বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা, জাতীয় পদকপ্রাপ্ত শিল্পী বেবী নাজনীন বলেছেন, শহিদ জিয়ার নেতৃত্ব বাংলাদেশের রাজনীতিতে বিএনপির আত্মপ্রকাশ ছিলো ধূমকেতুর মতো। বিএনপি ৭৫ পরবর্তীতে প্রেসিডেন্ট জিয়ার নেতৃত্ব দেশ গঠনে যেমন শাহসী ভূমিকা পালন করেছে তেমনি ৮২ পরবর্তী সময়কালে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিযার নেতৃত্বে স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে লড়াই করেছে, তেমনি ২০০৭ সাল থেকে দীর্ঘ ১৭ বছর তারেক রহমানের নেতৃত্বে স্বৈরাচার ও ভারতীয় আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে লড়াই করেছে। এদেশের মানুষ তাই বিএনপিকে বারবার ভোট দিয়ে নির্বাচিত করেছে। বেবী নাজনীন গত ২৬শে আগস্ট বিএনপির ৪৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষ্যে নিউইয়র্ক মহানগর (উত্তর) বিএনপি আয়োজিত দোয়া মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখছিলেন।
নিউইয়র্ক মহানগর (উত্তর) বিএনপির আহবায়ক আহবাব চৌধুরী খোকনের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক ফয়েজ চৌধুরী ও সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার জাহিদের যৌথ উপস্থাপনায় গেস্ট অব অনার হিসাবে উপস্থিত ছিলেন বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য জিল্লুর রহমান জিল্লু, প্রধান বক্তা হিসাবে উপস্থিত ছিলেন বিএনপি চেয়ার পারসনের ফরেন এডভাইজরী কমিটির সদস্য গোলাম ফারুক শাহীন ও বিশেষ বক্তা ছিলেন জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দলের সহ-আন্তর্জাতিক সম্পাদক সাইফুর খান হারুন, বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন বিএনপি নেতা জসীম উদ্দিন ভূইয়া, মূলধারার রাজনীতিবিদ শাহজাহান শেখ, ড, নুরুল আমিন পলাশ, জাফর তালুকদার, আব্দুর রহিম, শরিফ খালিশদার, লিয়াকত আলী, বেলাল চৌধুরী, সেবুল খান মাহবুব ও মমতাজ উদ্দিন।
কোরআন তেলওয়াত করেন জিয়াউল আহমেদ জামিল। অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন জিল্লুর রহমান খান, তপদির রায় বরুন, কাজী আমিনুল ইসলাম স্বপন, এডভোকেট আতিকুর রহমান সাবু, সুলতান মাহমুদ সিদ্দিক, মোহাম্মদ আলী রাজা, ফারুক কবির, দুলাল রহমান, আক্তারুল ইসলাম নান্নু, খন্দোকার আব্দুল বাকী, মোঃ মোক্তাদীর, তারেকুল ইসলাম, সহিদুল ইসলাম, শামীম হোসেন, মোঃ আসিফ, মোঃ জামাল হোসেন, মোহাম্মদ ইব্রাহীম হোসেন, মোহাম্মদ নুরুল ইসলাম খান, বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রউফ, মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন, আব্দুল আহাদ হেলাল, কাহের মিয়া, মোঃ দেলোয়ার হোসেন, মুক্তিযোদ্দা শফিউল্লাহ, তানিম চৌধুরী, মোঃ মিলন আলী, আবুল কালাম আজাদ।
জিল্লর রহমান বলেন, বিএনপি দীর্ঘ ১৭ বছর একটি ফ্যাসিস্ট সরকারের বিরুদ্ধে লড়াই করেছে, কখনো আপোষ করেনি। বিএনপিকে ভাঙ্গার বহু ষড়যন্ত্র করা হয়েছে কিন্তু বিএনপি ভাঙ্গেনি বরং সতেরো বছরে বহু গুণে শক্তিশালী হয়েছে। আওয়ামী লীগ ক্ষমতাচ্যুত হয়ে এক দিনওটিকে থাকতে পারেনি। বাংলাদেশের মাটিতে খুনী হাসিনার বিচার হবে।
অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে আহবাব চৌধুরী খোকন অনুষ্ঠানে উপস্থিত হওয়ার জন্য সকলের প্রতি আন্তরিক কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ জানান।
অনুষ্ঠানে শহিদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান, খালেদা জিয়া, সন্তান মরহুম আরাফাত রহমানের আত্মার মাগফেরাত কামনা এবং দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের আরোগ্য কামনা করে কামনা মোনাজাত করেন হাফিজ মাওলানা এবাদুর রহমান চৌধুরী। অনুষ্ঠান শেষে উপস্থিত সকলের মধ্যে তবোরক বিতরন করা হয়। অনুষ্ঠানে বন্যা উপদ্রুত মানুষের সাহায্যার্থে অর্থ সংগ্রহ করা হয়।