৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫, শুক্রবার, ০৭:১৮:১৭ পূর্বাহ্ন


দেশকে শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী
কঠোর আন্দোলনের প্রস্তুতি নিচ্ছি
সৈয়দ মাহবুব মোর্শেদ
  • আপডেট করা হয়েছে : ২৬-০৬-২০২৪
কঠোর আন্দোলনের প্রস্তুতি নিচ্ছি শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী


বিএনপির নবনির্বাচিত যুগ্ম মহাসচিব শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী বলেছেন, আমাদের জনগণের অধিকার আদায় না হওয়া পর্যন্ত তো আন্দোলন চালিয়েই যাচ্ছি। এবং জনগণকে প্রতিটি স্তরে আরো সম্পৃত্ত করে সবচেয়ে কঠোর আন্দোলন প্রস্তুতি নিচ্ছি- ইনশাআল্লাহ..। আমরা এই নব্য স্বৈরাচারী সরকারের পতন ঘটিয়ে বাংলাদেশের মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে চাই। আমেরিকা থেকে প্রকাশিত জনপ্রিয় দেশ পত্রিকার সাথে এক বিশেষ সাক্ষাৎকারে তিনি একথা বলেন। সাক্ষাৎকারটি নিয়েছেন পত্রিকার বিশেষ প্রতিনিধি সৈয়দ মাহবুব মোর্শেদ

দেশ: এখন আন্দোলন কোন পর্যায়ে আছে? কি করছেন আপনারা?

শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানী : আমরা তো দীর্ঘ পনের বছর ধরে এই সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন করছি। চালিয়ে যাচ্ছি এখনো..। এর মধ্যে মেইন দাবি হচ্ছে দেশে একটি অবাধ সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন। আর সেটা হতে হবে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন। কিন্তু তারা তো এদাবি না মেনে নিয়ে তাদের দখলদারিত্বেই নির্বাচন করছে। এখন দেশে একটি ফ্যাসিবাদি কর্তত্ববাদী শাসনের সমস্যা আর কি..। এখন এই ধরনের আন্দোলনের তো একটা গতি-প্রকৃতি আছে। স্বৈরশাসক এরশাদের বিরুদ্ধে আমরা আন্দোলন করেছি, তো তাকে সরাতে আমাদের ৯ থেকে ১০ বছর লেগেছে....(অট্টহাসি দিয়ে)। এখন হয়তবা ১৮ বছর লাগতেই পারে..। ১৬, ১৭ বা ১৮ বছর যাই লাগুক না কেনো আমাদের আন্দোলন চলবে। কখনো বাড়তেছে কখনো কমতেছে..। আমরা গোল পয়েন্টে যেতে তো আরো ত্যাগ স্বীকার কতে হবে। আমরা সংগঠন গোচাচ্ছি.. কেননা এখন সফলতার দ্বারপ্রান্ত। 

দেশ: আচ্ছা পুরো আন্দোলন কি সামনের দিনে বিএনপি একা একা করবে? 

শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানী : কি বললেন? বুজলাম না..

দেশ: না মানে মাঠে যেসব শরিকদের নিয়ে আন্দোলন করছে তাদের নিয়েই আন্দোলন করবেন নাকি একা বিএনপি’র মাঠে থাকবে?

শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানী : কোনো একথা বলছেন ? আমরা তো এখনো যুগপৎ আন্দোলনেই আছি। আমরা তো সবাইকে নিয়েই আন্দোলন করবো। যুগপৎ আন্দোলনে সবাই আছে। 

দেশ: আপনি কি মনে করেন ২০২৩ সাথে ২৮ অক্টোবর থেকে এপর্যন্ত যে আন্দোলন করেছেন তাতে সরকার জয়ী হয়েছে। আপনারা সরকারের কৌশলে হেরে গেছেন? মানে বিএনপি’সহ আন্দোলনে সমমনাদের পরাজয় হয়েছে। 

শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানী : কিছুটা রেগে গিয়ে...না না পরাজয় হবে কেনো? আমরা আন্দোলনের টার্গেটে এখনো পৌঁছাইতে পারি না..ব্যাস এতোটুকুই বলতে পারেন। এখানো পরাজয়ের কোনো সুযোগই নেই। একটা রাষ্ট্রের এগেইনেস্টে আমরা যুদ্ধ করছি। একটা রাষ্ট্র কিভাবে ব্যবহার করছে কিভাবে..রাষ্ট্র কিভাবে অত্যাচার নির্যাতন করছে..গুম করছে..। তার বিরুদ্ধে তো আমরা সবাই মিলেই আন্দোলন করতেছি..। 

দেশ: আপনার জীবনে দীর্ঘ একটা আন্দোলন বিশেষ করে স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনের অভিজ্ঞতা আছে.. এসব আন্দোলনে আপনি নিজেই দেখেছেন কিভাবে সর্বস্তরের জনগণ আন্দোলনে ঝাঁপিয়ে পড়েছে..কিন্তু এখন আপনাদের দল বিএনপি বা বাকি সমমনাদের আন্দোলনে মানুষ মাঠে নামছে না বা ঝাঁপিয়ে পড়ছে না..এটা কি সত্য না..? এটা কেনো হচ্ছে? আপনার রাজনৈতিক অভিজ্ঞতা কি বলে?

শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানী : না, শুনেন, মানুষ ঝাঁপাইয়া কখন পড়ে? আমরা জনগণকে স্বতঃস্ফূর্ত আন্দোলনে তো বারবার ঝাঁপিয়ে পড়া, সম্পৃক্ত করা চেষ্টা করছি। এবং তারা তো আমাদের কথা বলেন বা আন্দোলন বলেন, ডাক বলেন সবই শুনেছে, রেখেছেও। একারণেই তো ২০২৪ সাথে অনুষ্ঠিত ৭ জানুয়ারি থেকে নিয়ে এমনকি উপজেলা নির্বাচনেও জনগণ ভোট দিতে যায়নি। আমাদের আহবানে সাড়া দিয়েছে বলেই তো এমনটা হয়েছে। এটা কি আমাদের সফলতা না? এছাড়া এর আগে আমাদের সারাদেশে বিভিন্ন জনসভা..রোড মার্চ, পথসভা..পদযাত্রা..সব কিছুতেই তো জনগণ স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশ নিয়েছে। এখন আন্দোলেনে রেজাল্ট পাইতে হয়তো আমাদের একটু দেরি হচ্ছে-একটু সময়ের ব্যাপার আর কি..। 

দেশ: আচ্ছা বিএনপি’কে একজন তরুণ নেতা হিসাবে দলের নেতাকর্মীদের প্রতি এই আন্দোলন সংগ্রাম নিয়ে আপনার মেসেজ কি? 

শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানী : আমাদের জনগণের অধিকার আদায় না হওয়া পর্যন্ত তো আন্দোলন চালিয়েই যাচ্ছি। এবং জনগণকে প্রতিটি স্তরে আরো সম্পৃক্ত করে সবচেয়ে কঠোর আন্দোলন প্রস্তুতি নিচ্ছি-ইনশাআল্লাহ..।

দেশ: আপনারা কি সফল হবেন..

শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানী : ইনশাআল্লাহ..মাস্ট..। এর কোনো বিকল্পই নেই। আহা রে এর বাইরে তো অন্য কিছু হবেই না..। কারণ সরকার তো পার্মানেন্ট না..। 

দেশ: আসলে আপনি কি মনে করেন জনগণ সরকারের উন্নয়ন কর্মকাণ্ড দেখে আপনাদের আন্দোলনের ডাকে সাড়া দিচ্ছে না..

শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানী : কি..সের উন্নয়ন..সব তো লুটপাটে ব্যস্ত..অর্থ প্রাচার করছে..। দেখেন না সাধারণ মানুষ কতো অসহায় জীবন যাপন করছে..। কোটি কোটি টাকা প্রাচার হয়ে যাচ্ছে। 

শেয়ার করুন