নিউইয়র্কে নানা আয়োজনে উদযাপিত হয়েছে জাতীয় শহিদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস। জ্যামাইকার অল কাউন্টি অডিটোরিয়ামে অল কাউন্টি হেলথকেয়ার গ্রুপের উদ্যোগে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে প্রবাসী বাংলাদেশিরা অংশ নেন।
অনুষ্ঠানের শুরুতে বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় সংগীত পরিবেশন করা এবং ভাষা শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানো হয়। এরপর আয়োজিত আলোচনা সভায় ভাষা আন্দোলনের গুরুত্ব ও ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে বাংলা ভাষার সঙ্গে সম্পৃক্ত রাখার উপায় নিয়ে আলোচনা করেন বাংলাদেশি কমিউনিটির বিশিষ্টজনেরা।
অল কাউন্টি হেলথকেয়ার গ্রুপের সিইও আব্দুল কাদের শিশির বলেন, ‘বাংলাদেশি কমিউনিটির ঐতিহ্য ও সুনাম ধরে রাখতে এ ধরনের আয়োজন আরো বাড়ানো হবে।’
আয়োজনে দুই শতাধিক বাংলাদেশি প্রবাসী উপস্থিত ছিলেন, যার মধ্যে অর্ধশত শিশু-কিশোরও ছিল। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন আমেরিকান-বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্সের প্রেসিডেন্ট গিয়াস আহমেদ, ওয়ার্ল্ড হিউম্যান রাইটস ডেভেলপমেন্ট ইউএসএ ইনকের সভাপতি শাহ শহীদুল হক, জ্যামাইকা বাংলাদেশ ফ্রেন্ডস সোসাইটির চিফ অ্যাডভাইজার ওসমান গণি, রিলায়েবল হোম কেয়ারের পরিচালক জে মোল্লা সানী, রিলায়েবল হোম কেয়ারের সিইও এনায়েত মুন্সী, বিয়ন্ড হোম কেয়ারের সিইও আলিম হোসেন ও টাইম টিভির সিইও আবু তাহের, কমিউনিটি অ্যাকটিভিস্ট বদরুল হক আজাদ।
আলোচনা সভা শেষে শিশু-কিশোরদের চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের পুরস্কৃত করা হয়। প্রথম পুরস্কার বিজয়ীকে ১ হাজার ডলারের গিফট ভাউচার, দ্বিতীয় ও তৃতীয় পুরস্কার বিজয়ীদের যথাক্রমে ৫০০ ও ৩০০ ডলার প্রদান করা হয়। এছাড়া আরো সাতজনকে সৌজন্য পুরস্কার দেওয়া হয়।
অনুষ্ঠানের শেষ পর্যায়ে দেশাত্মবোধক সংগীত পরিবেশন করেন সিটিসেল চ্যানেল আই মিউজিক অ্যাওয়ার্ড বিজয়ী নাজু আখন্দ।
বাংলাদেশি প্রবাসীরা এ ধরনের আরো আয়োজনের আহ্বান জানিয়ে বলেন, এটি নতুন প্রজন্মকে মাতৃভাষার প্রতি আগ্রহী করতে সহায়তা করবে। অনুষ্ঠানের আয়োজক কমিটির আহ্বায়ক ফখরুল ইসলাম দেলোয়ার ও সদস্যসচিব জাহাঙ্গীর আলম জয় সবাইকে ধন্যবাদ জানান।