৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫, শুক্রবার, ০৯:৩১:৫২ অপরাহ্ন


৭১ ও ২৪কে এক কাতারে বিবেচনাকারীরা ‘পাগল’ : অলি
বিশেষ প্রতিনিধি
  • আপডেট করা হয়েছে : ২৬-০৩-২০২৫
৭১ ও ২৪কে এক কাতারে বিবেচনাকারীরা ‘পাগল’ : অলি কর্নেল (অব.) অলি আহমদ


একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ এবং ২৪ গণঅভ্যুত্থানকে যারা এক কাতারে বিবেচনা করে তাদেরকে ‘পাগল’ বলে অভিহিত করলেন এলডিপির চেয়ারম্যান কর্নেল (অব.) অলি আহমদ। তিনি বলেন, কিছু পাগল ৫ আগস্ট জুলাইয়ের ঘটনাকে ১৯৭১ সালের ঘটনার সঙ্গে এক করতে চায়। পাগলদের বলবো, পাগলামি বন্ধ করো। লম্বা চুল থাকলেই শুধু মস্তিষ্ক উর্বর হয়, এটা ঠিক না বা পাগড়ি লাগালেই যে মস্তিষ্ক উর্বর হয় এটা ঠিক না।

রণাঙ্গনে বীর মুক্তিযোদ্ধা অলি বলেন, ১৯৭১ সাল এটা ছিল একটা দেশের বিরুদ্ধে আরেকটা দেশের যুদ্ধ। তিনি আরো বলেন, আর এটা (জুলাই-আগস্ট অভ্যুত্থান) ছিল একটা মুভমেন্ট, সরকারকে উৎখাত করার একটা মুভমেন্ট। এই দুটো জিনিসকে একসঙ্গে করা পাগলামি করার শামিল। এ পাগলামি বন্ধ করতে হবে। কোনো জিনিস খাটো করে দেখার নেই। প্রত্যেকটা জিনিস নিজ নিজ জায়গায় গুরুত্বপূর্ণ। কোনোটার সঙ্গে কোনোটা তুলনা করে কোনোটাকে হেয় প্রতিপন্ন করার দরকার নেই।

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উদ্দেশ্যে এলডিপির প্রধান বলেন, এলডিপির পক্ষ থেকে সরকারকে পরিপূর্ণভাবে আমরা সহায়তা করতে চাই। কিন্তু সরকার সেই সহায়তাৃ যারা কাজ জানে যারা কাজ বুঝে তাদের এ পর্যন্ত সেই সহায়তা চেয়েছে আমি জানি না। তিনি বলেন, অর্থব লোকদের কাছে পরামর্শ নেয়, অর্থব লোকদের কাছ থেকে পরামর্শ নিলে অর্থব পরামর্শ পাবেন এবং ভুল পথে পরিচালিত হবেন।

ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা ও তাদের মন্ত্রী-উপদেষ্টাদের নামে বিভিন্ন স্থানে থাকা নামফলক তুলে ফেলা এবং প্রতিষ্ঠানের নামকরণ পরিবর্তনের দাবি জানিয়ে অলি বলেন, তারা গণহত্যাকারী ও দেশদ্রোহী। দেশদ্রোহীদের নাম মুছে ফেলতে হবে। আমরাই সর্বপ্রথম বলেছি, আওয়ামী লীগকে রাজনীতি থেকে নিষিদ্ধ করতে হবে। অনেকে বিভিন্ন খোঁড়া অজুহাত দেখায়। পৃথিবীদের অনেকগুলো নজির আছে যারা গণহত্যাকারী তারা রাজনীতিতে সম্পৃক্ত হতে পারবে না। আওয়ামী লীগ গণহত্যাকারী একটা দল-তাদের রাজনীতি করার কোনো অধিকার নেই।

গত ২৪ মার্চ দুপুরে মগবাজারে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি-এলডিপির চেয়ারম্যান অবসরপ্রাপ্ত অলি আহমেদ এ বক্তৃতায় এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, এখনো অনেক অফিসে শেখ মুজিবের ছবি টাঙানো আছে। আমি সরকার প্রধানকে অনুরোধ করবো অফিস থেকে শেখ মুজিবের ছবি অনতিবিলম্বে সরিয়ে নেওয়া হোক। কারণ মানুষের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা যাচ্ছ, কেউ কেউ মনে করছে সরকারের মধ্যে আওয়ামী লীগের দালাল রয়েছে, তা না হলে শেখের ফটো এখনো কেন থাকবে। শেখের নাম বিভিন্ন জায়গায় কেন থাকবে, হাসিনার নাম কেন থাকবে, শেখ পরিবারের নাম কেন থাকবে।

৮ মাস অতিক্রান্ত হওয়ার পরও মুজিবুর রহমানের ছবি সংবলিত মুদ্রা কেন পরিবর্তন করা গেলো না, তা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন তিনি। ভুয়া মুক্তিযোদ্ধার ভাতা বন্ধের দাবিও জানান অলি আহমদ। মাঠপর্যায়ে সরকারের কৃচ্ছ্রসাধনের পরামর্শের পাশাপাশি আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি, যানজট, স্বাস্থ্য খাতসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে সরকারের ব্যর্থতা তুলে ধরেন তিনি।

সংবাদ সম্মেলনে এলডিপির মহাসচিব রেদোয়ান আহমেদ, প্রেসিডিয়াম সদস্যরা ড. রেদোয়ান আহমেদ, প্রেসিডিয়াম সদস্য নেওয়ামূল বশির, আওরঙ্গজেব বেলাল, কে কিউ সাকলায়েন, ওমর ফারুক, উপদেষ্টা মন্ডলীর সদস্য মো. মাহবুবুর ও যুগ্ম মহাসচিব বিল্লাল হোসেন মিয়াজি উপস্থিত ছিলেন।

শেয়ার করুন