বিএনপির তিনটি অঙ্গসংগঠন- যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদল আগামী ২৮ মে রাজধানীর নয়াপল্টনে বড় ধরনের যুব সমাবেশ আয়োজন করতে যাচ্ছে। এতে অন্তত ১৫ লাখ তরুণ অংশ নেবেন বলে দাবি করা হয়েছে। গত ২৬ মে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এমন তথ্য জানিয়েছেন স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এস এম জিলানী। তিনি বলেন, ‘আমরা চট্টগ্রামের সমাবেশে তরুণদের ব্যাপক সাড়া পেয়েছি। খুলনা ও বগুড়াতেও লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হয়েছে। ঢাকায় আমরা আশা করছি অন্তত ১৫ লাখ তরুণ অংশ নেবেন, যা পূর্বের সব রেকর্ড ভেঙে দেবে।’
তিনি জানান, ‘ঢাকা, সিলেট, ফরিদপুর ও ময়মনসিংহ থেকে তরুণরা সমাবেশে যোগ দেবেন।’ জিলানী বলেন, ‘তরুণরা ১৭ বছর ধরে ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত। এই সমাবেশে তারা গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের দাবি তুলবে। এই কর্মসূচির মাধ্যমে তারেক রহমানের নেতৃত্বে চলমান আন্দোলনে তরুণদের অংশগ্রহণ আরো একধাপ এগিয়ে যাবে।’ ১০টি বিভাগ থেকে তরুণদের সম্পৃক্ত করার লক্ষ্যে গত ২৮ এপ্রিল চারটি সেমিনার ও চারটি যুব সমাবেশের ঘোষণা দেয় বিএনপির এই তিন অঙ্গসংগঠন। এই কর্মসূচির শুরু হয় ৯ মে চট্টগ্রামে। এরপর খুলনা ও বগুড়ায় সমাবেশ হয়। শেষ সমাবেশটি হবে ২৮ মে ঢাকায়।
ঢাকার সমাবেশে ভার্চুয়ালি যুক্ত হবেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তিনি তরুণদের উদ্দেশ্যে দলের রাজনৈতিক রূপরেখা ও ভবিষ্যৎ কৌশল উপস্থাপন করবেন। বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন, আবদুল মঈন খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী ও সালাহউদ্দিন আহমেদও সমাবেশে বক্তব্য দেবেন। সংবাদ সম্মেলনে যুবদলের সভাপতি আবদুল মোনায়েম মুনা লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন। তিনি জানান, ‘এই দুই দিনের কর্মসূচি তরুণ প্রজন্মকে ঘিরেই তৈরি করা হয়েছে।’
উল্লেখ্য, ইশরাক ইস্যুতে ঢাকার প্রায় অর্ধেকটা জুড়েই আন্দোলন করে গেছে বিএনপি। সে রেশ কাটতে না কাটতে আবারও এক মহাসমাবেশ। ৫ আগস্টের পর বিএনপি বড় ধরনের ছাড় দেওয়ার পরও ক্রমশ দলটিকে চাপে ফেলা হচ্ছে। বিএনপি এমন সব আন্দোলন কর্মসূচির মাধ্যমে প্রমাণ দিতে চায় দলটি মাঠেই রয়েছে। যেটা অনেকাংশে দলের চাহিদা মোতাবেক ডিসেম্বরের মধ্যে জাতীয় নির্বাচন দেওয়ার ব্যাপারে চাপ তৈরি করা যেন সম্ভবপর হয়। এর আগে বিএনপির এ তিন অঙ্গসংগঠন চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে কর্মসূচি ও সমাবেশ করে আসছে।