাংলাদেশে বহু দলীয় গণতন্ত্র উপহার দিয়েছিলেন। তিনি বলেন, শহিদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের শাহাদতবার্ষিকীতে আমাদের শপথ হোক তার আদর্শে দেশ ও দল পরিচালনা।

গিয়াস আহমেদ বলেন, শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশের স্বাধীনতা চাননি। তিনি চেয়েছিলেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হতে। যে কারণে তিনি পাকিস্তানি বাহিনীর হাতে আত্মসমর্পণ করেছিলেন। আর শহিদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান জীবনবাজি রেখে স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছিলেন। যে কারণে আমরা স্বাধীন। তিনি বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে দ্রুত নির্বাচন দেওয়ার আহ্বান জানান।

জিল্লুর রহমান জিল্লু বলেন, বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে আমাদের দাবি হচ্ছে ৩০ মে জাতীয় শোক দিবস ঘোষণা করা হোক। কারণ শহিদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের কারণেই আমরা দেশ পেয়েছি।

অনুষ্ঠানে শহিদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান, আরাফাত রহমান কোকোর রুহের মাগফিরাত এবং বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া এবং ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের রোগমুক্তি কামনা করে বিশেষ দোয়া করা হয়। দোয়া শেষে কয়েকশ মানুষের মধ্যে তবারক বিতরণ করা হয়।

সভাপতি অলিউল্যাহ আতিকুর রহমান, আহ্বায়ক দেওয়ান কাউছার অনুষ্ঠান সফল এবং সার্থক করার জন্য সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। তবে চমৎকার আয়োজনের জন্য অনেকেই স্টেট বিএনপির কর্মকতাদের প্রশংসা করেছেন।

শেয়ার করুন