৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫, শুক্রবার, ০৭:৪২:১৫ অপরাহ্ন


করিডোর ও চট্টগ্রাম বন্দর লিজ
লংমার্চ ঘেরাও অবরোধ ও হরতালের হুমকি
বিশেষ প্রতিনিধি
  • আপডেট করা হয়েছে : ২৮-০৫-২০২৫
লংমার্চ ঘেরাও অবরোধ ও হরতালের হুমকি


মিয়ানমারের রাখাইনে মানবিক সহায়তার নামে করিডোর ও চট্টগ্রাম বন্দরে নিউমুরিং কনটেইনার টার্মিনাল বিদেশি প্রতিষ্ঠানকে লীজ দেওয়ার নীতিগত সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে ও সিদ্ধান্ত বাতিলের দাবিতে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি)’র উদ্যোগে সম্প্রতি পুরনো পল্টন মোড়ে সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিল হয়েছে।

বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি)’র সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা শাহ আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স, প্রেসিডিয়াম সদস্য সাজ্জাদ জহির চন্দন। সমাবেশ পরিচালনা করেন সহকারী সাধারণ সম্পাদক মিহির ঘোষ।

সভাপতির বক্তব্যে মো: শাহ আলম বলেন, ইন্টেরিম গভর্মেন্টকে এদেশের ছাত্র-জনতা ও রাজনৈতিক দলগুলো ম্যান্ডেট দিয়েছেন প্রয়োজনীয় সংস্কার ও সকলের কাছে গ্রহণযোগ্য নির্বাচন করার জন্য, দেশের স্বার্থ সাম্রাজ্যবাদীদের হাতে বিকিয়ে দেওয়ার জন্য নয়। তিনি আরো বলেন, দেশের জনগণের টাকায় নির্মিত নিউ মুরিং টার্মিনালকে লাভজনক অবস্থায় বিদেশী কোম্পানীর কাছে লীজ দেওয়া কোনোভবেই গ্রহণযোগ্য হবে না। ইতিমধ্যে দেশবাসী তা পরিষ্কারভাবে বলে দিয়েছে। তিনি বলেন, অতীতে চট্টগ্রাম বন্দর বিদেশি কোম্পানিকে লীজ দেওয়ার চক্রান্তের বিরুদ্ধে এদেশের জনগণ আন্দোলন ও আইনি লড়াই করে বন্দর রক্ষা করেছিল। এবারও জনগণ যেকোন মূল্যে দেশের সম্পদ রক্ষা করবে।

সিপিবি সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স বলেন, দেশের নীতিনির্ধারণী বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার অধিকার নেই অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের। এই কথাটি সরকারকে মনে রাখতে হবে। তিনি বলেন, ‘মানবিক করিডোর’-এর নামে সাম্রাজ্যবাদী আমেরিকার সাথে আঁতাত আর অন্যান্য আঞ্চলিক শক্তিগুলোর সাথে সংঘাতে জড়িয়ে ফেলার চক্রান্ত দেশবাসীকে নিয়ে রুখে দেয়া হবে। তিনি বলেন, সরকার দেশের স্বার্থবিরোধী এই পথ থেকে সরে না আসলে দেশবাসীকে নিয়ে চট্টগ্রাম অভিমুখে লংমার্চ, প্রয়োজনে ঘেরাও অবরোধ-হরতালের মতো কর্মসূচি দেওয়া হবে। বাংলাদেশকে সাম্রাজ্যবাদী প্রক্সিওয়ার কোনোভাবেই জড়িত হতে দেওয়া হবে না। তিনি বলেন, কোন কোন মহল নানা ধরনের ইস্যু সামনে এনে নির্বাচনকে বিলম্বিত করতে চায়। যা দেশের গণতন্ত্রের পথ চলাকে সংকটে ফেলবে।

তিনি দেশের বর্তমান রাজনৈতিক সমস্যা সমাধানে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকা এবং অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে কাল বিলম্ব না করে নির্বাচনের সুনির্দিষ্ট তারিখ ঘোষণা, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের জন্য প্রয়োজনীয় সংস্কারের দাবি জানান। সমাবেশের আগে ঢাকা শহরের বিভিন্ন এলাকা থেকে সিপিবি’র নেতাকর্মীরা মিছিল নিয়ে সমাবেশে যোগদান করেন।

সমাবেশ শুরুর আগে পার্টি অফিস থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের হয়ে জাতীয় প্রেসক্লাব হয়ে পুরানা পল্টন মোড়ে এসে সমাবেশে মিলিত হয়। সমাবেশের পরে আবারো বিক্ষোভ মিছিল জিরো পয়েন্ট, বায়তুল মোকাররম এলাকা ঘুরে পার্টি অফিসে এসে শেষ হয়। উল্লেখিত দাবিতে ২৩ ও ২৪ মে দেশব্যাপী কেন্দ্রীয় কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়।

শেয়ার করুন