১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫, শনিবার, ০৪:১৯:৩৫ পূর্বাহ্ন


ট্রাম্প প্রশাসনের নতুন নির্দেশনা
অবৈধ অভিবাসীদের বিরুদ্ধে মিলিয়ন ডলারের জরিমানার ঝুঁকি
দেশ রিপোর্ট
  • আপডেট করা হয়েছে : ০৯-০৭-২০২৫
অবৈধ অভিবাসীদের বিরুদ্ধে মিলিয়ন ডলারের জরিমানার ঝুঁকি যুক্তরাষ্ট্রের হোমল্যান্ড সিকিউরিটি বিভাগ (ডিএইচএস)


ট্রাম্প প্রশাসন অভিবাসন ব্যবস্থায় কঠোর নীতি প্রয়োগ শুরু করেছে, যার ফলে নির্দিষ্ট কিছু অবৈধ অভিবাসীর ওপর মিলিয়ন ডলারেরও বেশি জরিমানা আরোপের সম্ভাবনা বেড়ে গেছে। নতুন নিয়ম অনুসারে, যুক্তরাষ্ট্রের হোমল্যান্ড সিকিউরিটি বিভাগ (ডিএইচএস) কর্মকর্তারা সরাসরি জরিমানার চিঠি পাঠাতে পারবেন এবং অভিযুক্ত ব্যক্তি যদি ১৫ কর্মদিবসের মধ্যে আপিল না করেন, তাহলে তাদের আপিলের সমস্ত অধিকার স্থায়ীভাবে হারিয়ে যাবে। এতে আইনি প্রক্রিয়া অনেকটাই সংকুচিত হয়েছে এবং জরিমানার বিরুদ্ধে লড়াই করা কঠিন হয়ে পড়বে।

১৯৯৬ সালে কংগ্রেসের অনুমোদিত একটি কঠোর অভিবাসন আইনের অধীনে প্রথম এই জরিমানার বিধান চালু হয়। ওই আইন অনুসারে, যারা বহিষ্কারের আদেশ অমান্য করে থেকে যান, তাদের প্রতি দিন ৫০০ ডলার করে জরিমানা করা হতো, যা মূল্যস্ফীতির কারণে বর্তমানে দৈনিক ৯৯৮ ডলার বা বছরে ৩ লাখ ৬৪ হাজার ২৭০ ডলারে উন্নীত হয়েছে। তবে গত তিন দশকে এই জরিমানা খুব কমই কার্যকর হয়েছিল। কারণ বেশির ভাগ অভিবাসন কর্মকর্তারা জরিমানা আরোপের পরিবর্তে বহিষ্কারের ওপর গুরুত্ব দিয়েছেন। এখন ট্রাম্প প্রশাসন এই আইনকে ব্যবহার করে নতুন নিয়মাবলি প্রয়োগের মাধ্যমে জরিমানা আরোপ প্রক্রিয়া সহজ করে এগিয়ে চলছে। আগের নিয়ম অনুযায়ী জরিমানার আগে নোটিশ পাঠানো হতো এবং অভিযুক্তদের ৩০ দিনের মধ্যে আপিল করার সুযোগ ছিল। নতুন নিয়মে সরাসরি জরিমানার নোটিশ পাঠানো হবে এবং আপিলের জন্য সময় সীমিত করে ১৫ কর্মদিবসে নামিয়ে আনা হয়েছে, যার মধ্যে আপিল না করলে পুনরায় আপিল করা যাবে না। এছাড়া বোর্ড অব ইমিগ্রেশন আপিলসের ভূমিকা বাদ পড়েছে এবং ব্যক্তিগত শুনানির সুযোগও নেই।

ডিএইচএস দাবি করছে, আগের প্রক্রিয়ায় অতিরিক্ত ‘ডু প্রসেস’ থাকায় জরিমানার আওতা সীমিত ছিল এবং আধুনিক ডাটাবেজ ব্যবস্থার মাধ্যমে কার ওপর জরিমানা আরোপ করা যাবে তা সহজেই নির্ধারণ করা যায়। নতুন নিয়ম কার্যকর হলে হাজার হাজার অভিবাসী একযোগে জরিমানার চিঠি পেতে পারেন, এমনকি অনেকেই জানতেই পারবেন না কারণ অনেক সময় নোটিশ ভুল ঠিকানায় পাঠানো হয়। বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রে প্রায় ১৪ লাখেরও বেশি অভিবাসীর বিরুদ্ধে চূড়ান্ত বহিষ্কারের আদেশ রয়েছে এবং এই নতুন নিয়মের আওতায় তাদের বিরুদ্ধে ব্যাপক জরিমানা আরোপের পরিকল্পনা রয়েছে, যা তাদের আর্থিক এবং আইনি অবস্থাকে আরো সংকটাপন্ন করে তুলবে। এই কঠোর নীতি অভিবাসী সম্প্রদায়ের মধ্যে গভীর উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে এবং ভবিষ্যতে যুক্তরাষ্ট্রের অভিবাসন ব্যবস্থায় জটিলতা ও বিতর্ক আরো বাড়বে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

শেয়ার করুন