৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫, শুক্রবার, ৬:২৯:৫১ অপরাহ্ন


জনগণের মতামতকে প্রাধান্য দিন-শায়খে চরমোনাই
বিশেষ প্রতিনিধি
  • আপডেট করা হয়েছে : ০১-০১-২০২৫
জনগণের মতামতকে প্রাধান্য দিন-শায়খে চরমোনাই


ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সিনিয়র নায়েবে আমীর মুফতী সৈয়দ মুহাম্মাদ ফয়জুল করীম শায়খে চরমোনাই বলেছেন, দেশের মানুষ ২০২৫ থেকে এদেশে রাজনৈতিক হানাহানি, ভঙ্গুর আইনশৃঙ্খলা, দলীয় সিন্ডিকেটের মাধ্যমে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি, ছাত্র সংগঠনের তাণ্ডব, জবরদখল, ধর্ষণ, হত্যা, গুম, খুন, চাঁদাবাজি,লুটতরাজ, দুর্নীতি-দুঃশাসন ও  সিন্ডিকেটের অবসান চায়। তারা স্বপ্ন দেখে সুখী  সমৃদ্ধশালী একটি–সুন্দর বাংলাদেশের।

তিনি বলেন, সুখী, সুন্দর ও সমৃদ্ধশালী বাংলাদেশ গড়ে তোলার জনগণের সে স্বপ্ন বাস্তবায়নে অন্তর্বর্তী সরকারের কল্যাণমূলক কাজে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ অতীতে সহযোগিতা করেছে ভবিষ্যতে ও করবে ইনশাআল্লাহ।

আজ ১ জানুয়ারী ২৫, বুধবার, বিকেলে, চরমোনাই'র বুখাইনগর বাজারে জনসমাবেশ শেষে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ এর চরমোনাই ইউনিয়ন শাখার নতুন কার্যালয় উদ্বোধনকালে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি উপরোক্ত কথা বলেন। শাখা সভাপতি মাওলানা সৈয়দ নাছির আহমাদ কাওছার এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত জনসমাবেশে বক্তব্য রাখেন, ইব্রাহিম আকন, আব্দুর রাজ্জাক রাজু প্রমুখ।

মুফতী সৈয়দ মুহাম্মাদ ফয়জুল করীম বলেন, অন্তর্বর্তী সরকার জাতিকে দুর্নীতিমুক্ত নতুন বাংলাদেশের স্বপ্ন  দেখিয়েছে। কিন্তু বিগত ৫ মাসে উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন হয়নি। আমরা আশাবাদী যথাসময়ে কঠিন ও কার্যকর পদক্ষেপ নিলে তারা সফল হবেন। তিনি বলেন, আগে এক দল চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি, দখলদারিত্ব, সিন্ডিকেট করে জনগণের রক্ত চুষে নিতো , এখন অন্য দল এগুলো নিয়ন্ত্রণ করছে।

শায়খে চরমোনাই বলেন, দেশের আইনশৃঙ্খখলা পরিস্থিতি উন্নয়নে অন্তর্বর্তী সরকারকে ভূমিকা নিতে হবে। জিনিসপত্রের দাম নিয়ন্ত্রণে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে। দেশ পরিচালনায় সবার আগে প্রয়োজন বিজ্ঞ রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বের, তাই উপদেষ্টা নির্বাচনে তারা আরও সচেতন হতে হবে। বিভিন্ন খাতে ঘাপটি মেরে বসে থাকা স্বৈরাচারের দোসরদের চিহ্নিত করে ভালো ও যোগ্য লোকদের স্থলাভিষিক্ত করতে হবে।

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর সিনিয়র নায়েবে আমীর বলেন, দেশের সাধারণ জনগণই অন্তর্বর্তী সরকারকে ক্ষমতায় বসিয়েছে। জনগণের মতামতকে প্রাধান্য দিতে হবে, রাষ্ট্রে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির পাঁয়তারাকারীদের ব্যাপারে গোয়েন্দা নজরদারি বাড়াতে হবে। আইনশৃঙ্খলা বিনষ্টকারীদের শক্ত হাতে দমন করতে হবে। চাঁদাবাজ, খাদ্যদ্রব্যের সিন্ডিকেটকারীদের দলমত–নির্বিশেষে কঠোর হাতে দমণ করতে হবে। গণমাধ্যমে হস্তক্ষেপ বন্ধে কার্যকর ভূমিকা নিতে হবে। কেউ বিধর্মীদের নির্যাতন করতে চাইলে তাদেরকে কঠোর হাতে দমণ করতে হবে।

শেয়ার করুন