৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫, শুক্রবার, ৬:১০:৪৯ অপরাহ্ন


রাজনৈতিক আশ্রয় নিষেধাজ্ঞার বিরুদ্ধে মামলা
দেশ রিপোর্ট
  • আপডেট করা হয়েছে : ০৫-০২-২০২৫
রাজনৈতিক আশ্রয় নিষেধাজ্ঞার বিরুদ্ধে মামলা


আমেরিকান সিভিল লিবার্টিজ ইউনিয়ন (এসিএলইউ) এবং অভিবাসী অধিকার সংস্থাগুলো গত ৩ ফেব্রুয়ারি ওয়াশিংটন ডিসি ফেডারেল কোর্টে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সাম্প্রতিক সীমান্তে আশ্রয় সম্পূর্ণরূপে বন্ধ করার ঘোষণার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে। এ পদক্ষেপ হাজারো মানুষের জীবনকে ঝুঁকির মুখে ঠেলে দেবে বলে অভিযোগ করেছে তারা। এএইচএলইউ, ন্যাশনাল ইমিগ্র্যান্ট জাস্টিস সেন্টার, টেক্সাস সিভিল রাইটস প্রজেক্ট, সেন্টার ফর জেন্ডার অ্যান্ড রিফিউজি স্টাডিজ (সিজিআরএস), এএইচএলইউ অব দ্য ডিস্ট্রিক্ট অব কলম্বিয়া এবং এএইচএলইউ অব টেক্সাস যৌথভাবে লাস আমেরিকাস ইমিগ্র্যান্ট অ্যাডভোকেসি সেন্টার, রিফিউজি অ্যান্ড ইমিগ্র্যান্ট সেন্টার ফর এডুকেশন অ্যান্ড লিগ্যাল সার্ভিসেস এবং ফ্লোরেন্স ইমিগ্র্যান্ট অ্যান্ড রিফিউজি রাইটস প্রজেক্টের পক্ষে এ মামলা দায়ের করেছে। গত ৩ ফেব্রুয়ারি ওয়াশিংটন ডিসির ফেডারেল আদালতে দায়ের করা এ মামলায় অভিযোগ করা হয়েছে যে, ২১২(এফ) ঘোষণাটি মিথ্যা ভিত্তিতে আক্রমণের অজুহাত দেখিয়ে আশ্রয় প্রদান বন্ধ করছে। আশ্রয় প্রার্থীরা কোনো আইনগত সুযোগ না পেয়ে তাদের নিজ দেশে ফেরত যেতে বাধ্য হবে, যেখানে তারা গুরুতর বিপদের সম্মুখীন হতে পারে। 

এএইচএলইউর ইমিগ্র্যান্টস রাইটস প্রজেক্টের ডেপুটি ডিরেক্টর লি গেলারেন্ট বলেন, এটি একটি নজিরবিহীন ক্ষমতার অপব্যবহার যা অগণিত মানুষের জীবন বিপন্ন করবে। কোনো প্রেসিডেন্টের একতরফাভাবে কংগ্রেস দ্বারা অনুমোদিত আশ্রয় সুরক্ষা নীতিকে অগ্রাহ্য করার ক্ষমতা নেই। ন্যাশনাল ইমিগ্র্যান্ট জাস্টিস সেন্টারের সিনিয়র লিটিগেশন অ্যাটর্নি রিচার্ড কালডারোন বলেন, এ নীতি যুক্তরাষ্ট্রের আশ্রয়সংক্রান্ত আইনের সম্পূর্ণ পরিপন্থী। প্রেসিডেন্টের এমন স্বৈরতান্ত্রিক সিদ্ধান্তের ফলে হাজারো মানুষ নির্যাতন, অত্যাচার এবং মৃত্যুর মুখোমুখি হবে। টেক্সাস সিভিল রাইটস প্রজেক্টের সভাপতি রোশেল গারজা বলেন, ট্রাম্প প্রশাসনের এ পদক্ষেপ চরম অন্যায় এবং সীমান্তে আশ্রয়প্রার্থীদের জন্য ভয়াবহ ক্ষতিকর। লাস আমেরিকাস ইমিগ্র্যান্ট অ্যাডভোকেসি সেন্টারের অ্যাডভোকেসি এবং আইনি পরিষেবার পরিচালক জেনিফার বাবাই বলেন, এই প্রশাসন ইচ্ছাকৃতভাবে আমাদের অভিবাসন আইনকে বিকৃত করছে এবং ভীতি ছড়িয়ে শরণার্থী সুরক্ষা প্রক্রিয়াকে ধ্বংস করতে চাইছে। 

ফ্লোরেন্স ইমিগ্র্যান্ট ও রিফিউজি রাইটস প্রজেক্টের আইনি পরিচালক লরা সেন্ট জন বলেন, আমরা এই অবৈধ পদক্ষেপের বিরুদ্ধে আদালতে লড়াই চালিয়ে যাব, যাতে আমাদের ক্লায়েন্টরা আশ্রয়ের জন্য আইনগত সুযোগ পান। সেন্টার ফর জেন্ডার অ্যান্ড রিফিউজি স্টাডিজের পরিচালক মেলিসা ক্রো বলেন, ট্রাম্প প্রশাসন অভিবাসন নীতিতে বর্ণবাদী ষড়যন্ত্র তত্ত্ব গ্রহণ করেছে এবং শরণার্থীদের আশ্রয় থেকে বঞ্চিত করতে চাচ্ছে। 

রিফিউজি অ্যান্ড ইমিগ্র্যান্ট সেন্টার ফর এডুকেশন অ্যান্ড লিগ্যাল সার্ভিসেসের আইনি পরিচালক জাভিয়ের হিদালগো বলেন, আমরা এ প্রশাসনের ক্ষমতার অপব্যবহারের বিরুদ্ধে আইনি লড়াই চালিয়ে যাবো, যাতে যুক্তরাষ্ট্র তার শরণার্থীসংক্রান্ত প্রতিশ্রুতি রক্ষা করে। এএইচএলইউ অব দ্য ডিস্ট্রিক্ট অব কলম্বিয়ার আইনি পরিচালক স্কট মিশেলম্যান বলেন, ‘ট্রাম্পের সীমান্ত বন্ধ করার প্রচেষ্টা আমাদের দেশের ইতিহাস ও মূল্যবোধের পরিপন্থী এবং এটি শরণার্থীদের চরম কষ্টে ফেলবে। এখন দেখার বিষয়, আদালত এই মামলার কী সিদ্ধান্ত নেয় এবং ট্রাম্প প্রশাসনের নীতির ভবিষ্যৎ কোন দিকে মোড় নেয়। 

শেয়ার করুন