৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫, শুক্রবার, ০৯:২৮:৫১ পূর্বাহ্ন


হাসিনার বিচার ও রোহিঙ্গা সঙ্কট সমাধান করেই কি নির্বাচন
সৈয়দ মাহবুব মোর্শেদ
  • আপডেট করা হয়েছে : ০২-০৪-২০২৫
হাসিনার বিচার ও রোহিঙ্গা সঙ্কট সমাধান করেই কি নির্বাচন


বাংলাদেশে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন কবে হবে বা হতে যাচ্ছে সেই বিষয়টি নিয়ে এখনো রাজনৈতিক দলগুলির মধ্যে বিশেষ করে বিএনপি’র মধ্যে ধোয়াশা রয়েছে। তারা এখনো নিশ্চিত না যে ঠিক কখন কোন বছরে আগামী ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। এনিয়ে দলটির মধ্যে আছে নানা শঙ্কা বিরাজ করছে। অভিযোগ করে বক্তব্য দেখা হচ্ছে যে বিএনপি’র বিরুদ্ধে কারো বা কোনো পক্ষের ষড়যন্ত্রের শিকার হচ্ছে দলটি। তবে আসলেই এখন রাজনৈতিক মহলে সবচেয়ে বেশি আলোচিত যে নির্বাচনটি সহসাই হবে বা হতে যাচ্ছে? কেনোইবা কি কারণে ড. ইউনুস নির্বাচনের তারিখ ধোয়াশায় রাখছেন?

সর্বশেষ দেয়া ভাষণেও ধোয়াশা

দ্রুত নির্বাচনের দাবি করে আসছে বিএনপি ও তার সাথে যুগপৎ আন্দোলনের সঙ্গী মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের উদার গণতান্ত্রিক দলগুলি। তারা দ্রুত প্রয়োজনীয় সংস্কারের পরামর্শ দিয়ে দ্রুত নির্বাচনে দিকে দেশকে নিয়ে যেতে আহবান জানিয়ে আসছে। কিন্তু অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস সেই একই কথা। তার বক্তব্যের সারবত্তাই হচ্ছে চলতি বছরের ডিসেম্বর থেকে আগামী বছরের জুনের মধ্যে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। ২৬ মার্চ জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণেও তিনি বলেছেন, চলতি বছরের ডিসেম্বর থেকে আগামী বছরের জুনের মধ্যে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এর পাশাপাশি বলেছেন, এবারের নির্বাচনটি দেশের ইতিহাসে সবচেয়ে অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য করা সরকারের লক্ষ্য। আর বলেছেন, এজন্য ইতোমধ্যে নির্বাচন কমিশন সব ধরনের প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছে। রাজনৈতিক দলগুলো ব্যাপক উৎসাহ, উদ্দীপনায় নির্বাচনের জন্য তৈরি হবে বলেও আশাবাদী তিনি।

আশ্বস্ত নয় বিএনপি

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূসের পক্ষ থেকে জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে বিএনপি’কে মোটেই আশ্বস্ত করতে পারেনি, যা তাদের বক্তব্য বিবৃতিতে বোঝা যায়। আর এজন্যই ডিসেম্বর থেকে জুন মাসের মধ্যে নির্বাচন হবে-প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের এমন বক্তব্যকে ‘অস্পষ্ট’ অভিহিত করে অবিলম্বে ‘স্পষ্ট রোডম্যাপ’ দাবি করেছেন বিএনপির নেতারা। মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের বক্তব্য এমনটাই। অন্যদিকে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ গণমাধ্যকে বলেছেন, কী কারণে, কোন যুক্তিতে প্রধান উপদেষ্টা নির্বাচন আয়োজনে সময়ক্ষেপণ করতে চাচ্ছেন-জাতির সামনে স্পষ্ট করা দরকার। তিনিও প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে তাঁর পূর্বপ্রতিশ্রুত ডিসেম্বরের মধ্যে রোডম্যাপ দিতে আহ্বান জানিয়েছেন।



কেনো এই ‘অস্পষ্টতা’

প্রশ্ন হচ্ছে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদের নির্বাচনের সঠিক দিনক্ষণ কেনো বলছেন না বা বলতে চাইছেন না? কেনো ঘুরে ফিরেই চলতি বছরের ডিসেম্বর থেকে আগামী বছরের জুনের মধ্যে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে বলে যাচ্ছেন? এব্যাপারে রাজনৈতিক মাঠের দলমত নির্বিশেষে নেতৃবৃন্দের পাপশাপাশি বিশ্লেষকদের সাথে কথা হয় দেশ প্রতিনিধির। তাদের মতে, অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস বেশ কয়েকটি কারণে আগামী জাতীয় সংসদের নির্বাচনের সঠিক দিনক্ষণ বলছেন না বা বলতে চাইছেন না? এটি একটি বিরাট কৌশল, যা অবশ্যই দেশের বৃহত্তর স্বার্থে বিশেষ করে ২৪ জুলাই’র শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েই নেয়া হয়েছে। বিশ্লেষকদের মতে, সর্বশেষ জাতির উদ্দেশ্যে দেয়া ভাষণে তা লক্ষ্যণীয়। ২৬ মার্চ জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস বলেছেন, অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই গণমাধ্যম ও সোশ্যাল মিডিয়ায় গুজবের এক মহোৎসব চলছে। যতই নির্বাচন কাছে আসবে, এর রূপ আরও ভয়ংকর হতে থাকবে। এই গুজব ও মিথ্যা তথ্যের প্রচারণা রোধে আমরা জাতিসংঘের সহযোগিতা চেয়েছি। জাতিসংঘ মহাসচিব গুজব মোকাবিলায় আমাদের সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন। ধরে নেয়া যেতে পারে গুজব ও মিথ্যা তথ্যের প্রচারণা রোধে জাতিসংঘের সহযোগিতাও প্রতীক্ষায় ছিলেন ড. ইউনূস। বা জাতিসংঘের আরও অন্যরকম সহযোগিতা প্রতীক্ষায় ড. ইউনূস আছেন? সে-টি হলে তিনি সুষ্ঠু নিরপেক্ষ নির্বাচন আয়োজনের ব্যাপারটি সেরে ফেলা হবে বলে ধরে নেয়া যেতে পারে, হয়তবা সেটি মিলে গেছে।

জুলাই বিপ্লবীদের শক্ত অবস্থানে রেখে যাওয়া

২০২৪ সালে ছাত্র-জনতা ঐক্যে গড়ে উঠা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে দেশ ছেড়ে পালিয়েছে দীর্ঘ ১৭ বছর ধরে ক্ষমতা থাকা শেখ হাসিনা। কিন্তু প্রতিনিয়িতই দেশের ভেতরের পাশাপাশি বাহির থেকেও হুঙ্কার ছাড়া হচ্ছে যে আওয়ামী লীগ-তো বটেই তার সভাপতি শেখ হাসিনা-ও ঢুকে যাচ্ছেন বাংলাদেশে। আর ঢুকেই সব তছনছ করে ফেলবেন। বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও প্রচার-প্রচারণা তুঙ্গে, যে কোনো সময় আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় চলে আসছে। এতে করে জুলাই অভ্যুত্থানের বিপ্লবীদের মধ্যে একটা সন্দেহ অবিশ্বাস তাদের ত্যাগের বিনিময়ে গড়ে উঠা এক মুক্ত বাংলাদেশ হয়তবা আবারও ফ্যাসিবাদের কবলে চলে যাচ্ছে। কারো কারো ধারণা এ-জন্য ড. ইউনুস জুলাই অভ্যুত্থানের বিপ্লবীদের সেইফ হোম প্রতিষ্ঠা করে যেতে চান। ড. ইউনূস মনে করেন, বাংলাদেশে অতীতের মতো অগোছালো এলোমেলোভাবে রেখে একটি নির্বাচন দিয়ে দিলে ফ্যাসিবাদের পতনে বিপ্লবীদের এমন আত্মত্যাগ তছনছ করে দিতে পারে ষড়যন্ত্রকারীরা।

শেখ হাসিনাকে শাস্তি দিতে সব ব্যবস্থা করে যেতে চান

কারো কারো মতে, কেবল সংস্কার নয় ড. ইউনুস জুলাই অভ্যুত্থানের বিপ্লবীদের সেইফ হোম প্রতিষ্ঠা করতেই চান। এর পাশাপাশি পতিত আওয়ামী লীগ সরকারের সভাপতি সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে গণহত্যার দায়ে বিচারে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের মুখোমুখির সব ধরনের ব্যবস্থা পোক্ত করে রেখে যেতে চান। জাতির উদ্দেশ্যে দেয়া ভাষণে এমনটাই প্রকাশ পেয়েছে। ভাষণে ড. ইউনুস বলেন, পতিত স্বৈরাচারের নিপীড়নের বর্ণনা উঠে এসেছে জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনারের কার্যালয়ের প্রতিবেদনে। জাতিসংঘের রিপোর্ট পড়ে সবার গায়ের লোম দাঁড়িয়ে গেছে। কী ভয়াবহতা! কীভাবে একজন প্রধানমন্ত্রী নিজ দেশের নিরস্ত্র মানুষকে হত্যার পর লাশ লুকিয়ে ফেলার নির্দেশ দিতে পারেন! ক্ষমতা আঁকড়ে রাখার জন্য তিনি পৃথিবীর সব নিষ্ঠুরতা ছাড়িয়ে গেছেন-এটাই জাতিসংঘের প্রতিবেদনে উঠে এসেছে। প্রতিবেদনে যে সুপারিশ করা হয়েছে, অন্তর্বর্তী সরকার সে সুপারিশগুলো গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করছে। তিনি বলেছেন, ‘আপনাদের আশ্বস্ত করে বলতে চাই, যারা গণহত্যায় জড়িত ছিল, যারা নির্বিচার মানুষ হত্যা করেছে, যারা ইতিমধ্যে হত্যাকারী হিসেবে বিশ্বের কাছে স্বীকৃত, তাদের বিচার এ দেশের মাটিতে হবেই।’ তাই স্পস্ট বোঝা যাচ্ছে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে আর্ন্তজাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে নেয়ার সব ধরনের আইনি পদক্ষেপ নিয়ে জুলাই বিপ্লবীদের সেইফ হোম প্রতিষ্ঠা করতে বদ্ধপরিকর ড. ইউনূস।

সৈয়দা রিজওয়ানা হাসানের বক্তব্যেও একই ইঙ্গিত

পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় এবং পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান মহান স্বাধীনতা দিবস ও জাতীয় দিবসে সাভারের জাতীয় স্মৃতিসৌধে শহীদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে এসে কিছু বক্তব্য রেখেছেন। তা সে বক্তব্যে লক্ষ্য করা যাচ্ছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টার একিই লক্ষ্যের কথা। সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, ‘জুলাই-আগস্টের যে হত্যাকাণ্ড হলো, যে বর্বরতা হলো, এর সুষ্ঠু বিচার করতে হবে। আমাদের সীমিত সময়ে আমরা অবশ্যই চেষ্টা করব কিছু কিছু বিচার করে যাওয়ার। যদি মানুষ হিসেবে এটি করতে পারি, সত্যিই এই বর্বরতার একটা বিচার হবে, জনগণের মধ্যে যেন ওই আস্থা আসে।’

জুলাই সনদেও গুরুত্ব ড. ইউনূসের

এদিকে ভাষণে দেয়া বক্তব্যে অধ্যাপক ড. ইউনূস জানিয়ে দিয়েছেন যে, ঐকমত্য কমিশনের মাধ্যমে সব রাজনৈতিক দলের মতামত নেওয়ার কাজ এখন চলমান। কমিশনের লক্ষ্য হচ্ছে যেসব বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলো একমত হবে, সেগুলো চিহ্নিত করা এবং তার একটি তালিকা প্রস্তুত করা। যেসব দল এতে একমত হয়েছে, তাদের স্বাক্ষর নেওয়া। এ তালিকাই হবে জুলাই চার্টার বা জুলাই সনদ, যা পরবর্তীতে সবকে মেনে চলে সামনে দিকে দেশক নিয়ে যেতে হবে।

রোহিঙ্গা সংকটের একটা সুরাহা করে যেতে চান

শান্তিতে নোবেল বিজয়ী অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে রোহিঙ্গা সংকটের একটি সুষ্ঠু সমাধান করে দিয়ে যেতে চান। জাতির উদ্দেশ্যে দেয়া ভাষণে ড. ইউনূস এমনটাই আভাস দিয়েছে। ভাষণে জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসের বাংলাদেশ সফরের প্রসঙ্গ টেনে অধ্যাপক ইউনূস বলেছেন, বাংলাদেশের প্রস্তাবে সম্মতি জানিয়ে আগামী সেপ্টেম্বর মাসে জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে রোহিঙ্গা সংকট নিয়ে একটি পৃথক অধিবেশন আয়োজন করার প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। আর সে প্রস্তুতি যে রোহিঙ্গা সংকটের সমাধানে একটি অগ্রযাত্রা হতে যাচ্ছে বা হবে তার আভাস মিলে যখন ড. ইউনূস বলেন, আগামী ঈদ নিজ দেশে করবেন রোহিঙ্গা সংকটের। উল্লেখ্য সম্প্রতি কক্সবাজারের উখিয়ায় শরণার্থী শিবিরে প্রায় এক লাখ রোহিঙ্গার সাথে ইফতারে যোগ দেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস। এ সময় প্রধান উপদেষ্টা জানিয়েছিলেন রোহিঙ্গারা যেন আগামী বছর মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে তাদের নিজ বাড়িতে ফিরে গিয়ে ঈদ উদযাপন করতে পারে, সে লক্ষ্যে জাতিসংঘের সাথে সম্মিলিতভাবে প্রচেষ্টা চালিয়ে যাবে তার সরকার। ধারণা করা হচ্ছে ড. মুহাম্মদ ইউনূস কেবল একটি সুষ্ঠু নির্বাচনই নয় বাংলাদেশের মাথার ওপর একটি বিষফোড়া স্বরূপ রোহিঙ্গা সংকটের সমাধানটি সফলভাবে সম্পন্ন করে ফেলতে পরবর্তী প্রজন্মকে একটি শান্তির বাংলাদেশ রেখে যেতে চান।

শেষ কথা

রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, এক দিকে পতিত আওয়ামী লীগ সভাপতি সাবেক প্রধানমন্ত্রীকে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুন্যালের মুখোমুখি নিয়ে যাওয়া ও এর পাশাপাশি জুলাই বিপ্লবীদের জন্য বাংলাদেশকে একটি সেইফ হোম প্রতিষ্ঠা এবং রোহিঙ্গা সংকটের সমাধান অক্ষরে অক্ষরে সমাধান করার স্বার্থেই ড. ইউনুস আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দিনক্ষণটিকে অস্পষ্টই রেখেছেন। কারণ এসব গুরুত্বপূর্ণ কাজ অসম্পূর্ণ রেখে গেলে জুলাই বিপ্লবীদের কাছে তিনি সারাজীবন দায়ী থাকবেন এটাই বলাই যায়। অন্যদিকে রোহিঙ্গা সংকটটি ঝুলিয়ে রেখে বাংলাদেশকে একটি যুদ্ধাবস্থায়ও রেখে যেতে চান না ড. ইউনুস। তাই হুটহাট করে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তারিখটি ঘোষণা করে ফেললে সামনের দিনে জুলাই বিপ্লবী সর্বোপরি দেশের স্বার্থে নেয়া ড. ইউনুসের নেয়া এধরনের কৌশলী পদক্ষেপ ভণ্ডুল হয়ে যেতে পারে, সেক্ষেত্রে দেশ তখন আরো ভয়াবহ সঙ্কটে পড়তে পারে। এমন আশঙ্কা থেকেই ড. ইউনূস কৌশলে পথ চলছেন বলেই বিশ্লেষকরা মনে করেন।


শেয়ার করুন