মেয়র এরিক অ্যাডামসের দীর্ঘদিনের বন্ধু ও উপদেষ্টা ইনগ্রিড লুইস মার্টিন সিটি হল থেকে গত উইকএন্ডে পদত্যাগ করেছেন। তার এই খবরের পরপরই ম্যানহাটনের ডিস্ট্রিক্ট অ্যাটর্নি অফিস থেকে তার বিরুদ্ধে গিগিরই অভিযোগ গঠনের সম্ভাবনার খবর ছড়িয়ে পড়ে। ১৬ ডিসেম্বর সোমবার দুপুর পর্যন্ত আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো অভিযোগ প্রকাশিত না হলেও লুইস মার্টিন তার আইনজীবীর সঙ্গে ম্যানহাটনে একটি সংবাদ সম্মেলন করেন এবং সম্ভাব্য অভিযোগকে মিথ্যা বলে দাবি করেন।
সংবাদ সম্মেলনে লুইস মার্টিন বলেন, আমাকে মিথ্যাভাবে অভিযোগ করা হচ্ছে- যদিও আমি এখনো জানি না অভিযোগের বিষয়টি কী। তবে এটুকু জানি যে আমাকে অবৈধ কিছু করার অভিযোগে অভিযুক্ত করা হয়েছে, অথচ আমি আমার সরকারি দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্রে কখনোই কোনো অবৈধ কাজ করিনি। তিনি আরো বলেন, তার দীর্ঘ সরকারি কর্মজীবনে তিনি কোনো উপহার বা ঘুষ গ্রহণ করেননি।
তদন্তের পটভূমি
গত সেপ্টেম্বরে জন এফ কেনেডি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে আইনপ্রয়োগকারী সংস্থার কর্মকর্তারা লুইস মার্টিনকে থামিয়ে তার মোবাইল ফোন জব্দ করেন এবং একটি সাবপোনা জারি করেন। এ ঘটনা প্রথমবার তদন্তের বিষয়ে জনসমক্ষে আনে। তার আইনজীবী আর্থার আইদালা সোমবার সংবাদ সম্মেলনে জানান যে, ম্যানহাটনের ডিস্ট্রিক্ট অ্যাটর্নি অফিসের কাছ থেকে সম্ভাব্য অভিযোগের বিষয়ে কোনো প্রফার সেশনের অনুরোধ প্রত্যাখ্যান করা হয়েছে। তিনি আরো দাবি করেন যে, এই অভিযোগ রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। আইনজীবী আর্থার আইদালা আরো বলেন, আমরা জানি যে, আরো কিছু ব্যক্তির বিরুদ্ধে একই সঙ্গে অভিযোগ আনা হতে পারে এবং এটি অনুপযুক্ত উপহার গ্রহণসংক্রান্ত অভিযোগের সঙ্গে সম্পর্কিত। তবে তিনি বিস্তারিত কোনো তথ্য প্রকাশ করেননি।
লুইস মার্টিনের প্রতিক্রিয়া
সেপ্টেম্বরে একটি রেডিও শোতে উপস্থিত হয়ে লুইস মার্টিন বলেছিলেন, আমরা এমন কিছু অবৈধ কাজ করিনি যার জন্য ফেডারেল সরকার এবং ডিস্ট্রিক্ট অ্যাটর্নি অফিসের তদন্ত প্রয়োজন। তার ওই মন্তব্য বিতর্কের জন্ম দেয় এবং প্রশ্ন ওঠে, আদৌ কোনো অবৈধ কার্যকলাপের ঘটনা ঘটেছিল কি না। আইদালা সোমবার এই মন্তব্যের ব্যাখ্যা দিয়ে বলেন, লুইস মার্টিন শুধু তার মানবিক ভুলত্রুটি স্বীকার করে বিনয়ী হতে চেয়েছিলেন। ম্যানহাটন ডিস্ট্রিক্ট অ্যাটর্নি অফিসের একজন মুখপাত্র বলেন, এই অফিস সর্বোচ্চ সততার সঙ্গে কাজ করে, তাই এই বিষয়ে আমাদের কোনো মন্তব্য করা উচিত নয়।
এই পরিস্থিতি লুইস মার্টিনের রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক ভূমিকার ওপর বড় ধরনের চাপ তৈরি করেছে। তবে তার আইনজীবীর দাবি অনুযায়ী, অভিযোগের বিষয়ে যথাযথ ব্যাখ্যা রয়েছে যা তারা সামনে তুলে ধরবেন।
ইনগ্রিড লুইস মার্টিনের পদত্যাগ এবং সম্ভাব্য অভিযোগ নিউইয়র্ক সিটির রাজনীতিতে নতুন বিতর্ক সৃষ্টি করেছে। এখন দেখার বিষয়, আনুষ্ঠানিকভাবে অভিযোগ প্রকাশিত হলে পরিস্থিতি কোন দিকে মোড় নেয় এবং এর প্রভাব মেয়র অ্যাডামসের প্রশাসন ও তার ঘনিষ্ঠ সহযোগীদের ওপর কতটা পড়ে।