জাতীয় সংগীত পরিবেশনের সঙ্গে সঙ্গে বীর মুক্তিযোদ্ধারা স্যালুট জানিয়ে শেষ অভিবাদন জানানেল গাইবান্ধার কৃতী সন্তান প্রয়াত সৈয়দ শামস উল আলম হীরুকে। এর আগে কালো ব্যাজ ধারণ, নিরবতা পালন, তার প্রতিকৃতিতে ফুল অর্পণ এবং বাংলাদেশের জাতীয় পাতাকা দিয়ে শ্রদ্ধা জানানো হয়।
এভাবেই নিউইয়র্কে নানা আয়োজনে গাইবান্ধা জেলা বার ও জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি, বীর মুক্তিযোদ্ধা সৈয়দ শামস উল আলম হিরুর স্মরণসভা অনুষ্ঠিত হলো।
গাইবান্ধা সোসাইটি অব আমেরিকা গত ১৩ জুন জ্যাকসন হাইটসের নবান্ন রেস্টুরেন্টে সন্ধ্যায় আয়োজিত এই সভার আয়োজন করে। অনুষ্ঠানে হীরুর পরিবার, আত্মীয়-স্বজন, বীর মুক্তিযোদ্ধা, শিল্পী-সাহিত্যিক-সাংবাদিকসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার সুধীজন উপস্থিত ছিলেন।
শুরুতেই স্বাগত বক্তব্য রাখেন- গাইবান্ধা সোসাইটি অব আমেরিকার সাধারণ সম্পাদক রেজা রহমান। প্রয়াত হীরুর জীবনী পাঠ করেন সংগঠনের সাংগঠনিক সম্পাদক ফাহমিদা চৌধুরী লুনা।
সনজীবন কুমারের সভাপতিত্বে মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের উপদেষ্টা বঙ্কিম সাহা ও শামসুদ্দোজা খান পাশা, সৈয়দ শামস উল আলম হিরুর স্ত্রী আছিয়া খাতুন ও সন্তান সৈয়দ নসরুল্লাহ আসিফ মুর্তজা।
বক্তব্য রাখেন- বর্ষীয়ান সাংবাদিক সৈয়দ মোহাম্মদ উল্লাহ, মুক্তিযোদ্ধা সুব্রত বিশ্বাস, মুক্তিযোদ্ধা রেজাউল বারী বকুল, মুক্তিযোদ্ধা খুরশিদ আনোয়ার বাবুল, মুক্তিযোদ্ধা মতিউর রহমান, মুক্তিযোদ্ধা মতিউর রহমান, প্রগ্রেসিভ ফোরামের জাকির হোসেন বাচ্চু, একুশের চেতনার সভাপতি ড. ওবায়দুল্লাহ মামুন, আব্দুল আউয়াল সরকার দুলাল। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন মুক্তি সরকার ও দীলিপ মোদক।
প্রয়াতের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে বক্তরা বলেন, রাজনৈতিক অঙ্গন ছাড়াও মুক্তবুদ্ধিসম্পন্ন সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব সৈয়দ হীরু আন্দোলন-সংগ্রামের মধ্য দিয়ে গাইবান্ধায় শিল্প-সাহিত্য-সংস্কৃতিতে নতুন নতুন সম্ভবনা সৃষ্টি করেছেন। বাস্তবতা ও গভীর সামাজিক দায়বদ্ধতা তার মজ্জায় যেমন মিশেছিল, তেমনি নান্দনিকার দিক থেকেও তিনি অভিনব পথে হেঁটেছে, নানা দিক থেকে গাইবান্ধাকে সমৃদ্ধ করেছেন। মুক্তিযুদ্ধের চেতনার প্রশ্নে বার বার ঝলসে উঠেছেন, কোনো আপস করেননি। সব সময় সাধারণ মানুষদের সহযাত্রী করেই গভীর আস্থায় দেশ গড়ায় নিমগ্ন ছিলেন। যার জন্য গাইবান্ধাবাসীর মনের গভীর শিকড়ে তিনি আসন পেতে নিয়েছেন।
অনুষ্ঠান সহযোগিতা ছিলেন প্রতিমা সরকার, লায়লা তানি, তুহিন মাহফুজ ও প্রশান্ত সরকার।
প্রসঙ্গত অসুস্থতাজনিত কারণে গত ২৪ মে সন্ধ্যা ছয়টায় যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্কের জ্যামাইকা হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেছেন।